মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করার ৫ টি সহজ উপায় (২০২১)

আপনার মনে যদি কখনো মনে এই প্রশ্নটি হয়ে থাকে যে সত্যি কি মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা সম্ভব? আমি বলবো হ্যা সম্ভব। বর্তমান সময়ের আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করে নিতে পারেন মাসে ৫,০০০ থেকে শুরু করে ৩০,০০০ হাজার বা এর বেশি। কারণ বিশ্বজুড়ে মোবাইল ব্যবহার কারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আমাদের দেশটিও ঐ দিক থেকে কোন অংশে কম নয়। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে আমাদের দেশে মোট ১৬ কোটি মানুষের হাতে প্রায় ১৫ কোটি স্মার্টফোন রয়েছে। তাহলে একবার চিন্তা করে দেখেন প্রযুক্তি এত দ্রুত উন্নত হয়ে চলেছে যে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল দিয়ে  কেন কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকবে না। সে জন্য আমি আজ আপনাদের সাথে আলোচনা  করবো কিভাবে আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। এবং সেটি সর্ম্পূণ সঠিক উপায়ে এবং এর সাথে আমি আপনাদের সাথে এমন কিছু টিপস শেয়ার করবো যাতে করে আপনি অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকতে পারেন।

সুতরাং, মোবাইল দিয়ে কিভাবে ইনকাম করবেন এর সর্ম্পকে যদি জানতে চান তাহলে আপনাকে এই সর্ম্পূণ আর্টিকেল টি পড়তে হবে। তো চলুন আমরাএবার মূল টপিক নিয়ে আলোচনা করা যায়।

অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে

স্মার্টফোনের ব্যবহার যেমন বেড়েছে, তেমনি ইন্টারনেটের ব্যবহারও বেড়েছে। এখন দেশের প্রায় সব মানুষই একভাবে  না হয়  অন্যভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। যার কারণে, বিভিন্ন কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন ঘরে বসে এবং ইন্টারনেট এর মাধ্যমে আপনার ব্যবহৃত স্মার্টফোন ব্যবহার করে আপনি হাজার হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। যা অনেকে ইতিমধ্যে সফলতার সাথে করে চলেছে। যদি চান আপনিও করতে পারবেন।

এর জন্য আপনাকে নিজের বুদ্ধি ব্যবহার করে সঠিক উপায়টি সন্ধান/খুঁজে বের করতে হবে। আপনি যদি সঠিক উপায়টি খুঁজে পান এবং সঠিকভাবে কাজ করেন তবে আমি আপনাকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আপনি মাসের শেষে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। তবে হ্যাঁ, আপনি মাসে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন সেটা সর্ম্পূণ আপনার উপর নির্ভর করবে। যেমন আপনার কাজের ধরণ, আপনি কতটুকু সময় দিতে পারছেন এবং আপনার চেষ্টা কতটুকু সেটা  উপর। তবে আমি আপনাকে একটি ছোট ধারণা দিতে পারি যদি আপনি পার্টটাইম হিসেবে এই  কাজে করেন তবে আপনি আনুমানিক ৫,০০০ থেকে ৩০০০০ হাজার টাকা বা তারও বেশি উপার্জন করতে পারবেন। এবং এটি আমি উপরেও একবার বলেছি। আর আপনি যদি পুরো সময় কাজ করেন তবে আয়ের  পরিমাণ ২গুন বা এর বেশি বেড়ে যাবে।

আবার, এটাও জেনে রাখা ভালো যে, আপনি যদি সঠিক উপায়ে না জেনে ভুল পথে কাজ শুরু করেন তবে আপনার ইনকাম তো হবেই না। উল্টা আপনার সময় নষ্ট হবে কাজের কাজ কিছু হবেনা। সুতরাং অবশ্যই আপনাকে শুরু করার আগে সব কিছু বিষয়ে ধারণা নিয়ে  সামনে আগাতে হবে। আপনি যদি নিজের মোবাইল ফোনটি দিয়ে মাসের শেষে ভাল পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত সময় দিয়ে কাজ করতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে এবং সঠিক কাজটি করতে হবে। মনে রাখবেন কেউ আপনাকে টাকা দিতে আসবে না। আপনার শ্রম এবং কঠোর পরিশ্রম দিয়ে আপনাকে নিজেয় অর্থ আয় করে নিতে হবে। সুতরাং অবশ্যই আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।

মোবাইল দিয়ে কাজ করে আয় করা যায় এমন ৫ টি সহজ উপায়

এখন আমি নিচে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো সেটি আপনারা খুব মনোযোগ সহকারে সর্ম্পূণ আর্টিকেলটি পরবেন। এবং এখান থেকে আপনার সবচেয়ে যে বিষয়টি ভালো লাগবে, যে বিষয়টি আপনার ইন্টারেস্টিং মনে হবে সে বিষয়টি বেছে নিন। এবং ঐ বিষয়টি নিয়ে আরো ভালোমত জানার চেষ্টা করুন এবং আর একটি কথা মনে রাখতে হবে যে, আপনাকে একটি বিষয় নিয়ে সামনে আগাতে হবে। যদি এক সাথে ২টি বিষয় নিয়ে কাজ করার কথা ভাবেন তাহলে সফল হতে পারবেন না।

০১. ইউটিউব চ্যানেল খুলে আয় করুন।

মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার সব থেকে ভালো এবং সহজ উপায় যদি বলি সেতা হল ইউটিউব চ্যানেল এর মাধ্যমে আয় করা। ইউটিউব হল ভিডিও শেয়ারিং করা সব থেকে বড় একটি প্লাটর্ফম। যেখানে প্রতিদিন যেমন লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিডিও দেখছে। ঠিক তেমনি লক্ষ লক্ষ মানুষ ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে মাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করে নিচ্ছে । কিন্তু সেটা আমাদের অনেকেরি অজানা।

এখন মূল কথায় আসি,

যেহেতু আমরা ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে টাকা আয় করবো । সেক্ষেত্রে আমাদের প্রথমে দরকার একটি ইউটিউব চ্যানেল। এখন চ্যানেল খোলার জন্য আপনার দরকার একটা G-mail একাউন্ট।

জি-মেইল একাউন্টি পাওয়ার পর youtube.com অথবা বতর্মান আমাদের সবার স্মার্ট ফোনের ইউটিউব অফিসিয়াল অ্যাপটি আগে থেকে ইস্টল করা থাকে আর যদিও আপনার ফোনে না থাকে তাও  কোনো সমস্যা নেই। গুগল Playstore থেকে ইস্টল করে নিতে পারবে।

নেওয়ার পর আপনার জি-মেইল একাউন্টের আইডি এবং পাসওয়ার্ডের দিয়ে খুব সহজে লগ ইন করে আপনি যে নামে ইউটিউব চ্যানেলটি খুলতে চান সেই নাম দিয়ে এটি ইউটিব চ্যানেল খুলে ফেলতে পারবেন। এর জন্য দেখে নিন ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম। হয়ে গেল আপনার একটি নিজের ইউটিউব চ্যানেল। এর পর আমাদের নিজের চ্যানেলের ভিডিও আপলোড করার পালা।

এখন আপনার মনে হতে পারে আমি ভিডিও কোথায় পাবো বা আমি  কিভাবে  ভিডিও বানাবো? তাই তো?

আসল কথা হচ্ছে ভিডিও আপনাকে নিজেই বানাতে হবে। আপনি যে বিষয়ে ভালো বুঝেন। আপনি যে বিষয়টি ভালো জানেন আপনাকে সে বিষয়টি নিয়ে ভিডিও বানাতে হবে। যেমন, আপনি যদি ভালো নাচতে পারেন তাহলে আপনার নিজের নাচের ভিডিও করে ওটা আপলোড দিতে পারেন। তেমনি আপনি যদি গাইতে পারেন তাহলে গানের ভিডিও রেকর্ড করে ওটা আপলোড দিতে পারেন। আপনি যদি ভালো অংক পারেন তবে সেটা ভিডিও করে আপলোড দিতে পারেন। কোন বিষয়ে ভিডিও বানাবো সেটি যদি বলতে যায়। বলে শেষ করতে পারবো না। শুধু আপনাকে খুজে বের করতে হবে আপনি কোন বিষয়টি জানেন। এছারাও দেখেন নিতে পারেন আমাদের ১৫ টি ইউটিউব চ্যানেল আইডিয়া নিয়ে আর্টিকেলটি। মূল কথা হচ্ছে আপনি যে বিষয়ে ভালো পারেন সে বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে আপলোড করে। আর একটা বিষয় মনে রাখবেন আপনি যে ভিডিওটি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেছেন সেটা সর্ম্পূণ আপনার নিজের বানানোর ভিডিও হতে হবে। আপনি যদি অন্য কারও ভিডিওটি আপনার চ্যানেলে আপলোড করেন তবে এটি কপিরাইট ভিডিও হিসাবে ধরা হবে।

ইউটিউব আমাদের কিভাবে টাকা দিবে?

আপনি যখন প্রতিদিন  নিজের চ্যানালের ভিডিও আপলোড দিবেন , সে  ভিডিও গুলো লোকেরা দেখবে এবং আপনার চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করবে। ইউটিউবের নিয়ম অনুযায়ি আপনার চ্যানেলের যখন ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়ার্চ টাইম পূর্ণ হয়ে যাবে। তখন আপনি গুগলের কাছে নিজের চ্যানেলের Google AdSense জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনার এডসেন্স যখন এপ্রুভ হয়ে যাবে, তখন থেকে আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে। গুগল তখন আপনার ভিডিও গুলোটে  বিজ্ঞাপন দেখাবে । এবং ঐ বিজ্ঞাপন মানুষ দেখবে আর আপনার এডসেন্স একাউন্টের ডলার জমা হতে থাকবে। এরপর, এডসেন্স একাউন্টের সাথে আপনার নিজের ব্যাংক একাউন্টের যুক্ত করে দিবেন। এক সময় আপনার এডসেন্সের ১০০ ডলার জমা হয়ে গেলে গুগল অটোমেটিক আপনার ব্যাংক একাউন্টের টাকা গুলো  পাঠিয়ে দিবে। আপনার  মাসে কত টাকা ইনকাম হতে পারে সেটি ছোট একটি উদাহারণ দিচ্ছি।

ধরুন, আপনি যদি ৫০ টি ভিডিও আপলোড করেন এবং মানুষ যদি আপনার প্রতিটি ভিডিও দৈনিক ৩০ বার করে দেখ, তখন আপনি প্রতিদিন (৫০ * ৩০) = ১৫০০ টি ভিডিও ভিউ পাবেন এবং যদি লোকেরা আপনার ভিডিওগুলি প্রতিদিন ১৫০০ বার দেখেন,  ওখান থেকে যদি ১০০টি  বিজ্ঞাপনে ক্লিক পরে, আর প্রতি বিজ্ঞাপনে কম হলেও যদি ০.০৫ ডলার পায়, তবে (০.০৫ * ১০০) = ৫ ডলার। প্রতিদিন ৫ ডলার যদি আপনার ইনকাম হয়। তাহলে মাসে ৩০ দিন (৩০*৫) = ১৫০ ডলার। প্রতিমাসে আপনার ১৫০ ডলার ইনকাম হবে। যদি আমাদের দেশে প্রতি ১ডলার = ৮০ টাকা ধরি (১৫০*৮০) = ১২০০০ টাকা। আপনি মাসে ১২০০০ টাকা ইনকাম করে নিতে পারেন।

বতর্মানে, অনেক লোক প্রতিদিন ইউটিউব থেকে বেশি অর্থ উপার্জন করছে। এবং আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ না থাকলে আপনি কেবল আপনার মোবাইল থেকে এটি করতে পারেন। তবে, এটি মনে রাখবেন, একদিনে কিছুই হয় না। আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, মনে রাখতে হবে, আগ্রহ নিয়ে কাজ করতে হবে।তারপরে আপনি আপনার ইউটিউব সফল হতে পারবেন।

০২. ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে আয় করুন।

আপনারা অনেকেই জানেন যে ব্লগ জিনিসটা আসলে কি। ব্লগ এক ধরণের ওয়েবসাইট, আপনি এখন আমার ওয়েবসাইটটিতে এই আর্টিকেল পড়ছেন, এটি একটি ব্লগ সাইট বা ব্লগ ওয়েবসাইট। এর অর্থ হ’ল যে ধরণের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল বা পোস্ট প্রকাশ করে তাকে ব্লগ ওয়েবসাইট বলা হয়। বাংলাদেশের জনপ্রিয় কয়েকটি ব্লগ সাইট হ’ল: টেকটিউনসসামহোয়্যারইনব্লগলেখাপাড়াবিডি ইত্যাদি. আপনি যদি এই সাইটগুলি একটু ঘুরে দেখেন তবে আমি আশা করি ব্লগ সাইট কী এ সর্ম্পকে  আপনি পুরোপুরি বুঝতে পারবেন।

এই সাইটগুলি প্রতিদিন হাজার হাজার ভিজিটর আসে (যারা বিভিন্ন পোস্ট পড়তে সাইটে প্রবেশ করেন) বিভিন্ন বিষয়ে জানার জন্য ব্লগে ভিজিট করে, কারণ এই সাইটগুলি মানুষের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বিষয়ে লেখা রয়েছে। যা প্রতিটি মানুষের প্রতিদিন প্রয়োজন। এবং নিয়মিত নতুন বিষয় সম্পর্কে ব্লগে আর্টিকেল পোস্ট করে যাচ্ছে। যার কারণে, তাদের সাইটের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।

এবং তাদের জনপ্রিয়তার দিন দিন বাড়ার ফলে, তারা তাদের সাইটে বিভিন্ন ধরণের বিজ্ঞাপন প্রচারের সুযোগ পাচ্ছে। ব্লগে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য অসংখ্য বিজ্ঞাপনদাতা ওয়েবসাইট রয়েছে যা থেকে যে কেউ তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটের জন্য বিজ্ঞাপন নিতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত হ’ল গুগল অ্যাডসেন্স। বিশ্বের বেশিরভাগ ওয়েবসাইট বিজ্ঞাপনের জন্য গুগল অ্যাডসেন্স পছন্দ করেছে। গুগল অ্যাডন্সের বিজ্ঞাপন যখন কোন ব্লগে দেখানো হয়, তখন সেই ব্লগের ভিজিটররা বিজ্ঞাপনগুলি দেখে এবং বিজ্ঞাপনগুলিতে ক্লিক করে, তখন গুগল থেকে ঐ ওয়েবসাইট মালিককে বিজ্ঞাপন প্রতি ক্লিক জন্য টাকা প্রদান করে থাকে। এখানে এটি লক্ষ করা উচিত যে যার সাইটে যত বেশি লোক  প্রবেশ করবে, অর্থাৎ যত বেশি ভিজিটর/ট্রাফিক প্রবেশ করবে, সে সাইটে আরও বেশি বিজ্ঞাপন দেখবে এবং তত বেশি বিজ্ঞাপনে ক্লিক হবে, তত বেশি টাকা আয়  হবে।

আপনার কী করা উচিত এবং কীভাবে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করবেন?

এখন কথা হ’ল আপনি চাইলে নিজের নামে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারেন বা আপনা যে বিষয় নিয়ে লেখা লেখি করতে চান সে বিষয় উপর ভিত্তি করে একটি নাম দিয়ে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারেন। তারপরে আপনি নিজের ব্লগে আপনার যে বিষয়েটি  নিয়ে সে বিষয়ে আর্টিকেল লিখতে পারেন এবং আরও বেশি বেশি শেয়ারের মাধ্যমে ভিজিটর আপনার ব্লগে নিয়ে আসতে পারেন। তবে এর জন্য আপনার অবশ্যই অনেক ধৈর্য থাকতে হবে। এবং  নিয়মিত আপনার সাইটে আর্টিকেল লিখে পোস্ট করতে হবে।

আপনি যদি শুরুতে পরিশ্রম করে কিছু ভালো ভালো পোস্ট করেতে পারেন এবং আরও বেশি শেয়ারের  করা মাধ্যমে আপনার সাইটে  ভিজিটর আনতে পারেন তবে এটি আপনার আয়ের আজীবনের জন্য একটি উৎস হতে পারে। বর্তমানে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করা তেমন কোন কঠিন কাজ নয়। যে কেউ চাইলে সর্ম্পূণ ফ্রিতে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন এবং একটি ব্লগ সাইট তৈরি করা থেকে শুরু করে, সাইটের সমস্ত কাজ এখন একটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করা যেতে পারে।

০৩. বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন (অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ) থেকে আয়

বর্তমানে, আপনি বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মাধ্যমেও অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। যদিও আয়ের পরিমাণ খুব কম তবে আপনি যদি নিয়মিত কাজ করেন তবে আপনি যদি মাসিক ভিত্তিতে হিসাব করেন তবে আয়ের পরিমাণ খারাপ হবে না। কারণ আপনি যখন ফেসবুকে বা মোবাইলে গেম খেলে সময় নষ্ট করছেন তখন এই অ্যাপ থেকে কাজ করে কিছু অর্থ উপার্জন করা যায? তো মন্ড কি। অর্থ উপার্জনের জন্য অসংখ্য অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যা আপনি আপনার মোবাইলের প্লে স্টোরে গিয়ে খুঁজে পেতে পারেন। তাছাড়া আপনি যদি ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করে তাহলে অনেক আর্নি অ্যাপ্লিকেশন  রিভিউ পেয়ে যাবেন। ঐ ভিডিও দেখেও কাজ শুরু করে দিতে পারবেন।

আপনি যদি আয় বৃদ্ধি করতে চান তবে আপনি একাধিক অ্যাপে কাজ করতে পারেন। এবং যারা এই সমস্ত কাজ করে ইনকাম করতে চায় তাদের কে তাদের কে রেফার লিংক শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার ইনকাম বাড়িয়ে নিতে পারবেন। যদি কেউ আপনার রেফার লিংক থেকে সেই অ্যাপটিতে একাউন্ট তৈরি করে, তবে সে যে অর্থ উপার্জন করবে তার কিছু অংশ আপনার একাউন্টে জমা হয়ে যাবে। এইভাবে, আপনি যদি আপনার অনেক বন্ধুকে আপনার রেফার লিংক শেয়ার করে এবং সেই লিংকে গিয়ে সেই অ্যাপ্লিকেশনটিতে কোন একাউন্ট তৈরি করে, তবে তারা সমস্ত অর্থ উপার্জন করবে এমন কিছু অর্থ আপনার একাউন্টেও জমা হবে এবং মাসের শেষে আপনি খুব ভাল পরিমাণে অর্থ উপার্জন করে ফেলতে পারবেন। তবে হ্যাঁ আপনি যদি এটিকে আপনার লাইফটাইম ইনকাম হিসাবে নিতে চান তবে আপনার পক্ষে এটি একটি ভুল সিদ্ধান্ত হবে। কারণ  এই ধরনের অ্যাপ্লিকেশনের কাজ গুলো যে কোন সময়  বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আপনার যদি অন্য কোন কাজ না থাকে। এবং এমনে এমনে সময় নষ্ট করতে না চান। তবে আপনি এই কাজ গুলো মাধ্যমে মাস শেষে মোটামোটি ভালো পরিমাণ টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

০৪. বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে আয় করুন

আমরা সবাই জানি আর্টিকেল কি। কোনও ওয়েবসাইটের যে কোনও ধরণের লেখাকেই আর্টিকেল বলা হয়ে থাকে। আপনার লেখার হাত যদি ভাল থাকে আপনি যদি খুব ভালো লেখা লেখি করতে পারেন। অথবা আপনি যে কোন বিষয় সম্পর্কে খুব গুছিয়ে ভাল লিখতে পারেন। এবং আপনার যদি ইংরেজি বিষয়ে  ভালো আইডিয়া থাকে। তাহলে বিশ্বাস করুন আপনার জন্য কাজের অভাব থাকবে না। কারণ বিশ্বের অনেক লোক আছে যারা তাদের নিজেদের  ওয়েবসাইটে আর্টিকেল  প্রকাশ করতে চায় কিন্তু ভাল লিখতে পারেন না বা তাদের লেখার সময় নেই, তাই তারা এমন লোকদের সন্ধান করেন যারা অর্থের  জন্য তাদের ওয়েবসাইটে আর্টিকেলে  লিখবেন।

সুতরাং আপনিও এমন লেখক হতে পারেন। আপনি বিশ্বের বিভিন্ন ব্যক্তির ওয়েবসাইটে আর্টিকেল গুলো লিখতে পারেন এবং মাস শেষে আপনি ভাল পরিমাণে টাকা আয় করে নিতে পারেন। এই পর্যন্ত আমি আয়ের যে বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি তা মধ্য এই  আর্টকেল লেখার কাজ তুলনামূলকভাবে সহজ এবং খু অল্প পরিশ্রম করে সফল হাওয়া যায়। আপনাকে কেবল ইংরেজিতে কিছুটা দক্ষ হতে হবে। তাহলে আপনি এই কাজটি বেশ আরামে করতে পারেন। অনেকে আর্টিকেল লিখে প্রচুর অর্থোপার্জন করে যাচ্ছে। এই আর্টিকেল লেখার কাজটি সাধারণত বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে পাওয়া যায়। আর্টিকেল লেখার কাজ পাওয়ার জন্য বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস রয়েছে যার মধ্যে সেরা Upwork। যে কেউ এই মার্কেটপ্লেসে একটি একাউন্ট তৈরি করতে এবং কাজ শুরু করতে পারেন। সাধারণত তারা ১০০০ শব্দের একটি নিবন্ধ লেখার জন্য আপনাকে ৫ থেকে ২০ ডলার পর্যন্ত প্রদান করে থাকে। এবং আপনি বিভিন্ন আকারের নিবন্ধ লেখার অফার পেতে পারেন এবং এই কাজ গুলো আপনার হাতে থাকা মোবাইলটির মাধ্যমে সহজে করতে পারবেন।

০৫. ফেসবুকের মাধ্যমে আয় করুন

আপনি চাইলে এখন ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন। ফেসবুকে আয় করার অনেকগুলি উপায় রয়েছে। এর মধ্যে একটি হ’ল ফেসবুক পেজ এবং ফেসবুক গ্রুপগুলি জনপ্রিয় করা এবং সেখান থেকে আয় করা। এর জন্য আপনাকে একটি ফেসবুক গ্রুপ বা একটি পেইজ খুলতে হবে তারপরে আপনাকে সেই পেইজ বা গ্রুপ খুব জনপ্রিয় করতে হবে। এবং পেইজ ফলোয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করুন। আপনি যখন নিজের  page আরও জনপ্রিয় করতে পারবেন। তারপরে আপনি আপনার পেইজ বিভিন্ন স্থানীয় বিজ্ঞাপন গুলো দিতে পারেন। এমনকি আপনি যদি চান তাহলে ফেসবুকের পেইজ বা গ্রুপ ব্যবহার করে আপনি নিজের একটি ছোট ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।আপনার ব্যবসা এই page গুলো মাধ্যমে প্রচার করে আপনি অনেক কাস্টমার পেয়ে যাবেন। যা বর্তমানে অনেকেই করছে।

আপনি চাইলে ইউটিউবের মতো ফেসবুক এবং ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করতে পারবেন। আপনাকে যা করতে হবে তা হ’ল ফেসবুকের নিয়ম অনুসারে  ভিডিও বানাতে হবে । এবং আপনি সেই ভিডিওটি আপনার পেইজে আপলোড করেন তারপরে আপনাকে সেই ভিডিও মনিটাইজেশন করতে হবে। মনিটাইজেশনে পর আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে এবং সেই বিজ্ঞাপনটির জন্য আপনার আয় হবে।

কার জন্য কোন কাজটি ভালো হবে?

আমি এখানে যে কাজগুলি উল্লেখ করেছি তা সত্যিকার অর্থে ফুল টাইম চাকরি নয়। আপনি আপনার মোবাইল ফোনটি আপনার হাতের মুঠো দিয়ে প্রতিদিনের পার্ট টাইম হিসেবে কাজগুলো করতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনি চাইলে এটি ফুল টাইম হিসাবে নিতে পারেন। এটি আপনার সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলবে। তবে মূলত এই কাজ গুলোকে পার্ট টাইম হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আপনারা যারা শিক্ষার্থী তারা সকলেই আপনার পছন্দ অনুযায়ি যে কোন একটি কাজ বেছে শুরু করে দিতে পারবেন। তবে আমি যদি বলি তাহলে এই ৫টি মধ্যে ইউটিউবের কাজ টি শুরু করতে বলবো । কেন না আপনি যদি এটির পিছনে সময় দিতে পারেন তাহলে আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য প্যাসিভ ইনকামের সুযোগ করে দিবে। এবং যারা ইংরেজিতে দক্ষ, তারা ওয়েবসাইট এবং আর্টিকেল লেখার জন্য এই কাজটি  করতে পারেন। তাছাড়া যাদের ইংরেজি প্রতি একটু ভালো দক্ষতা আছে এদের জন্য এই কাজটি সেরা হবে এবং যারা কম পরিশ্রম করে , কিছু সময় ইনভেস্ট করে টাকা ইনকাম করতে চান। তাহলে তারা ফেসবুকের পেইজের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন এবং মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করতে পারেন।

সর্বশেষে

আপনি যদি সত্যি সত্যি অনলাইনে কিছু করে দেখাতে চান। তাহলে আপনে এটি পিছনে সময় দিতে হবে পরিশ্রম করতে হবে এবং মাঝে মাঝে দরকার পরলে কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। কিন্তু একটা  বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে, আপনাকে সঠিক জায়গাই সময় দিতে হবে। যদি ইনভেস্ট করতে হয় তাহলে সঠিক জায়গায় ইনভেস্ট করতে হবে। কারণ আজকাল অনলাইন জগতে টাকা ইনকাম করা যায়। এটা যেমন ১০০% সত্য। তেমনি আপনাকে প্রতারনা করার মানুষ ও অভাব থাকবে না। এজন্য যা কিছু করবে, আগে ঐ বিষযে ভালো করে জেনে শুনে তারপর করবে। নইতো আপনার কাজের কাজ কিছুই হবে না। উল্টা আপনার সময় নষ্ট হবে। আর হ্যাঁ, আপনার  আপনার যদি যে কোম বিষয়ে বুঝতে সমস্যা হয় বা। অথবা যে কোন ধরণের সমস্যা জন্য আমাদের কে জানাতে পারেন নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে।

Leave a Comment