রোবট কি?

রোবট কি?? উত্তর: রোবট শব্দের অর্থ যন্ত্রমানব। আসলে রোবট হলো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র যা মানুষের অনেক দুঃসাধ্য ও কঠিন কাজ করতে পারে ।“New collegiate”ডিকশোনারীর মতে রোবট হলো একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা যা মানুষ যেভাবে কাজ করতে পারে রোবট সেভাবে কাজ করে অথবা এর কাজ দেখে মনে হয় এর বুদ্ধিমত্তা আছে। রোবটের নিজস্ব কোন বুদ্ধি নেই।

রোবটিকস কী?

টেকনোলজির যে শাখায় রোবটের নকশা.গঠন , কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হয় সেই শাখাকে রোবটিকস বলা হয়। এছাড়াও এ শাখায় রোবট নিয়ন্ত্রণে কম্পিউটার সিস্টেম রোবটের সিনসরি ফিডব্যাকম,কম্পিউটার বিজ্ঞান ,ন্যানোটেকনোলজি, বায়োটেকনোলজি ,কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ইনফরমেশন প্রসেসিং সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

রোবটিকস এর ব্যবহার লিখো।

উত্তর: রোবটিকস এর ব্যবহার নিম্নরূপ:

১। বিরক্তিকর এবং একঘেয়ে কাজের ক্ষেত্রে.

২। বিপজ্জনক কাজের ক্ষেত্রে

৩।দুর্গম স্থান কাজের ক্ষেত্রে এবং

৪। বিনোদন,গবেষণা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে

ঝুঁকিপূর্ণ কাজে রোবটিকস কী ধরনের সুবিধা  পাওয়া যায়?

উত্তর: রোবট অত্যন্ত দ্রুত, ক্লান্তিহীন এবং নিখুঁত  কর্মক্ষম যন্ত্র। কারখানায় কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত রোবটের সাহায্যে নানারকম  বিপজ্জনক ও পরিশ্রম সাধ্য কাজ যেমন- ওয়েল্ডিং ,ঢালাই, ভারি মাল উঠা-নামা,যন্ত্রাংশ সংযোজন, গাড়ি রং করা ইত্যাদি কাজ করা হয়। রোবট অতি ক্ষুদ্র মাইক্রো সার্কিটের উপাদান পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ও অবিশ্বাস্যভাবে পরীক্ষা করতে পারে, যা মানুষের পক্ষে কঠিন ও অসম্ভব।

রোবট বিজ্ঞান কী? রোবট কি?  মানব কল্যাণে রোবট বিজ্ঞানের অবদান আলোচনা করো।

উত্তর : রোবট বিজ্ঞান: মানুষের কার্যাবলি কৃত্রিম উপায়ে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত একটি ইলেকট্রো- ম্যাকানিক্যাল ব্যবস্থা দ্বারা পরিচালিত ও উৎপাদন সংক্রান্ত বিদ্রাকে রোবটিকস বা রোবট বিজ্ঞান বলে।

মানব কল্যাণে রোবট বিজ্ঞানের অবদান: রোবট কি কি কাজে লাগে:

রোবট তৈরির উদ্দেশ্য  হচ্ছে পরিশ্রমসাধ্য কাজ , বিপদজনক কাজ  এবং একই কাজ বার বার করার বিরক্তিকর অবস্থা থেকে মানুষকে মুক্ত করা। কারখানায়  একজন শ্রমিক নিজ হাতে যে পণ্য উৎপাদন করেন তা যন্ত্রের সাহায্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উৎপাদন করা, খেলনা রোবট নির্মাণ ইত্যাদি রোবট বিজ্ঞানের অন্তর্গত। রোবটের সাহায্যে ঘর-বাড়ি, অফিস-আদালত মিল-কারখানা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করা যায়। অতিদ্রুত এবং নির্ভূলভাবে কাজ করা যায়। রোবট বিজ্ঞানীরা মানুষের নিরাপত্তা,রোবটের কার্যপরিধি নির্ধারণ ইত্যাদি নানা বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন । তাঁরা রোবটে কৃত্রিম ‍বুদ্ধিমত্তা সংযোজনের চেষ্টা করছেন । যাতে রোবট মানুষের সাথ যোগাযোগে সমর্থ হয় এবং মানুষের সাথে রোবটের পার্থক্য কমে আসে। এখন পর্যন্ত রোবটে যেসব বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা সম্ভব হয়েছে সেগুলোর মধ্যে পরিবেশ অনুভব করার ক্ষমতা , নড়াচড়া করার ক্ষমতা, স্বেচ্ছায় কাজ করছে এন ভাব প্রকাশের ক্ষমতা,কোনো বস্তু নিয়ে কাজ করার ক্ষমতা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

রোবটিকস এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো?

রোবটিকস বিভিন্ন কাজে  ব্যবহৃত হয়। নিচে এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হলো—

১। বিভিন্ন শিল্প কারখানায় জিনিসপত্র উঠানামা ও স্থাপনের জন্য রিাবট কাজে লাগানো যায়।

২। কলকারখানায় জিনিসপত্র সংযোজন,প্যাকিং এবং জিনিসপত্র পরিবহনের জন্য রোবটের ব্যবহার ফলপ্রসূ

৩। ‍যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধযানে ড্রাইভারের বিকল্প হিসেবে রোবটকে ব্যবহার করা যায়। এ সমস্ত রোবট দূর নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় যেকোনো মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।

৪। যেসব ক্ষেত্রে অতি সূক্ষ কাজ করার দরকার হয় ‍যেমন ইলেকট্রনিক্স এর  গুলো বানানোর জন্য এবঙ বানানোর জন্র রোবট ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে হাতে তৈরি জিনিস সঠিক নাও হতে পারে। যেমন- কম্পিউটারের মাদরাবোর্ডসহ অন্যান্য সার্কিট বোর্ড তৈরিতে রোবট ব্যবহৃত হয়।

৫। চিকিৎসা  ক্ষেত্রে সার্জারীর কাজে রোবট সফলভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

এই পোস্টটি ইংরেজিতে পেতে চাইলে এই লিংকে ক্লীক করুন: what is robot?

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে ইংরেজিতে পেতে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন: what is artificial intelligence?

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পরতে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী?

রোবট সম্পের্কে আরও জানতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের সব পোস্ট পেতে এখানে ক্লিক করুন

আল্লাহ হাফেজ। পরবর্তী পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ভাল লাগলে শেয়ার করতে ভূলবেনা।

Leave a Comment