আপনি কি এমন কিছু দেখছেন বা অনুভব করেছেন আপনার নতুন বানানো ওয়েবসাইট বা ব্লগের কনটেন্ট সহজে র্যাঙ্ক করতে চাইছে না বা করলেও ট্রাফিক সংখ্যা খুবই কম বা না বললেই চলে। গুগল এটা নিজে কখনো স্বীকার না করলেও গুগলের একরকমের অ্যালগোরিদম আছে যেটার নাম বা অবিহিত করা হয়ে থাকে গুগল স্যান্ডবক্স বলে এই সময় সীমার মধ্যে গুগল আপনার সাইট বা ব্লগ খুব ভালো করে বিভিন্ন প্যারামিটার চেক করে যেমন আপনার ব্লগের নীতি বা বিহেভিয়ার বা অন-পেজ এসইও, অফ-পেজ এসইও,তাছাড়াও ইউসার ইন্টার অ্যাকশন ইত্যাদি বিষয় গুলি গুগল খুঁটিয়ে নজর দেন সেই সময় হঠাৎ আপনার সাইটের র্যাঙ্ক বেড়ে যায় আবার কমে যায়।
ম্যাট কাটস তার একটি নিজের ভিডিওতে যদি এটি প্রকাশ করে ফেলেছিলেন গুগল স্যান্ডবক্স এর ব্যাপারে কিন্তু এটা হবার নিশ্চিয়তা অনেক টাই বেশি কারণ আমার বা আপনার ব্লগ তৈরির ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে সহজে পোস্ট র্যাঙ্ক করতে চাইনা বিভিন্ন নিশে ওয়েবসাইট কখনো ৮ মাস থেকে ১ বছর এই গুগল স্যান্ডবক্স পিরিডস নিরভর করে।
সূচিপত্র
গুগল স্যান্ডবক্স পিরিয়ড সময়-সীমা
যদি আপনি গুগল স্যান্ড বক্সের উদাহরণ চান কোন নিশে কতদিন সময় নেয় গুগল স্যান্ড বক্স ইফেক্ট কাটতে তাহলে আমি আপনাকে সঠিক নিশ উইশ বলতে পারবো না। কিন্তু তবুও কিছু নিশ যেমন ধরুন অনলাইন লোন বা ট্রেডিং সাইট যেগুলির গুগল স্যান্ডবক্স পিরিডস সময়-সীমা ৮ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত চলতে পারে কিন্তু কোনো, কোনো নিশে সেটা ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে শেষ হতে পারে।
কিন্তু এই রকমের ট্রডিং সাইট বা অনলাইন লোন সাইটের গুগল স্যান্ডবক্স পিরিডস সময়-সীমা এত বেশিই কারণ এগুলির গুরুত্ব বা মূল্য খুবই বেশিই অন্য সব নিশের থেকে তাছাড়াও এদের এসইও ইফেক্ট আস্তে ৪ থেকে ৬ মাস সময় লাগে তাই এগুলিতে র্যাঙ্ক করার জন্য অনেক সময় ডিমান্ড করে থাকে। যদি বলি যারা আমাজন এফিলিয়াট ব্লগ রান করছেন এবং বিশেষত কোনো কিছু বিক্রি করার কীওয়ার্ড গুলি টার্গেট করেছেন সেই ক্ষেত্রে আমার মতে ৪ থেকে ৫ মাস লাগতে পারে এটাও অনেক টাই বেশিই। আর, যদি আপনি এডসেন্স সাইট বানিয়ে কোনো কিছু বিক্রি করার কীওয়ার্ড না টার্গেট করে শুধু ইনফরমেশন দেবার কীওয়ার্ড টার্গেট করেন তাহলে এটা ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে র্যাঙ্ক করে যেতে পারে।
কিভাবে গুগল স্যান্ডবক্স পিরিয়ড থেকে মুক্তি পাবেন?
গুগল স্যান্ড বক্স পিরিয়ডস যেমন আছে তেমনি এই স্যান্ড বক্স পিরিয়ডস থেকে মুক্তি পাবার কিছু টেকনিক আছে যেগুলি আপনাকে সাহায্য করতে পারে। আমি বলছি না এই টিপস বা টেকনিক গুলি ফললো করলেই আপনি গুগল স্যান্ডবক্স পিরিডস থেকে মুক্তি পাবেন কিন্তু এটার সময় সীমা কিছুটা কমতে পারে। গুগল স্যান্ডবক্স পিরিয়ড রীতিমতো সাইট গুলিকে চেপে রাখে কারণ এমন কিছু নিশ আছে যেমন হেলথ বা সাস্থ যেখান ভুল ইনফরমেশন খুবই ভয়ানক তাই এই গুগল স্যান্ডবক্স পিরিয়ড গুগলের অন্দর মহলের তৈরি।
১. এমন ডোমেইন বা ব্লগ কিনুন যেগুলি গুগল স্যান্ডবক্স পিরিয়ড এর বাইরে
আপনি গুগল স্যান্ড বক্স পিরিয়ড নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাহলে আপনি এটার অল্টারনেটিভ যেমন ওল্ড ডোমেইন বা ব্লগ কিনতে পারেন আপনি নিশে কাজ করতে চলেছেন। যেমন ধরুন আপনি ভাবলেন হেল্থ নিশে কাজ করবেন তাহলে আপনাকে মার্কেটে এমন কিছু সাইটে এপ্রচ করেত হবে যারা তাদের সাইট অলরেডি বানিয়ে রেখেছিলো কিন্তু আপডেট করেনি এবং হেল্থ নিশের স্যান্ড বক্স পিরিয়ড ৬ থেকে ৭ মাস তাই আপনি এই সময়টি আপনাকে দিতে হবেনা আপনি একটি রেডি মেড সাইট পাবেন।
যদি আপনি ব্লোগ্গিং করেছেন অনেক দিন থেকে তাহলে আপনি আপনার নেটওয়ার্কের মধ্যে এটা ইনফর্ম করতে পারেন তাছাড়াও আপনি ফিলিপাতে সরাসরি যোগা-যোগ করতে পারেন এই রকমের সাইট কেনার জন্য। যদি আপনি এই রকমের সাইট নিতে চাইছেন তাহলে দেখবেন এটলিস্ট সাইট বা ডোমেইনটি ১.৫ থেকে ২ বছর পুরানো হওয়া উচিত সঙ্গে কোনো স্প্যাম ব্যাকলিংক না থেকে বা গুগল পেনাল্টি না হয়ে থাকে যদি কোনো পোস্ট ইনডেক্স হয়ে থাকে তাহলে এটা কোনো সমস্যা না।
২. নিখুঁত অন-পেজ এসইও করা
নিখুঁত অন-পেজ করলেই আপনি গুগল স্যান্ড বক্স পিরিয়ড থেকে সরাসরি বেরিয়ে আস্তে পারবেন এটা না অন-পেজ এসইও একরকমের সিগন্যাল যেটা গুগল ইনন্ডিরেক্টলি পেয়ে থাকে এই স্যান্ড পিরিয়ডের মধ্যে যখন গুগল কিছু কিছু ট্রাফিক আপনাকে পাঠায়। কিভাবে গুগল এই সিগন্যাল পায় আপনি কোনো কনটেন্ট লিখলেন সেটার প্রতিক্রিয়া জানার জন্য গুগল আপনার স্ট্যাটাস যেমন কিভাবে অডিয়েন্স আপনার সাইট রিএক্ট করছেন কত সময় দিচ্ছেন কি কি অ্যাকশন নিচ্ছেন ইত্যাদি।
এভাবেই গুগল একটি ক্লিয়ার আইডিয়া পেয়ে যায় আপনার কন্টেন্টের মমান ও আপনার ব্লগের মান এই সময়টি খুবই ভাইটাল বলা চলে যখন গুগল আপনার সাইটের প্রত্যেকটি মুভমেন্ট নজর রাখে। আপনি যেটা করতে পারেন একটি নতুন ব্লগের জন্য প্রথম কিছু মাস দৈনিক গুগল সার্চ কনসোল এবং গুগল এনালিটিক্স ভিসিট করে প্রত্যেকটি এরর সমাধান করুন যেটা আপনাকে সাহায্য করবে তারা তাড়ি স্যান্ড বক্স পিরিয়ড থেকে বেরোতে।
৩. সঠিক সাইলো স্ট্রাকচার অনুযায়ী কাজ করুন
সাইলো স্ট্রাকচার |
উপরের ছবিটি আপনি যদি দেখেন তাহলে বুজবেন সাইলো স্ট্রাকচার একটি প্রধান কনটেন্ট থেকে মাইক্রো কনটেন্ট গুলিকে সাপোর্ট করছে তেমনি মাইক্রো কনটেন্ট গুলি আবার প্রধান কনটেন্টকে সাপোর্ট দিচ্ছে যেটা আলটিমেট আপনার লিংক জুস বাড়াচ্ছে এবং র্যাঙ্ক করতে সহজ করবে।
আমি যদি বলি আপনি আগে এটার নাম পর্যন্ত শোনেননি এবং এটাই সত্যি বেশির ভাগ ব্লগার এটাকে ইগনোর করেন একটা টপিকের মধ্যে সমস্ত পোরশন কভার করতে ভুলে যান করেন না আপনি যদি নতুন ব্লগ শুরু করেছেন তাহলে এই নিয়মটি ফলো করুন একটু হলেও গুগল স্যান্ডবক্স পিরিয়ড এস্কেপ করতে পারবেন।
৪. ছোটো ভলিউমের কীওয়ার্ড টার্গেট করুন
নতুন ব্লগ তাই আপনি ভাবছেন ছোটো আকারের কীওয়ার্ড টার্গেট করাই শ্রেয়াও কিন্তু এখানেও কোনো লাভ নেই কারণ গুগল এই মুহূর্তে আপনাকে বিশ্বাস করে র্যাঙ্ক করাতে পারবেন না।
তবুও, ছোটো আকারের কীওয়ার্ড টার্গেট করা উচিত যেগুলির সার্চ ইনটেন্ট তেমন তাৎপর্যপূর্ণ না যেসব কীওয়ার্ড মান্থলি ভলিউম যেমন ধরুন ১০ থেকে ৫০ বা তারও কম কিন্তু কম্পেটিশন আলট্রা লো এবং সেই গুলির বায়িং ইনটেন্ট নেই বললেই চলে সেই কীওয়ার্ড টার্গেট করুন এবং ইনডেপ্থ কনটেন্ট লিখুন। তবে কীওয়ার্ড রিসার্চ এর পূর্বে অবশ্যই কীওয়ার্ড রিসার্চ প্রক্রিয়া ভালো ভাবে আয়ত্ত করে নেবেন। না হলে ভবিষ্যতে ঝামেলার সম্মুখীন হতে পারেন।
যদি আপনি সঠিক মানের কনটেন্ট লেখেন তাহেল আমি নিশ্চিত গুগল এই স্যান্ডবক্স পিরিয়ডর মধ্যেও আপনাকে র্যাঙ্ক করবেন এবং দেখবেন আপনার কনটেন্টর মান যদি খুবই ভালো হয় তাহলে আপনি অর্গানিক ট্রাফিক পেতে শুরু করবেন।