গোপনীয়তা—শব্দটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত। জীবনে চলার পথে আমরা কিছু না কিছু বিষয় অন্যের কাছ থেকে গোপণ রাখতে চাই। সেটা হতে পারে ব্যক্তিগত জীবনের কোন বিষয় অথবা হতে পারে অন্য কোন কিছু। আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের সাথে অনেক বিষয় জড়িত থাকে। আপনি একটি ব্যাংক অ্যাকউন্ট খুললেন অথবা অন্য কোন অ্যাকউন্ট। এখনকার সময় যে কোন অ্যাকাউন্ট খুলতে একটি পাসওয়ার্ড প্রয়োজন হয়। সেটি যাতে আমরা ভুলে না যাই, তার জন্য ফোনের কোন নোটসএ লিখে রাখি। তবে ফোনের নোটসএ লিখে রাখা কতটুকু নিরাপদ! কারণ অনেক সময় প্রয়োজনে নিজের ফোন অন্যকে দেওয়া লাগতে পারে। তখন আপনার গুরুত্বপূর্ণ পাসওয়ার্ড ফাঁস হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এই ফাঁস হওয়া থেকে রক্ষা করতে যদি নোটস অ্যাপটিতে লক দিয়ে রাখেন, তাহলে আপনার পাসওয়ার্ড অথবা গুরুত্বপূর্ণ কোন ডকুমেন্ট —যা নোটসএ লিখে রেখেছেন, তার কোনকিছু অন্য কেউ দেখতে পারবে না। এছাড়াও আপনার ছবি, মেসেজ অ্যাপ লকের মাধ্যমে অন্য কেউ দেখা থেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন। তাই আজকের লেখাটাতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে কিভাবে অ্যাপ লক সফটওয়্যার ডাউনলোড করবেন।
সূচিপত্র
অ্যাপ লক কি?
অ্যাপ লক হলো একটি সফটওয়্যারের নাম। যেটির সাহায্যে আপনি বিভিন্ন সফটওয়্যারে লক দেওয়ার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ সব ডকুমেন্ট গুলো অন্য কেউ দেখা থেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন। চলুন ধাপে ধাপে দেখি কিভাবে ডাউনলোড করবেন অ্যাপ লক সফটওয়্যার।
কিভাবে অ্যাপ লক অ্যাপ ডাউনলোড করবেন?
মূলত যেসব পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করে অ্যাপ লক সফটওয়্যার ডাউনলোড করবেন, তা নিচে উল্লেখ করা হলো।
ধাপ-০১
আপনার ফোনে থাকা “প্লে স্টোর” এ্যাপটিতে ক্লিক করুন।
ধাপ-০২
“প্লে স্টোর” এ্যাপটিতে ক্লিক করার পর উপরের মতো একটি পেজ ওপেন হবে। এবং সেখানে সার্চের একটি ঘর থাকবে।
ধাপ-০৩
সার্চ করার ঘরটিতে ক্লিক করে লিখতে হবে “App Lock”
ধাপ-০৪
App Lock লিখে সার্চ করার পর উপরের মতো একটি পেজ ওপেন হবে। যেখানে অ্যাপ লক করার অনেক গুলো সফটওয়্যার দেখতে পাবেন। সেখানে অ্যাপ লকের জন্য সবচেয়ে ভালো সফটওয়্যার চিহ্নিত করে দেওয়া হলো। আপনি সেটিতে ক্লিক করবেন।
ধাপ-০৫
চিহ্নিত করে দেওয়া সফটওয়্যারে ক্লিক করার পর উপরের মতো নতুন আরেকটি পেজ ওপেন হবে। সেটির Install অপশনে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ-০৬
“Install” অপশনে ক্লিক করার পর উপরের মতো পুনরায় আরেকটি পেজ দেখতে পাবেন। যেখানে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড হবে। চাইলে আপনি “Cancel” অপশনে ক্লিক করে ডাউনলোড বন্ধও করে দিতে পারবেন।
ধাপ-০৭
ডাউনলোড শেষ হলে পুনরায় আরেকটি পেজ দেখতে পাবেন। পেজটির ‘Open’ অপশনে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ-০৮
“Open” অপশনে ক্লিক করার পর নতুন আরেকটি পেজ দেখবেন। সেটিতে আপনার ইচ্ছা মতো একটি প্যাটার্ন লক সেট করতে হবে।
ধাপ-০৯
পূর্বের পেজে প্যাটার্ন সেট করার পর একই রকমের আরেকটি পেজ দেখবেন, সেটিতেও একই প্যাটার্ন সেট করতে হবে। কারণ এই প্যাটার্ন তখনি লাগবে, যখন আপনি অ্যাপ লক সফটওয়্যারে ঢুকতে যাবেন।
ধাপ-১০
প্যাটার্ন সেট করার পর উপরের মতো একটি পেজ আসবে। সেটির Agree and Start অপশনে ক্লিক করবেন।
ধাপ-১১
Agree and Start অপশনে ক্লিক করার পর নতুন যে পেজটি ওপেন হবে, সেটি হলো অ্যাপ লক সফটওয়্যারের ফাইনাল পেজ।
কেন ব্যাবহার করবেন অ্যাপ লক সফটওয়্যার?
বেশ কিছু কারণে অ্যাপ লক সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম এই সফটওয়্যার গুলোর মাধ্যমে আমরা প্রতিনিয়ত একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করে থাকি। ঐ সময় আমরা বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করি। কিন্তু তথ্য গুলো অনেক সময় নিজের কাছে গোপণ রাখার প্রয়োজন হয়। তাই এই গোপণীয়তার জন্য আপনি যে সফটওয়্যারের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করবেন, সেই সফটওয়্যার যদি অ্যাপ লক ব্যবহারের মাধ্যমে লক করে রাখেন, তাহলে আপনার তথ্য গুলো থাকবে নিরাপদ। সুতরাং আপনার তথ্যের নিরাপদের জন্য অ্যাপ লক সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন।
অনেক সময় আমাদের কাছে এমন কিছু ছবি থাকে, যেগুলো অন্যদের দেখতে দিতে চাই না। প্রয়োজনে অন্যের হাতে নিজের স্মার্টফোন দিলে এক ধরনের আতংক কাজ করে, এই বুঝি আমার গোপণ ছবি গুলো দেখে ফেলবে। যাতে অন্য কেউ আপনার ছবি গুলো না দেখে, সেটার জন্য অ্যাপ লক সফটওয়্যার ব্যবহারে করতে পারেন। যেটির সাহায্যে—যে সফটওয়্যারে আপনার ছবি গুলো আছে, সেটিতে লক দিয়ে রাখতে পারবেন। এছাড়াও আপনি সব ধরনের সফটওয়্যার— যেটাতে খুশি লক দিয়ে রাখতে পারবেন অ্যাপ লক সফটওয়্যারের মাধ্যমে।
উপসংহার
পুরো লেখাটিতে তুলে ধরা হলো অ্যাপ লক সফটওয়্যার ডাউনলোড পদ্ধতি এবং কেন ব্যবহার করবেন অ্যাপ লক সফটওয়্যার। আশা করি লেখাটি মনযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে পাঠক সহজে জানতে পারবেন অ্যাপ লক সফটওয়্যার সম্পর্কে।