ইউটিউব হলো একটি ভিডিও স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম যেখানে মূলত ভিডিও আপলোড করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এটি ভিডিও দেখা এবং আপলোড করার জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। এখানে কেউ ভিডিও আপলোড দিয়ে শেয়ার করে, আর কেউ সেই ভিডিও দেখে বিনোদনের জন্য অথবা নানান কিছু শেখার জন্য । যেমন: রান্নার ভিডিও, টিউটোরিয়াল, ছবি, গান, কার্টুন এই রকম হাজারো বিষয়ের অসংখ্য ভিডিও ইউটিউবে আছে। তাই আজকে আপনাদের ধাপে ধাপেে দেখাবো জনপ্রিয় “Youtube” এ্যাপটি কিভাবে ডাউনলোড করবেন।
সূচিপত্র
কিভাবে ইউটিউব “Youtube” এ্যাপ ডাউনলোড করবেন?
মূলত যেসব পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করে আপনি ইউটিউব অ্যাপ ডাউনলোড করবেন:
ধাপ-০১
আপনার ফোনে থাকা “প্লে স্টোর” এ্যাপটিতে ক্লিক করুন।
ধাপ-০২
“প্লে স্টোর” এ্যাপটিতে ক্লিক করার পর উপরের মতো একটি পেজ ওপেন হবে। এবং সেখানে সার্চের একটি ঘর থাকবে।
ধাপ-০৩
সার্চ করার ঘরটিতে ক্লিক করে লিখতে হবে “Youtube”
ধাপ-০৪
“Youtube” লিখে সার্চ করার পর উপরের মতো আরেকটি পেজ ওপেন হবে। সেখানে “Install” এ ক্লিক করবেন।
ধাপ-০৫
“Install” অপশনে ক্লিক করার পর উপরের মতো পুনরায় আরেকটি পেজ দেখতে পাবেন। যেখানে অ্যাপটি ডাউনলোড হবে। চাইলে আপনি “Cancel” অপশনে ক্লিক করে ডাউনলোড বন্ধও করে দিতে পারবেন।
ধাপ-০৬
ডাউনলোড শেষ হলে পুনরায় আরেকটি পেজ দেখতে পাবেন। পেজটির ওপেনএ ক্লিক করে “YouTube” এ প্রবেশ করতে হবে।
ধাপ-০৭
“Open” এ ক্লিক করলে সরাসরি আপনাকে উপরের মতো একটি পেজে নিয়ে যাবে। যেখানে আপনার ইচ্ছা মতো ভিডিএ সার্চ দিয়ে খুঁজে খুঁজে দেখতে পারবেন অথবা আপনি নিজে চ্যানেল খুলে ভিডিও তৈরী করে শেয়ার করতে পারবেন।
ইউটিউ এ্যাপ কেন প্রয়োজন?
Youtube অ্যাপটি আপনার দুটি কারণে প্রয়োজন হতে পারে।
- কোন কিছু দেখার জন্য। যেমন:নাচ,গান, মু়ভি, টিউটোরিয়াল এছাড়া আরো অসংখ্য বিষয়।
- ভিডিও আপলোড দিয়ে শেয়ার করা। অনেকে আছে ভিডিও তৈরী করে এবং শেয়ারের জন্য ইউটিউব ব্যবহার করে।
বর্তমান সময়ে ইউটিউবের ব্যবাহার
ইউটিউবে ক্লিক করলেই বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে যে কোন ভিডিও দেখা যায়। ইন্টারনেটে সক্রিয় থাকা মানুষের মধ্যে ইউটিউব ব্যবহারকারী সংখ্যা অধিক। এখন দেখবো কোন কোন কাজ গুলোতে ইউটিউব ব্যবহার হয়।
আয় করা
ইউটিউবে আয় করা যায়! কথাটা কারো কাছে বিশ্বাস হলেও,অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য। তবে, সত্য হলো ইউটিউবে আয় করা যায়। মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, কিভাবে আয় করবেন ইউটিউব থেকে? প্রথমে আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। সেখানে যদি বেশি সাবস্ক্রাইভ এবং আপনার আপলোড করা ভিডিওতে ভিউ সংখ্যা অধিক হয়, তাহলে এই চ্যানেলে গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ভালো পরিমানে আয় করতে পারবেন।
মার্কেটিং করা
ইউটিউবে আপনি দুই ভাবে মার্কেটিং করতে পারেন। একটি হলো আপনার পণ্য বা সেবার মার্কেটিং। ধরুন আপনার একটি ব্যবসা আছে। চাইলে আপনি সেই ব্যবসায়ের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে স্ক্রিপ্ট তৈরী করে ইউটিউবে শেয়ার করতে পারেন।
অন্যটি হলো নিজেকে পরিচিত করানো যেমন:আপনি নাচ পারেন, গান পারেন অথবা অন্য কোন এ্যাকটিভিটিস। এসবের ভিডিও তৈরী করে ইউটিউবে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে নিজেকে অন্যদের কাছে ফুটিয়ে তুলতে পারেন। এমন ইউটিউবার আছে যারা নিজেদের দক্ষতা গুলো ভিডিও তৈরীর মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে অনেকের কাছে পরিচিত করে তুলেছে নিজেকে।
টিউটোরিয়াল দেখা
আমাদের মনে অনেক ধরনের প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। এই প্রশ্নের উত্তরেে জন্য গুগল সার্চ করে বিভিন্ন ওয়েসাইটে প্রবেশ করে থাকি। ইউটিউব হলো এমন একটি মাধ্যম, যেখানে কোন না কোন ভিডিওতে আপনার প্রশ্নের উত্তর পেতে পারেন। কারণ এখানে আছে প্রশ্ন-উত্তর সম্পর্কিত অসংখ্য টিউটোরিয়াল।
বিনোদনের জন্য
ইউটিউব বিনোদনের একটি উৎসও বলা যেতে পারে। মন খারাপের সময়টাতে আমরা অনেকেই বিনোদনের অভাববোধ করি। সুতরাং ইউটিউব ভিজিট করে আপনার কাঙ্খিত বিনোদনের ভিডিও পেয়ে যেতে পারেন।
শেষ কথা
ইউটিউব একটি জনপ্রিয় অনলাইন সাইট। যেখানে আমদের সময় গুলো বিভিন্ন ভাবে কাটাতে পারি। সেটা ভিডিও দেখে হোক অথবা নিজেদের তৈরী ভিডিও আপলোড দিয়ে শেয়ার করে হোক। মূলত দিনের কোন কোন সময় সময় আমরা ইউটিউবে একটু হলেও প্রবেশ করে থাকি। তাই আজকে জানানোর চেষ্টা করেছি কিভাবে আপনার সেই কাঙ্খিত ইউটিউব চ্যানেল ডাউনলোড করবেন এবং সেটিতে কি কি কাজ করতে পারবেন।
কিছু জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
ইউটিউব কে আবিস্কার করেন?
তিন বন্ধু একসাথে মিলে Youtube আবিষ্কার করেছিলেন। তারা হলেন—Steve Chen, Chad Hurley, Jawed Karim
ইউটিউব কত সালে আবিস্কার করা হয়?
Youtube আবিষ্কার হয় ১৪ ফ্রেব্রুয়ারী ২০০৫ সালে।
ইউটিউব কোন দেশে আবিস্কার হয়?
বিখ্যাত আবিষ্কার গুলোর মতো Youtube এর আবিষ্কারও হয় আমেরিকাতে।
ইউটিউবের বর্তমান মালিক কে?
Youtube এর বর্তমান মালিক Google. কারণ ২০০৬ সালের ৯ই অক্টোবর ১.৬৫ বিলিয়ন ডলার দিয়ে Youtube কিনে নেয় Google.