নিশ সিলেকশন আর গার্লফ্রেন্ড সিলেকশন, দুটোই সমান গুরুত্বপূর্ন বিষয়। আপনি এর যে কোনো একটি সিলেকশনে ভুল করলে, পরবর্তীতে আপনাকে নিশ্চিত পস্তাতে হবে। যদিও প্রবাদে বলা হয়,”শেষ ভালো যার, সব ভালো তার”। কিন্তু আপনি যখন ব্লগের নিশ সিলেকশন করবেন। আপনাকে তখন শেষ ভালো নয়, বরং শুরুটাই ভালোভাবে করতে হবে। তারপর না হয় বিবেচনা করা যাবে, আপনার শেষটা ভালো হবে কিনা।
নিশ হলো একটি গাছের শিকড়ের ন্যায় দৃঢ। যে গাছের শিকড় যতো বেশি শক্ত, সেই গাছ ততো বেশি মজবুত। ঠিক তেমনি নিশ হলো, একটি ব্লগের শিকড়। আপনি এই শিকড়কে যতো বেশি শক্ত করতে পারবেন। আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার ততোবেশি মজবুত হবে। আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ারের শিকড়কে কিভাবে মজবুত করবেন। আজকে সে বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো।
সূচিপত্র
নিশ কি?
”ব্লগিং নিশ” কি, আশা করি তা আপনারা সবাই নিজের মতো করে সংঙ্গায়িত করতে পারবেন। তবে আমার সঙ্গায়, কোনো একটি ওয়েবসাইটে আলোচিত মূল বিষয়বস্তুকে বলা হয় ব্লগিং নিশ। যখন কোনো একটি ওয়েবসাইট, নির্দিষ্ট একটি টপিককে বা কীওয়ার্ডকে কেন্দ্র করে বিস্তারিত আলোচনা করে। যখন কোনো একটি নির্দিষ্ট টপিককে প্রমোশনের কাজ করে। আমরা সেই টপিককে উক্ত ওয়েবসাইটের নিশ বলতে পারি।
ধরুন, আপনি আপনার ওয়েবসাইটে সরিষার তেলকে প্রমোশন করান। আপনি সরিষা নিয়ে নতুন নতুন তথ্য দিয়ে ওয়েবসাইটকে আপডেট করেন। তাহলে খুব সহজেই বলা যায়, আপনার ওয়েবসাইটের নিশ হলো, সরিষার তেল। ঠিক এভাবেই অনলাইনের বুকে থাকা প্রায় প্রত্যেকটি ওয়েবসাইট নির্দিষ্ট কিছু নিশকে কেন্দ্র করেই কন্টিনিউ করে থাকে। এবং সেই নিশ সম্পর্কিত সব কীওয়ার্ড রিসার্চ করে তার পর সেই সব কীওয়ার্ড নিয়ে কাজ করে।
নিশ সিলেকশন কি?
ব্লগিং করার জন্য আপনি অনলাইনে অনেকগুলো নিশ খুজে পাবেন। তবে যখন একজন নতুন ব্লগার তার ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করে। তখন এই সময়ে তাকে বেশ হিমশিম খেতে হয়। আসলে সে বুঝে উঠতে পারেনা, কোন বিষয়টি নিয়ে ব্লগিং করবে, কোনটি বেছে নিলে ঠিক হবে । তবে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার, নতুন অবস্থায় সবারই এমনটা হয়।
ব্লগিং করার জন্য যখন বিশেষ বিচার-বিবেচনার মাধ্যমে, কোনো নির্দিষ্ট একটি নিশকে বাছাই করবেন। মূলত বাছাই করার এই প্রক্রিয়াকে বলা হয়,” নিশ সিলেকশন”। এখানে আমি বিচার-বিবেচনা বলতে বুঝিয়েছি, কোনো নিশ সমন্ধে পূর্নাঙ্গ ধারনা নেয়া। যেমন,উক্ত নিশের মার্কেট ডিমান্ড,কিওয়ার্ড র্যাংকিং,সার্চ কুয়েরি ইত্যাদি। তবে হ্যাঁ, সিলেকশনের ক্ষেএে অবশ্যই আপনার পূর্নাঙ্গভাবে রিসার্চ করা অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়।
মনে রাখবেন, এটি আপনার ব্লগিংয়ের শুরুতে একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। আর আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ারের শুরুতে যদি সঠিক সিন্ধান্ত না নিতে পারেন। তাহলে এই সেক্টরে সফলতা পাওয়ার আশা করাটা নিছক বোকামী ছাড়া কিছু নয় । একমাএ সঠিক সিন্ধান্তই আপনাকে অনেকদুর পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারবে।
আর যদি সঠিক সিন্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হোন,তাহলে মাঝপথে গিয়ে আপনাকে থেমে যেতে হবে। যার ফলে আপনার সময় এবং শ্রম দুটোই বৃথা যাবে। যাইহোক এবার আলোচনা করি, কিভাবে আপনি নিশ সিলেকশনে সঠিক সিন্ধান্ত নিবেন।
কেন নিশ সিলেকশন করবেন?
বর্তমানে প্রতিযোগীতার যুগে নিশ সাইট ক্রিয়েট করা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। মূলত এমন ওয়েবসাইটগুলো খুব দ্রুত নিজের অথোরিটি বিল্ডআপ করতে পারে। কারন যখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট একটি টপিককে কেন্দ্র করে আপডেট রাখবেন। তখন আপনার ওয়েবসাইট গুগলের কাছে পজেটিভ সিগন্যাল প্রদান করবে।
এছাড়াও আপনি আপনার অডিয়েন্সকে খুব সহজে আপনার ওয়েবসাইটের মুল বিষয়বস্তু সম্পর্কে বোঝাতে পারবেন এবং আপনার কীওয়ার্ড ডেনসিটিও বাড়াতে পারবেন। যার ফলে আপনার সাইটে ভিসিটর গ্রো করাও বেশ সহজ হবে। আর আমাদের ওয়েবসাইটে হাজার হাজার ভিজিটর আসুক, এটা তো আমরা সবাই চাই, তাইনা?
কিভাবে নিশ সিলেকশন করবেন?
সত্যি বলতে, অনলাইনে এই বিষয়ে অনেক তথ্য জমা আছে। আমার চেয়ে অনেক সিনিয়র ব্যক্তিরা অনেক আগেই এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে সিনিয়ন বলে কথা, তাদের বোঝানোর ভঙ্গি নতুনদের কাছে একটু কঠিন মনে হতে পারে। তাই আমি সহজভাবে একই বিষয় নিয়ে বোঝানোর চেস্টা করবো। তবে চেষ্টা করবো, তাদের থেকে আপডেট কিছু দেয়ার।
একজন ব্লগার হয়ে যখন আপনি নিশ সিলেকশন করবেন, তখন নিজেই নিজেকে ৩ টি প্রশ্ন করবেন।
- আপনি কোন বিষয়ে বেশি পারদর্শী।
- এমন কোন বিষয় আছে, যা আপনি সবসময় ভাবতে পছন্দ করেন এবং
- সেই বিষয়টি খুজে বের করুন, যা আপনি অন্যদের কাছে উপস্থাপন করতে পারবেন।
পৃথিবীতে বসবাস করা প্রত্যেকটি মানুষ কিছু না কিছু বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকে। যদিও দক্ষতা আর প্যাসন দুটো ভিন্ন জিনিস। দক্ষতা হলো, আপনার ভেতরে থাকা অভ্যন্তরিন গুনাবলি। আর প্যাসন হলো, কোন অদক্ষ বিষয়কে দক্ষ হওয়ার জন্য নিজে নিজে প্রানপন চেষ্টা করা। ভাবতে না চাইলেও সেই বিষয়ে অটোমেটিক ভাবনা চলে আসা। তাই দক্ষতার পাশাপাশি আপনাকে খুজে নিতে হবে, এমন কোন বিষয় আছে। যা আপনি প্যাসন হিসেবে নিয়েছেন বা নিতে পারবেন।
- প্রথমত আপনি একজন ব্লগার হিসেবে যখন ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করবেন। ঠিক তখনি আপনাকে খুজে নিতে হবে, আপনার ভিতরে এমন কোন দক্ষতা আছে। যে দক্ষতার বদৌলতে আপনি নিজেকে অন্যদের কাছে তুলে ধরতে পারবেন। সেটা হতে পারে আপনি কোডিং করতে ভালোবাসেন, কিংবা মানসম্মত ডিজাইন করতে পারেন বা আপনি ভালো লিখতে পারেন। তবে সে বিষয়টি খুজে নেয়ার দায়িত্ব নির্ভর করবে সম্পূর্ন আপনার উপর।
- দ্বিতীয়ত, আপনার ভিতরে থাকা সেই দক্ষতা নিজের প্যাসন হিসেবে নিতে পারবেন কিনা। ব্লগিংয়ে সফলতা আসুক বা না আসুক, কিন্তু আপনি সেই বিষয়ে একটানা ব্লগিং করার মতো মনোভাব নিতে পারবেন কিনা। যদি এমন মনোবল থাকে, তাহলে আপনাকে ব্লগিং সেক্টরে স্বাগতম।
তবে সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, আমরা বেশিরভাগ ব্লগার শুরুতেই দুটো ভুল করি। আমরা ব্লগিংয়ের শুরুতে -”নিশ সিলেকশনকে” তেমন একটা গুরুত্ব দেইনা্। আর শুরু থেকেই আমাদের মুল ফোকাস রাখি এসইও এবং ওয়েবসাইটের ডিজাইনের উপর।
আর দ্বিতীয় ভুল হলো, অন্যের ওয়েবসাইট দেখে কিংবা কারও ইনকাম দেখে নিশ সিলেক্ট করি। যখন দেখি কেউ ”হেলথ” নিয়ে ব্লগিং করে অনেক ডলার ইনকাম করছে। তখন আমরাও সেই বিষয়ে ব্লগিং শুরু করি। আবার অনেকেই আছেন, যারা কোনো প্রকার বিচার-বিবেচনা না করেই ”টেকনোলোজি” নিয়ে ব্লগিং শুরু করে দেয়।
যদি আপনিও ঠিক এভাবেই নিশ সিলেক্ট করে থাকেন। তাহলে বলবো, এটি আপনার ক্যারিয়ারে নেগেটিভ ইফেক্ট ফেলবে। কিছুদিন ব্লগিং করার পর আপনার আগ্রহ নিজে থেকেই কমে যাবে। কারন, একটা সময় আসবে যখন আপনি লেখার মতো নতুন কোনো কীওয়ার্ড খুজে পাবেন না। বা অন্যের কন্টেন্ট থেকে কপি করা আইডিয়া নিতে হবে।
এভাবে একসময় দেখা যাবে আপনার সাইট কন্টেন্টহীন অবস্থায় পড়ে থাকবে। এভাবে ধীরে ধীরে আপনিও ছিটকে পড়বেন ব্লগিং সেক্টর থেকে। এর প্রধান কারন হলো, আপনি শুরুতেই আপনার দক্ষতাকে ফোকাস না রেখে অন্যকে কপি করার চেষ্টা করছেন। যা একজন ব্লগারের শুরুর দিকে করা, সবচেয়ে বড় ভুল।
তাই প্রথমেই আপনার নিজের মধ্যে থাকা দক্ষ বিষয়টিকে খুজে নেয়ার চেষ্টা করবেন। যখন আপনি আপনার দক্ষ বিষয়টি খুজে পাবেন। তখন আপনার কাজ হলো, অডিয়েন্সকে টার্গেট করা। তবে এবার আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, ”অডিয়েন্স টার্গেট কি”। তো চলুন এবার সে বিষয়ে জেনে নেই।
টার্গেটেড নিশে অডিয়েন্স সিলেকশন
অডিয়েন্সকে টার্গেট করা অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়। গুরু্ত্বপূর্ন এই কাজটি করার সময় নিজেই নিজেকে কয়েকটি প্রশ্ন করবেন। যেমন,
- আপনি কার জন্য ব্লগিং করবেন
- কোন মানুষগুলো আপনার ব্লগে আসবে
- তারা কি আপনার ব্লগের বিষয়ে আগ্রহী কিনা
আমার মনে হয়, উপরে আলোচিত ৩ টি পয়েন্টকে একটু সহজ করলে আরও ভালো হবে। মূলত আপনি ব্লগিং করতে হলে, নিশ্চই আপনার সাইটে কন্টেন্ট পাবলিশ করে সাইটকে আপডেট রাখতে হবে। তো আপনাকে শুরুতেই ডিশিসন নিতে হবে যে, আপনি কার জন্য লিখবেন।
যেমন, আপনি যদি বাংলায় ব্লগিং করেন। তাহলে আপনার টার্গেট হবে ”বাংলাদেশী অডিয়েন্স”। আবার যদি হিন্দিতে লিখেন, তাহলে আপনার টার্গেট হবে ইন্ডিয়া। ঠিক এভাবেই আপনাকে স্পেসিফিক একটি অডিয়েন্সকে টার্গেট করতে হবে। তবে সবচেয়ে ভালো হয়, যদি আপনি পুরো ওর্য়াল্ডের অডিয়েন্সকে টার্গেট করতে পারবেন। তবে তার জন্য আপনার বাংলা কিংবা হিন্দিতে নয়, বরং ইংলিশে ব্লগিং করাই উওম হবে।
যাক এবার আসা যাক অন্য প্রসঙ্গে, ”কোন মানুষগুলো আপনার ব্লগে আসবে”।
যখন আপনি নির্দিষ্ট কোনো লোকেশনকে টার্গেট করবেন। এরপর আপনাকে জানতে হবে, আপনি আসলে কোন মানুষ গুলোকে টার্গেট করছেন। আপনি নির্দিষ্ট কোনো বয়সের মানুষকেও টার্গেট করতে পারবেন। যেমন, যদি আপনি ”নিউজ” নিয়ে ব্লগিং করেন। তাহলে সব বয়সের মানুষ আপনার ব্লগ ভিজিট করবে। আবার যদি আপনি ”ব্লগিং এসইও” নিশে ব্লগিং করেন। তাহলে আপনার টার্গেটে সেই মানুষগুলো পড়বে। যারা শুধুমাএ এসইও বা ব্লগ সম্পর্কে জানতে চায়।
এবার সর্বশেষ তিন নম্বর পয়েন্টে আসা যাক। যখন আপনি আপনার অডিয়েন্সকে টার্গেট করতে পারবেন। তখন আপনাকে জানতে হবে, আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্স আপনার ব্লগের বাছাই করা নিশ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী কিনা।
হতে পারে আপনি এমন একটা বিষয় নিয়ে ব্লগিং করছেন। যেটা মানুষের কাছে খুব একটা আগ্রহী না। কিংবা আপনি আপনার ব্লগে যে বিষয়গুলো শেয়ার করবেন। সে বিষয় সম্পর্কে তারা অনেক আগে থেকেই জানে। তাহলে তারা আপনার ব্লগে এসে কেন সময় ব্যয় করবে। সেজন্য আপনি সেই নিশ নিয়ে খুব বেশিদুর এগুতে পারবেন না। তাই এ বিষয়টিও আপনাকে মাথায় রাখতে হবে।
নিশ সিলেকশন করার পূর্বে যখন আপনি এই বিষয়গুলো ভালোভাবে রিসার্চ করে একটি নিশ সিলেক্ট করবেন। এরপর আপনাকে জানতে হবে, আপনার নিশে ডিমান্ড সম্পর্কে। মূলত অনলাইনে সেই নিশের ভ্যালু আছে কিনা। কারন, যে বস্তুর ভ্যালু নেই। আপনি কেন সেই বস্তুর পেছনে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন, তাইনা? এবার জানা যাক ভ্যালুয়েবল নিশ সম্পর্কে।
ভ্যালুয়েবল নিশ কি?
ব্লগিং করার জন্য আপনি অনেক নিশ পাবেন। তাই বলে কি আপনি যে কোনো একটিকে বাছাই করে ব্লগিং করবেন? আশা করি আপনি এই ভুলটা কখনই করবেন না। তার আগে আপনাকে সেই নিশের ভ্যালু প্রোভাইড কিনা সে সম্পর্কে জানতে হবে।
নিশ সিলেকশন |
এখানে ভ্যালু বলতে, আপনি যে নিশটি সিলেক্ট করবেন। সেই বিষয়ে মানুষ অনলাইনে সার্চ করে কিনা, কি পরিমান মানুষ আপনার সেই নিশ রিলেটেড বিষয় সমন্ধে জানতে চায়। বিশ্বের উচ্চবিও দেশ যেমন, ইউরোপ,আমেরিকার মানুষ এই বিষয়গুলো গুগল কিংবা অন্যান্য সার্চ ইন্জিনে সার্চ করে তো? ইত্যাদি বিষয়গুলো যে নিশগুলোতে যুক্ত আছে। তাকেই বলা হয়, ভ্যালুয়েবল নিশ।
কিভাবে ভ্যালুয়েবল নিশ সিলেকশন করবেন?
যেকোনো নিশের ভ্যালু নির্নয় করার বেশ কিছু উপায় আছে। তবে পুরোপুরি রিসার্চ করার জন্য আপনাকে বেশ কিছু সময় ব্যয় করতে হবে । কারন, নিশ বাছাই করার এটিই শেষ ধাপ। তাই পুরোপুরি ধারনা নেয়াটা অত্যন্ত জরুরী। তো ভ্যালুয়েবল নিশ বাছাই করার জন্য আপনাকে বেশ কয়েকটি বিষয় জানতে হবে।
সার্চ ভ্যালু:
যেকোনো নিশের ভ্যালু বের করার সহজ উপকরন হলো, সেই নিশের সার্চ ভ্যালু সম্পর্কে জানা। আসলে মানুষ সেই বিষয়টি অনলাইনে জানতে চায় কিনা। যদি দেখেন হিউজ পরিমান মানুষ সেই বিষয়টি অনলাইনে বিভিন্ন মাধ্যমগুলোতে জানতে চায় বা তাদের জানার আগ্রহ বেশি। তাহলে বুঝে নিবেন, সেই নিশে কাজ করা উচিত।
তবে এমন কিছু বিষয় আছে, যেগুলো বর্তমানে হয়তবা সার্চ ভ্যালু নেই। কিন্তু ভবিষ্যতে সেই বিষয়ের প্রতি মানুষের জানার আগ্রহ বাড়বে। তাহলে সেই বিষয়কেও ভ্যালুয়েবল নিশ হিসেবে গন্য করা হবে। কিন্তু যদি দেখেন যে নিশের সার্চ ভ্যালু আগে অনেক বেশি পরিমানে ছিলো। কিন্তু দিনে দিনে তা কমে যাচ্ছে, তাহলে কখনই সেই নিশ নিয়ে ব্লগিং শুরু করবেন না।
অডিয়েন্স ভ্যালু:
এখানে আমি অডিয়েন্স বলতে, আপনার সাইটে আসা ভিজিটরদের বুঝিয়েছি। তো আপনি এমন বিষয় নিয়ে ব্লগিং করেন। যেগুলো সার্চ ভ্যালু তো অনেক। কিন্তু শুধু বাংলাদেশ কিংবা ভারতের মানুষরা সেই বিষয়ে সার্চ করে। তাহলে হয়তবা সেই নিশকে ঠিক ততোটা ভ্যালুয়েবল বলা যাবেনা,যতোটা ভ্যালু পাবে আমেরিকা বা ইউরোপ থেকে ভিজিটর আসলে।
হয়তাব ভাবছেন, এটা আবার কেমন কথা। তো শুনুন, আপনি ব্লগিং করতে চাচ্ছেন কিসের জন্য? নিশ্চই ইনকাম করার জন্য। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে দেখা যাবে, আপনি না পারবেন গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে,না এফিলিয়েট করতে পারবেন। তবে যখন আপনার সাইট পপুলার হবে। তখন হয়তবা দু একটা স্পন্সারের অফার পেতে পারেন। তাহলে ভেবে দেখুন এমন নিশ কেন বাছাই করবেন?
ইনকাম ভ্যালু:
যদি আপনি ব্লগিংকে নিজের প্যাসনের পাশাপাশি ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চান। তাহলে অবশ্যেই আপনাকে সেই ব্লগ থেকে ইনকাম জেনারেট করতে হবে। তবে আপনার যদি অন্য ইনকাম সোর্স থেকে থাকে। তাহলে তো সেটা অন্য বিষয়।
তো ব্লগিং করে মূলত কিভাবে ইনকাম হয়? – নিশ্চই এফিলিয়েট,এডসেন্স,স্পন্সর থেকে। তো এমন নিশ সিলেক্ট করবেন, যে নিশগুলো ইনকামের সব মাধ্যমের জন্য উপযোগী হয়। তাহলে সেই নিশ হবে ভ্যালুয়েবল নিশ।
শেষ কথাঃ
আজকের আর্টিকেলে নিশ সিলেকশন সম্পর্কে স্বল্প কিছু গাইডলাইন দেয়ার চেষ্টা করেছি। তো এবার আপনাকে নিজে থেকেই সিন্ধান্ত নিতে হবে, আসলে আপনি কোন নিশে ব্লগিং করবেন আর কোন নিশে করবেন না। তবে আমি আশা রাখি, আজকের এই গাইডলাইন ফলো করলে, নিশ সিলেকশন করতে কোনো প্রকার সমস্যায় পড়তে হবে না।