ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য যেকোনো ধরনের কাজকে কেন্দ্র করে কাজ করা যায়। আপনার যদি পাওয়ার পয়েন্ট অথবা মাইক্রোসফট এক্সেল এর উপর পারদর্শিতা থাকে আপনি চাইলে এইটাকে কেন্দ্র করেও বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারবেন। 

 কিন্তু এই সকল কাজে সব সময় একই উপার্জন থাকে না বা তুলনামূলকভাবে কম হয়।  এর পর্বে আলোচনা করছি কোন কাজগুলো শিখলে ভালো হবে, বাংলাদেশের কোন কাজে চাহিদা বেশি,  একজন ফ্রিল্যান্সার ওয়েব ডিজাইন অথবা ডেভেলপার হিসেবে কত টাকা আয় রোজগার করছে,  ফ্রিল্যান্সিং এর কোর্সের মূল্য কত,  কোথা থেকে শিখলে ভালো হবে এই সব কিছু নিয়ে আলোচনা করেছে।

নিচে বেশ কিছু পয়েন্ট আলোচনা করছি যেগুলা কে কেন্দ্র করে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন।

ওয়েব ডিজাইন

এই ওয়েব ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট এর কাজ করে প্রচুর টাকা আয় রোজগার করা যায়।  আপনি যদি প্রোগ্রামিং এর সম্পর্কে আগ্রহ থাকে বা এই ধরনের কাজ শিখতে চান তাহলে ওয়েব ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট শিখতে পারেন। 

ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন
ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন

 একজন ওয়েব ডিজাইনারের ঘন্টায় ২০ থেকে ৩০ ডলারের বেশি আয় করে থাকে।  তার মানে বোঝা যাচ্ছে যে সে যদি একটা ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য 30 থেকে 40 ঘন্টা লাগায়,  তাহলে তার সেই ওয়েবসাইট তৈরি করা থেকে উপার্জন হচ্ছে প্রায় ৯০০ ডলার এর বেশি তার মানে বাংলা টাকায় প্রায় ১ লক্ষ টাকা। 

তাই আপনার যদি ওয়েব ডিজাইন ডেভেলপমেন্টে দক্ষতা থাকে তাহলে এই লক্ষ্য থাকে কাজে লাগে ভালো অংকের টাকা আয় ব্যবস্থা করতে পারবেন।

 

ডিজিটাল মার্কেটিং 

একজন ডিজিটাল মার্কেট মানে হচ্ছে সে মোটামুটি সব ধরনের কাজ পারবে।  সে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবে সে ইমেইল মার্কেটিং করতে পারবে সে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কাজ করতে পারবে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন
ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন

 ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে বিশাল এক সমুদ্র আর এ সমুদ্র এর বিভিন্ন শাখা প্রশাখা বলতে নদী-নালাই হচ্ছে এখানে ইমেইল মার্কেটিং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং অনলাইন বিজ্ঞাপন ইত্যাদি।

 একজন ডিজিটাল মার্কেটের যেকোনো একটি কাজ করেও কিন্তু অর্জন করতে পারে যেমন সে যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কাজ পারে তাহলে অনায়াসে শুধুমাত্র মিডিয়াম মার্কেটিং এর কাজ করতে পারবে। 

 আমি আর একটা করবে আলোচনা করব সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি,  ইমেইল মার্কেটিং কি,  এসইও কি,  অনলাইন বিজ্ঞাপন কি, 

 একজন ডিজিটাল মার্কেট সে ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ ডলারের বেশি আয় করতে পারে। 

ডিজিটাল মার্কেটিং কোন সেক্টর সবচেয়ে চাহিদা বেশি থাকে?

এসইও কি what is SEO in Bangla

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট 

একটু আগে যে টপিক টা নিয়ে কথা বলছি সেটা হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন।  ওয়েব ডিজাইন হচ্ছে যেটা আমরা একটি ওয়েবসাইটের সামনে অবস্থায় দেখি।  কিন্তু ভেতরে অনেক কাজ আছে যেগুলা ডেভেলপমেন্ট দ্বারা করানো হয়। 

 যেমন একটি ওয়েবসাইটকে ডাইনামিক করার জন্য ব্যাক এন্ড এর কাজ করা হয় আরি ব্যাক এন্ড এর কাজকে ডেভেলপমেন্ট বলা হয়।  অর্থাৎ এর ভেতরে যে সকল ফাংশন গুলা থাকে যখন আমরা একটি কমান্ড ওয়েবসাইটের প্রদান করি সেখান থেকে একটা রিপ্লাই আসে এটাই হচ্ছে ডেভেলপমেন্ট এর কাজ।

 ডেভেলপমেন্ট এর কাজ তুলনামূলকভাবে কঠিন কিন্তু এর ডিমান্ড ও ভালো।  এটা সাধারণত বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ দ্বারা করানো হয়। যেমন পিএইচপি জাভাস্ক্রিপ্ট পাইথন ইত্যাদি এই ধরনের ল্যাঙ্গুয়েজ গুলো ব্যবহার করা হয়।

আরে চিনি ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট দুটো একসাথে পারে তাকে বলা হয় হচ্ছে ফুল স্টাক ডেভেলপার অর্থাৎ উভয়ই পারে. এদের মোটামুটি বিশ থেকে ত্রিশ ডলার ঘণ্টায় আয় করে থাকে।

বিজনেস কনসালটেন্সি 

বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যাদের ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য একটি রোড ম্যাপ এর প্রয়োজন পড়ে।  কিভাবে সেই ব্যবসাটি সামনের দিকে আগাবে বা সফলতা অর্জন করবে এই ব্যাপারগুলা কোন একজন বিজনেস কনসাসটেন্সি দ্বারা পরামর্শ নিয়ে করিয়ে থাকে।  ধরুন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট কিভাবে একটা ব্যবসার সেলস জেনারেট করা যায় এ ব্যাপার সম্পর্কে আপনি অবগত আছেন।

ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন
ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন

 আপনি জানেন কোন ধরনের রোড ম্যাপ ব্যবহার করলে সে ব্যবসাটি সফলতা অর্জন করতে পারবে।  এখানে আপনি শুধু সেই ব্যবসায় একজন কনসালটেন্স হিসেবে তাদের জন্য একটি রোড ম্যাপ তৈরি করে দিবেন।  এবং যতদিন না পর্যন্ত সেল জেনারেট না হবে ততদিন পর্যন্ত আপনি বিভিন্ন রকম আইডিয়া শেয়ার করবেন।

 এখানে কিন্তু আপনার কোন ধরনের কাজ করতে হবে না শুধু আপনাকে মাথা কাটায় তাদের কে আপনার আইডিয়া শেয়ার করতে হবে।  তারা যদি কোন জায়গায় বেধে যায় বা অসুবিধা হয় আপনি সেই জায়গায় আপনার অভিজ্ঞতা দ্বারা সমাধান করবেন। 

 একজন বিজনেস কনসালটেন্ট তার ঘন্টায় প্রায় 50 থেকে 100 ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারে।  এই বিজনেস কনসালটেন্স এর বেশি আয় রোজগার কারণ তারা তাদের সমস্ত অভিজ্ঞতাটুকু তাদের কে শেয়ার করে দিচ্ছে এর জন্যই এখানে আয় হয়ে থাকে বেশি।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট

ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট যেকোনো কাজের মধ্যে দিয়ে হতে পারে ।  কিন্তু অ্যাসিস্ট্যান্ট বলতে কি বুঝায়? 

ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন
ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন

 এটা হচ্ছে এমন একটা কাজ বা আপনি এমন একজনের অ্যাসিস্ট্যান্ট থাকবেন যে কিনা আপনাকে বাহিরের দেশ থেকে নিয়ন্ত্রণ করবে।  অর্থাৎ সেই দেশ থেকে আপনাকে বিভিন্ন রকম ডকুমেন্ট পাঠাবে যেগুলো আপনাকে বলবে এর সমাধান অথবা এন্ট্রি গুলা অর্গানাইজ করা গুলা আপনার করতে হবে। 

যিনি ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে আপনাকে কাজ দিবেন তিনি সেই অফিসের বা উক্ত দেশের কেউকে যদি হায়ার করে রাখত তাহলে তাকে মোটা অংকের টাকা গুনতে হতো।  কিন্তু এখানে সে বুদ্ধিমত্তার কাজটা করছে যে বাইরে থেকে কম টাকার বিনিময়ে তার যে ছোট ছোট কাজগুলা করিয়ে নিচ্ছে। 

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট সাধারণত ডাটা এন্ট্রি অথবা রেস্টুরেন্ট রিজার্ভেশন বা ছোট ছোট যে কাজগুলা যেগুলা বারবার বারবার করতে হয় । যেগুলা খুবই বিরক্তি কর সেই ব্যক্তির জন্য যেগুলো আপনাকে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে কাজগুলো করিয়ে নেবেন। 

 একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর ঘন্টায় 15 থেকে 20 ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকেন। 

কোন কাজটি সিলেক্ট করবেন ফ্রিল্যান্সিং এর শুরুতে | কোন কাজ শিখলে ভালো হবে

এখানে আমি বলব শুরুতে আপনি কোন একটি সহজ কাজ দিয়ে শুরু করবেন তাহলে আপনি দীর্ঘদিন কাজ করার আগ্রহ পাবেন । আপনি যদি কোন একটা কাজ কঠিন ভাবে শুরু করেন তাহলে হয়তো সেখান থেকে উপার্জন খুব শীঘ্রই নিশ্চয়ই করতে পারবেন না।  যার ফলশ্রুতিতে আপনি হয়তো ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজের বা এই যাত্রাটা আর দীর্ঘস্থায়ী করবেন না তাইতো?

 আচ্ছা এখন আমি জানাচ্ছি যে কোন কাজ দিয়ে শুরু করলে ভালো হবে

আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করতে যান বা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে যদি কাজ শিখা বা এইটার উপরে যদি স্বপ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং দিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। 

সোশ্যাল মিডিয়া কাজ তুলনামূলকভাবে সহজ হয়ে থাকে কারণ এখানে আপনার অতিরিক্ত কোন কাজ শিখতে হয় না বা জটিল কোন প্রক্রিয়া দিয়ে কাজ সম্পাদন করতে হয় না।  এইজন্য সোশ্যাল মিডিয়া কাজ প্রথমে শিখতে বলবো। 

সোশ্যাল মিডিয়া কাজের প্রক্রিয়া : সোশ্যাল মিডিয়ার কাজের প্রক্রিয়াটা হচ্ছে প্রথমে আপনাকে যত সোশ্যাল মিডিয়ার একাউন্ট আছে যেগুলো ক্লাইন্ট আপনাকে তৈরি করতে বলবে সেগুলোতে আপনি শুধু অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন।  তারপর ক্লাইন্ট আপনাকে ছবি দিয়ে দিবে অথবা কনটেন্ট দিয়ে দিবে। আপনি শুধু সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট গুলাতে পোস্ট করবেন নিয়মিত। 

দ্বিতীয় যে কাজটা বলবো সেটা হচ্ছে আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর ক্যারিয়ার গড়তে চান।  বা এই ডিজাইন এর কাজ করাতে আপনার বেশ আগ্রহ তাহলে আপনি ফটো এডিটিং এর যে কাজ করতে পারেন তার ভেতরে অন্যতম হচ্ছে ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ এর কাজ। 

 এই কাজটা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি যেমন একটা ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর জন্য হাজার হাজার প্রোডাক্ট ক্লায়েন্ট এর কাছে আছে কিন্তু প্রত্যেকটা প্রোডাক্ট এর পেছনে কোন না কোন ব্যাকগ্রাউন্ড থাকে আর ব্যাকগ্রাউন্ড যদিও না থাকে ওয়েবসাইটের কাস্টমারদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য প্রোডাক্টটিকে বেশ নান্দনিক ভাবে সামনে উপস্থাপন করতে হয়। 

তো এর জন্য প্রথমে ছবিটা ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করে নিয়ে তারপর কাজ করতে হয়।

ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করার প্রক্রিয়া : ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করা বেশ সহজ একটি কাজ এটা আপনি দুইটি ভাবে করতে পারেন একটি হচ্ছে ফটোশপ দিয়ে আরেকটি হচ্ছে বিভিন্ন সফটওয়্যার দিয়ে। 

 আপনার যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন এর স্বপ্ন থাকে আপনি অবশ্যই ফটোশপ দিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ এর কাজ শুরু করবেন কারণ,  ভবিষ্যতে আপনি গ্রাফিক্স নিয়ে কাজ করবেন তো গ্রাফিক্সের মূল যে সফটওয়্যার সেটা হচ্ছে ফটোশপ এইটা নিয়ে যদি আপনি ছোট ছোট কাজ করতে থাকেন তাহলে ভবিষ্যতে আপনার বড় বড় ডিজাইনের কাজ করতে বেশ সহজ হয়ে যাবে।  ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ এর কাজ যদি বিভিন্ন অনলাইনের টুল দিয়ে করেন তাহলে হয়তো ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ টা ভালো নাও হতে পারে যতটা ভালো ফটোশপ দিয়ে করা সম্ভব। 

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি 2023

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের চাহিদা রয়েছে যে সমস্ত তার ভিতরে হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ওয়েব ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট ।

ওয়েব ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে আর আপনি যদি ডেভেলপমেন্ট হিসাবে স্ক্রিপ্ট কে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে ক্যারিয়ার করতে চান সেই ক্ষেত্রে এটা একটা ভালো অপরচুনিটি বা সুযোগ।  বর্তমানে বিশ্বের এক নাম্বারে আছে এই জাভা স্ক্রিপ প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। 

আর আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর ক্যারিয়ার করতে চান বা চাহিদার কথা চিন্তা করেন সে ক্ষেত্রে আগামী পাঁচ বছরে এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা বেড়েই চলেছে। 

 ডিজিটাল মার্কেটিং এর যেহেতু অনেক গুলি সেক্টর আছে যে কোন একটি সেক্টর ধরে কাজ শুরু করবেন আস্তে আস্তে পরিধি বৃদ্ধি করতে পারবেন। 

বাংলাদেশে ডিজিটাল মার্কেটিং কোন কাজের চাহিদা বেশি

বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে সকল কাজ এর চাহিদা বেশি তার ভেতরে হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং ।

একটি প্রতিষ্ঠান যখন শুরু হয় তার জন্য একজন ডেভলপারের প্রয়োজন হয় সে শুধুমাত্র ওয়েবসাইট তৈরি করে দেয় এবং সামান্য ছোট ছোট প্রোগ্রাম শেখ করে দেয় কিন্তু।  সে প্রতিষ্ঠানকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একজন ডিজিটাল মার্কেটের চাহিদা প্রত্যেকটা দেশেই চাহিদা আছে থাকবে।

যেহেতু বাংলাদেশের বর্তমানে ইন্টারনেটের দুনিয়ায় প্রবেশ করছে।  সেহেতু ডিজিটালই প্রত্যেকটা জিনিস প্রসার করাটাই হচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানিদের প্রধান কাজ।

ফ্রিল্যানসিং করে কত টাকা আয় করা যায়

ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করা যায় এই ব্যাপারটা হয়তো অনেকে ভালোভাবে জানায় না ।
কারণ তাদের ইনকাম কোন সময় অনেক বেশি হয় আবার অনেক সময় নাও হতে পারে কিন্তু তাদের এভারেজ যে ইনকাম তা হচ্ছে 

একজন ডিজিটাল মার্কেটের ইনকাম ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ ডলার 

একজন ওয়েব ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট এর ইনকাম ঘন্টায়  ৩০ থেকে ৪০ ডলার

একজন কনসালটেন্ট এর ইনকাম ৫০ থেকে ১০০ ডলার

 একজন ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট এর ইনকাম ১৫ থেকে ২০ ডলার

এই চারটা ব্যাপারে আমি উপরে বেশ কিছু কথা আলোচনা করেছি চাইলে সেগুলো পড়ে আসতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ

ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে কাজটা নতুনদের জন্য সবথেকে বেশি সহ সেটা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। এই ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা তুলনামূলক সহজ।  এবং খুব কম সময়ের ভেতর শিখে ফেলতে পারে

আপনার যদি অনলাইন মার্কেটিং সম্পর্কে ধারণা থাকে তাহলে এই ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার কাছে খুবই সহজ মনে হবে।  তো আপনি যদি নতুন হন এবং কাজ শিখতে চান তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটা অংশ সেটা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং অথবা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর কাজ শিখতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত টাকা লাগে 

ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে সব সময় চিন্তা করতে হবে যারা ভালো শেখায় টাকার অংক যদি বেশি হয় তাহলে তাদের কাছ থেকে শেখা। একটা জিনিস মনে রাখবেন বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সবাই শেখাচ্ছে।  যারা শেখাচ্ছে মনে রাখবেন তাদের টাকার অংকের পরিমাণটা যদি কম হয় তাহলে নিবেন যে তারা হয়তো অতটা জানেনা তারা যতটুকু জেনেছে ততটুকু তারা বিক্রি করে উপার্জন করতে চাচ্ছে। 

কিন্তু তাদের লাইফ প্রজেক্ট করা অর্থাৎ ক্লায়েন্টের সাথে থেকে কাজ করা অভিজ্ঞতাটা অতটা না থাকার কারণে তারা অথবা ডিমান্ডও করতে পারে না তাদের কোর্সগুলিতে।’

তাই আপনি যদি কোন ইনস্টিটিউট এ যান তাহলে দেখবেন কাজ শেখার পরে তারা কোন লাইভ প্রজেক্ট করাচ্ছে কিনা। কারণ একটা স্টুডেন্ট এর কাছে লাইভ প্রজেক্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ এখান থেকে তারা বেশ উৎসাহ এবং আগ্রহ পায়। ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করার জড়তা চলে যায়।  

ফ্রিল্যন্সিং কোর্স ফ্রি

ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোর্স ফি এক একটা ইনস্টিটিউট এক এক রকম নিয়ে থাকে । ইতিমধ্যেই আমি বলেছি ফ্রিল্যান্সিং যদি শিখতে হয় তাহলে ভালো একটি ইনস্টিটিউট থেকে শিখতে হবে।  এখন আমি exactly বলতে পারবো না যে কত টাকা নেয় সেই ইনস্টিটিউট। 

এখানে আপনি ধরে নেন যদি ভালো শেখায় সে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ শেখার জন্য  ২০ হাজার টাকার বেশি তারা চার্জ করতে পারে।  আর যদি ওয়েব ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট হয় তাহলে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা তারা নিতে পারে।

আশা করি আপনার সম্পূর্ণ পোস্টটি ভাল লেগেছে ভাল লাগলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন যারা এই ধরনের প্রশ্ন নিয়ে জানতে চাচ্ছে আর এই ধরনের প্রশ্ন সচরাচর কোন একটা ব্লগে দেওয়া থাকে না আমি চেষ্টা করেছি সকলের প্রশ্নগুলো নিয়ে নিয়ে উত্তর গুলো দেওয়া যেন আপনারা খুব সহজেই একটি জায়গায় সব উত্তরগুলো পেয়ে যান ।

Leave a Comment