টাকা ইনকাম করার পাঁচটি সহজ উপায় বাংলাদেশে
আজকে আমি শেয়ার করব পাঁচটা গুরুত্বপূর্ণ টাকা আয় করার পদ্ধতি যা যেকোনো একটা বেছে নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন তাহলে সেখান থেকে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
এবং মজার ব্যাপার হচ্ছে এই দশটা কাজ যা বহুল প্রচলিত কাজ। তো চলুন শুরু করা যাক।
আপনি যদি আমার এই ওয়েবসাইটে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমার এই কনটেন্টটি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।
আমি সাধারণত এই ওয়েবসাইটে ফ্রিল্যান্সিং এবং বিজনেস সংক্রান্ত টিপস এন্ড ট্রিকস দিয়ে থাকি।
১. টিউশন
এটা শুনে অনেকে বলতে পারেন। টিউশনি তো আপনি জীবনেও করিয়েছেন দুই একজনকে।
জি হ্যাঁ এই টিউশনটা যদি আপনি যে কোন একটা বিষয়ে পারদর্শ হয়েও টিউশনি করেন তাহলে আমি মনে করি আগামী দুই বছরের ভেতর আপনি সেই বিষয়টার উপর বেশ দক্ষ হয়ে উঠবেন।
আর এইটা সাধারণত জীবনে গুরুত্বপূর্ণ কাজে এই অভিজ্ঞতাটা কাজে লাগে যেমন
ধরুন আপনি এমন একটা সাবজেক্ট নিয়ে দুই বছর টিউশন করলেন সেটা হতে পারে ফিজিক্স কেমিস্ট্রি অথবা একাউন্টিং ফিনান্স।
একটু ভাবুন তো আপনি যদি কোন একটা বিষয়ে অনেক অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন ধরে নিলাম আপনি একাউন্টিং বিভাগে বেশ এক্সপার্ট হয়ে উঠেছেন বিগত দুই বছরে টিউশন করিয়ে। তার মানে দাঁড়াচ্ছে, আপনাকে যেখান থেকে যেভাবে ঘুরিয়ে পেচিয়ে অংক দিক না কেন আপনি কিন্তু একাউন্টিং অথবা ফিনান্স ডিপার্টমেন্টের অংক গুলো খুব সহজে করে দিতে পারবেন। তাহলে আপনার চাকরির ক্ষেত্রে এটা কতটা প্রভাব ফেলতে পারে?
জি হ্যাঁ আপনি যদি যেকোন একটা বিষয়ে দুই বছর টিউশন করান তার পর থেকে আপনি ওই বিষয়ে এতটাই এক্সপার্ট হবেন যে আক্ষরিক অর্থে আপনি জব পেতে বাধ্য।
অথবা আপনি যদি মনে করেন যে আমার চাকরি করার অতটা আগ্রহ নাই আপনার টিউশনির অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ব্যাচ পরিচালনা করতে পারেন।
৫ জন ১০ জন স্টুডেন্ট গঠন করে আপনি চাইলে আপনার ব্যাচ গঠন করতে পারেন।
আচ্ছা এখন হয়তো আপনি বলতে পারেন যে আমি তো টিউশনি পাইনা বা কিভাবে টিউশনি পাবো।
এটার জন্য সুন্দর করে একটা লিফলেট তৈরি করে রাস্তার দেয়ালে এটে দিতে পারো। অথবা এমন কিছু ব্যক্তিবর্গ আছে যারা আপনাকে টিউশন ম্যানেজ করে দেবে কিন্তু প্রথম মাসের অর্ধেক শতাংশ টাকা তাকে দিয়ে দিতে হবে তারপর থেকে স্টুডেন্ট আপনার।
তো এখানে হবে কি আপনি যদি একটা স্টুডেন্ট পান সেই স্টুডেন্টের থেকে আপনি আরো দুইটা স্টুডেন্ট পাবেন যদি আপনি ভালো টিউশন করাতে পারেন।
এভাবে আপনার স্টুডেন্ট সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকবে।
তো আজকে থেকে আপনি টিউশনি করে আয় রোজগার শুরু করে দিতে পারেন
২. ডিজাইন
ডিজাইনের ব্যাপারে আমি কিছু নেগেটিভ কথা বলব পজিটিভ ও কথা বলব।
আগের নেগেটিভ ব্যাপারটা আলোচনা করি। বর্তমানে প্রেক্ষাপটে ইন্টারনেটের ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করার কারণে ছোট ছোট ডিজাইনার তারা এখন অতটা স্বাবলম্বী হতে পারছে না।
কারণ বর্তমানে ডিজাইনের এমন বেশ কিছু ফ্রি রিসোর্স চলে এসেছে যার মাধ্যমে যেকোনো বড় বড় ইউনিক ইউনিক ডিজাইন করে ফেলা যাচ্ছে কয়েক মিনিটের মাধ্যমে।
তো এতে করে যারা ইউনিক ডিজাইন চিন্তা করতে একদিন দুইদিন সময় লাগিয়ে ফেলে তো তাদের জন্য এই ডিজাইন টা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।
কিন্তু এই গ্রাফিক্স ডিজাইনের সুবিধার দিকটা হচ্ছে। পৃথিবীতে যতই ইন্টারনেটের দৌরাত্ম বার হোক না কেন।
আপনি যদি একজন খাঁটি এবং খুব সৃজনশীল সম্পূর্ণ ডিজাইনের হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই যে কোন কোম্পানি চড়া মূল্যে রাখতে বাধ্য।
কারণ চিন্তা করেন যে আপনি সেই প্রতিষ্ঠানের জন্য এমন একটা ডিজাইন তৈরি করছেন যেটা সম্পূর্ণ আপনার নিজের তৈরি।
অন্যদিকে যে সমস্ত রিসোর্স ফ্রিতে এই ধরনের ডিজাইন দিচ্ছে এটা মনে রাখবেন সেই ডিজাইনগুলো কিন্তু আর ১০ জন ব্যবহার করছে।
তাহলে সেই ডিজাইনের রিসোর্সটা যতই ইউনিক হোক না কেন দিনশেষে দেখলে মনে হবে যে সেটা কোন একটা টুল অথবা সফটওয়্যার দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
এখানে ক্রিয়েটিভিটির কোন প্রশ্নই আসেনা। তো আপনি যদি একজন ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে থাকেন কোন প্রতিষ্ঠানের হয়ে যখন কাজ করবেন তখন ইউনিক ইউনিক ডিজাইন করলে আপনি অবশ্যই অনেক দিন যাবত সেখানে কাজ করতে পারবেন।
এর পাশাপাশি আপনার গ্রাফিক্স ডিজাইনের অভিজ্ঞতাটা ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
আপনি যদি একজন সফল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে ইন্টারনেটের বেশ কিছু মার্কেটপ্লেস আছে যার নাম হচ্ছে Upwork ফাইবার এই ধরনের মার্কেটপ্লেসে আপনার কাজগুলো সরবরাহ করেও আয়োজন করতে পারবেন
আজ শুরু করে দিন আপনি যদি এই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর আগ্রহী হয়ে থাকেন।
৩. ভিডিও এডিটর
আমরা যখন ইউটিউবে যাই দেখি অনেক সুন্দর সুন্দর ভিডিও। যেগুলো কখনোই শুধুমাত্র রেকর্ড করে youtube এ সম্প্রচারণ করা হয়নি।
সেই ভিডিওটা সর্বপ্রথম রেকর্ড করার পর এডিটিং এর মাধ্যমে সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপন করে সম্প্রসারণ করে।
এখন বর্তমানে প্রতিটা সোশ্যাল মিডিয়াতে ভিডিও এতটা গুরুত্বপূর্ণ যে তুমি যত ছোট ভিডিও বড় ভিডিও হোক কিন্তু ভিডিও যদি আপলোড করতে পারো প্রতিনিয়ত অবশ্যই অবশ্যই সেই সোশ্যাল মিডিয়াতে অথবা আপনার পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে
যতই ব্র্যান্ডিং করতে যাই না কেন আমাকে অবশ্যই ভিডিও আপলোড করতে হবে এবং ভিডিও যদি মানসম্মত করতে চাই অবশ্যই একজন এডিটরের প্রয়োজন পড়বে।
তো তুমি যদি ভিডিও এডিটিং এর উপর বেশ দক্ষ হয়ে থাকো তাহলে এখনই কাজ শুরু করে দিতে পারো আর যদি দক্ষ না হয়ে থাকো তাহলে ভিডিও এডিটিং নিয়ে পড়াশোনা শুরু করতে হবে এখনই।
তুমি যত সময় নষ্ট করবে আপনার জীবন থেকে তত সময় পিছিয়ে পড়বে তাই আর সময় নষ্ট না করে এই পোস্টটি পড়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ভিডিও এডিটিং কি ভিডিও এডিটিং কিভাবে করে এইগুলা নিয়ে এখনই পড়াশোনা শুরু করবেন
৪. কন্টেন্ট রাইটিং
কনটেন্ট রাইটিং এই কাজটা শুনে হয়তো আপনি ভাবতে পারেন আমি তো লিখতে পারি। কিন্তু আমাদের ভেতর অনেকেই আছে যারা লিখতে পারে কিন্তু তাদের লেখা গুলা কিন্তু বিভিন্ন পত্রিকায় বা বই য়ে সম্প্রসারণ হচ্ছে না।
তাই আপনার লেখা যদি প্যাশন হয়ে থাকে তাহলে আজই লেখার দক্ষতা থাকে শান দিতে শুরু করুন।
হয়তো প্রথম তিনটা চারটা কনটেন্ট এর জন্য উপার্জন আপনার নাও হতে পারে কিন্তু যখন দশটা পনেরোটা কন্টেন্ট লিখবেন যখন আপনি বুঝতে পারবেন কন্টেন্ট রাইটিং এর ব্যাপার-স্যাপার তখন আপনার ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন হবে।
কোথায় কিভাবে কনটেন্ট রাইটিং কর উপার্জন করতে পারি? তা আমি জানাচ্ছি এখন
কনটেন্ট রাইটিং এ অভিজ্ঞতা যদি থাকে এটা আপনাকে অনেক ক্ষেত্রে উপার্জনের রাস্তা প্রস্তুত করে দিবে.
a. আপনার লেখা কন্টেন নিজস্ব ওয়েব সাইটে আপলোড করতে পারেন।
B. আপনার লেখা কন্টেন্ট বিভিন্ন ওয়েব পোর্টালে আপলোড করতে পারেন.
c. আপনার লেখা কন্টেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে লিখতে পারেন।
d. এবং আপনি চাইলে অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কন্টেন রাইটার হিসেবে কাজ করতে পারেন।
তাই আর দেরি না করে এখনই শুরু করতে হবে
5. ফ্রিল্যান্সিং
ফ্রিল্যান্সিং ব্যাপারটা যদি না জেনে থাকেন তাহলে আমি একটু আলোচনা করি সেটা হচ্ছে আপনি। কোন একটি বাইরের কাজ আপনি একজন মানুষ হিসেবে আপনার দেশে বসেই সেই দেশের কাজ করে দেওয়া হচ্ছে ফ্রিল্যান্স।
ফ্রিল্যান্সিং করে বর্তমানে মানুষ অনেক টাকা আয় রোজগার করছে তারপরও এখানে অনেকের একটা ধোঁয়াশা থেকে যায় যে এটা একটা ফ্রট।
আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে এই ফ্রিল্যান্সিং টাকে প্রতারণা অনেকেই যদিও বলে থাকে আমি বলব তাদের জ্ঞানের স্বল্পতা আছে।
কারণ আমার যদি সঠিক দক্ষতা থাকে এবং নতুন নতুন জিনিস আমি তৈরি করতে পারি তাহলে ফ্রিল্যান্সিংয়ে আমার অনেক কাজ আসবে।
এই কাজটা কিভাবে পেতে হয় বা কিভাবে করে?
এই কাজটা প্রথমত বাহিরের দেশের কোন একটা কাজ হতে পারে একটা ডিজাইনের কাজ যদি আপনি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে থাকেন সে আপনাকে কাজ দিবে কিভাবে কাজ দিবে সেটা একটু পরে বলছি।
হতে পারে আমেরিকা কোন একটা ইউনিভার্সিটির একজন ছাত্রের একটা এসাইনমেন্ট করে দেওয়া লাগবে। কিন্তু তার হাতে পর্যাপ্ত সময় না থাকার কারণে সে যাচ্ছে স্বল্প কিছু টাকার বিনিময় সে তার অ্যাসাইনমেন্টটা করিয়ে নিবে
তো তার জন্য সে হয়তো তার থেকে নিচু কোন একটা দেশে ফ্রিল্যান্সার থেকে হায়ার করবে যেন সে স্বল্প ব্যয় করে তার কাজটা করিয়ে নিতে পারবে।
এখন সে এশিয়া মহাদেশের ভিতরে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া পাকিস্তান এ সমস্ত দেশে তারা কাজ দিয়ে থাকে এবং সে সকল এসাইনমেন্ট করে নে।
এবার বলবো যে এই কাজগুলো কিভাবে পাব। এই কাজগুলো পাবার বেশ কয়েকটা উপায় আছে তার ভিতরে প্রথম হচ্ছে অনলাইনে থাকা মার্কেটপ্লেস যা আমি উপরের কিছু আলোচনা করেছিলাম
তারপর হচ্ছে ইমেইল মার্কেটিং। আমেরিকাতে যে সমস্ত মানুষের ইমেইল আছে সে সমস্ত ইমেইলের লিস্ট তৈরি করে তাদেরকে ইমেইল পাঠানো এবং আপনার কাজের অফার দেওয়া এতে করে আপনি নিজে থেকে কাজ করতেছেন আর মার্কেটপ্লেসের দ্বারা ক্লাইন্ট আপনাকে খুজে নিচ্ছে।
এখানে সুবিধা হচ্ছে মার্কেটপ্লেসা যদি অ্যাকাউন্ট থাকে ক্লাইন্ট আপনাকে খুজে নেবে আপনাকে কাজে দিবে বসে থেকে কাজটা পাওয়া যাচ্ছে।
আর ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি নিজেই কাজ খুঁজে বের করে নিচ্ছেন
ইমেইল মার্কেটিং এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ের মধ্যে পার্থক্য যদি বলি তা হচ্ছে ইমেইল মার্কেটিং একটা ইমেইল নষ্ট হয়ে গেলে ক্লায়েন্ট আপনার থেকে যায়।
কিন্তু আপনার একটা একাউন্ট নষ্ট হয়ে গেলে ক্লায়েন্টগুলো সব হারিয়ে যায়
তো ব্যাপারটা খুবই ইন্টারেস্টিং এবং এভাবে বহু বহু মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করে আর রোজগার করছে তাই এখনই ঘরে বসে না থেকে শুরু করে দিতে পারেন আপনার যে স্কিল আছে সেটা দিয়েও করতে পারেন আর স্কিল না থাকলে এখন স্কিল অর্জন করতে শুরু করতে হবে।
তাহলে আজকের পর্ব এ পর্যন্ত পরবর্তী আর্টিকেলে আমি আরো পাঁচটা আয় রোজগারের পন্থা বলবো ভালো লাগলে অবসর শেয়ার করবেন ধন্যবাদ
Others Post
————
অনলাইনে কোন ব্যবসা করতে পারি? | ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা
এসইও এর কাজ শিখতে কতদিন সময় লাগে