টাকা ইনকাম করার পাঁচটা সহজ উপায়

এজেন্সি: যে কোম্পানিগুলো অর্থাৎ যে এজেন্স গুলা বড় বড় কোম্পানির জন্য ভিডিও এডিটিং করে দেয় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করা যায় বা গ্রাফিক্স ডিজাইন করে দেয়। যত ধরনের কাজ আছে সবকিছু করে দেয়। আর তুমি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকো আর কোন একটা কাজের উপর অভিজ্ঞতা থাকে। প্রচুর এজেন্সি আছে তোমাকে দিয়ে তাদের কাজ করানোর জন্য।

টাকা ইনকাম করার পাঁচটা সহজ উপায়
টাকা ইনকাম করার পাঁচটা সহজ উপায়

প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের অথবা নিজেদের এলাক ায় কিছু এজেন্সি গঠন হচ্ছে। হতে পারে তারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এজেন্সি, ওয়েব ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি।

একটা ওয়েব ডিজাইন এজেন্সির ভেতর অনেক ফ্রন্ট এন্ড ডিজাইনার এবং ব্যাক এন্ড ডিজাইনারের প্রয়োজন পড়ে।
তবু যদি কোন একটা নির্দিষ্ট কাজের উপর পটু থাকো অর্থাৎ ফ্রন্ট ডিজাইন এর উপর পারদর্শ থাকে তাহলে ঐ সমস্ত এজেন্সিতে কাজ করতে পারে।

এখানে কাজ করলে যে সুবিধাটা হয়। সরাসরি লাইভ প্রজেক্ট করা যায় আর এইটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ শেখার জন্য।

আর তুমি যদি ব্যাক ইন্ড ডেভলাপান হও সেই ক্ষেত্রে একইভাবে একটি এজেন্সিতে প্রবেশ করতে পারবে।

আমি যদি আরেকটু ছোট কাজে উদাহরণ দেই। তুমি যদি পাওয়ার পয়েন্টে এনিমেশন তৈরি করার কাজে পারদর্শ হয়ে থাকে তাহলেও কিন্তু বিভিন্ন কোম্পানি তোমাকে কাজ দিবে তাদের পাওয়ার পয়েন্ট তৈরি করে দেওয়ার জন্য।

তাই তুমি যদি এজেন্সি হয়ে কাজ করো তাহলে বড় বড় কোম্পানি প্রচুর কাজ হতে শুরু করবা

ফটোগ্রাফি:
ফটোগ্রাফি একটা বিশাল সুযোগ। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে ফটোগ্রাফি করার শখ, ভিডিও এডিটিং করার সখ। কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে হয়তো এই সব গুলার বাস্তবায়ন করতে পারে না।

টাকা ইনকাম করার পাঁচটা সহজ উপায়
টাকা ইনকাম করার পাঁচটা সহজ উপায়

এই কাজগুলা করতে হলে অবশ্যই একটি নিজের পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং শুরু করতে হয়।
মনে কর তুমি ফটোগ্রাফি পছন্দ কর এখন মানুষ কিন্তু এমনি এমনি ফটোগ্রাফি এর কাজ দিবে না।
আর সেই আশায় বসে থাকলে পরবর্তীতে পরিবেশ পরিস্থিতির শিকার হয়ে এই ফটোগ্রাফি করাটা ছেড়ে দিতে হয়।

স্টুডেন্ট বয়সে থেকে এই উদ্যোগটা নিতে হয় নিজের। ছোট বয়স থেকে নিজের সকল নিয়ে ফেসবুকে অথবা অন্য সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্র্যান্ডিং শুরু করতে হয়।

সেখানে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকমের ছবি আপলোড করতে হয় এটা দেখে অনেক মানুষ ইন্টারেস্ট দেখাবে তুমি তখন একটা দুইটা কাজ পেতে শুরু করবে।

আর আস্তে আস্তে এটার প্রফেশন তাকে তুমি ধরে নিতে পারবে।

পরিবেশ পরিস্থিতি কখনো একটা অভিজ্ঞতা থাকে আটকাতে পারে না নিজেকে আগে উদ্যোগ নিতে হয় তারপর নিজেকেই আগে মাঠে নামতে হয়।

ফটোগ্রাফি শিখতে পারবে বিভিন্ন রকম ওয়েটিং ফটোগ্রাফি ইভেন্ট ফটোগ্রাফি কর্পোরেট ফটোগ্রাফি এর কাজের বিভিন্ন রকমের চাহিদা থাকে এই কাজগুলো করতে পারবে।

ছোট ব্যাবসা:
ইন্টারনেট থাকলে প্রচুর ছোট ব্যবসা আইডিয়া পাওয়া যায়। ধরো তুমি একটা টি-শার্ট পরে আছ এই টি-শার্ট টার উপরে শুধুমাত্র বিভিন্ন রকমের লেখালেখি অথবা কার্টুনের ছবি থাকে।

টাকা ইনকাম করার পাঁচটা সহজ উপায়
টাকা ইনকাম করার পাঁচটা সহজ উপায়

এখানে অনেক ভাবে কাজটা করা যেতে পারে। ধরো তুমি ভালো ছবি আঁকতে পারো তুমি চাইলে টি-শার্টের উপর তোমার তৈরি করা ছবিগুলা অঙ্কন করে সেই টি-শার্টগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিনিয়ত শেয়ার করে বিক্রয় করতে পারবো।

তোমার যদি আকা আকি অভিজ্ঞতা না থাকে তুমি চাইলে বিভিন্ন ডিজাইন ইন্টারনেট থেকে বানিয়ে টি-শার্টের উপর ছাপ দিয়ে বিক্রি করতে পারো।

আরো এক ভাবে হতে পারো টি-শার্টের উপর ছাপ দেওয়ার জন্য হচ্ছে সকল মেশিন প্রয়োজন হয় তা ক্রয় করে নিজেই টি-শার্টের উপর ছাপ বসানোর কাজ করতে পারো।

তাই এরকম তোমার কাছে যে আইডিয়া আছে এইরকম আইডিয়া নিয়ে একটা ছোট্ট ব্যবসা কাজ শুরু করতে পারো|

বর্তমানে স্ছোট ব্যবসা এর চাহিদা বেড়ে চলেছে কারণ দেশে চাকরি পাওয়ার বেহাল দশা যার কারণে সবাই চায় নিজের মতো করে একটা ব্যবসা শুরু করতে।

এরকম আরো অনেক ছোট বড় ব্যবসা আছে যেমন আপনি হয়তো দেখে থাকবেন লাইটের ব্যবসা। বাজারে ঘাটে রাস্তায় দেখবেন এলইডি লাইটের বেশ বিজ্ঞাপন হচ্ছে।

এলইডি লাইট রিসেলিং করেও কিন্তু প্রচুর অর্থ উপার্জন করা যায়।

তাছাড়া আপনি যদি অন্য ধরনের ব্যবসা করতে চান সেক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক্স গেজেটের নিয়ে কাজ। যেমন হচ্ছে হেডফোন চার্জার ব্লুটুথ এই ধরনের ডিভাইস গুলা খুব স্বল্পমূল্যে ক্রয় করা যায় এবং এটার ব্যবসা ও খুব লাভজনক ব্যবসা বলে মনে করি।

কোডিং:
বর্তমানে আইটি যুগে কোডিং এর গুরুত্ব অপরিসীম। তুমি যদি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারো অথবা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বানাতে পারো না তাহলে তোমার জন্য অনেক সুযোগ রয়েছে কাজ পাওয়া।

টাকা ইনকাম করার পাঁচটা সহজ উপায়
টাকা ইনকাম করার পাঁচটা সহজ উপায়

বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানিতে আজকাল ওয়েবসাইট ব্যতীত সেই কোম্পানি প্রসার পাবে না। তুমি সেই কোম্পানির জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে দিলে।

যখন ওয়েবসাইটে তৈরি হয়ে যাবে এবং সেই কোম্পানির সব দিক থেকে ব্যবসা ভালো হবে তখন তুমি তাদের জন্য সেই ওয়েবসাইট টা কিভাবে আরো ডেভেলপ করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করতে পারবে।

তাই যদি তুমি এখনো কোডিং এর কাজ না জানো স্টুডেন্ট বয়সে এটা একটা উপযুক্ত সময় এখন থেকে এটা শেখা শুরু করে দাও আগে থেকে দেড় বছরের ভেতর এটার উপর তোমার দারুন অভিজ্ঞতা তৈরি হয়ে যাবে।

কোডিং এর ক্ষেত্রে আরো কিছু উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করি। কোডিং এর কাজটা শিখতে বেশ সময়ের এর প্রয়োজন হয়।

এমনও দেখা গেছে প্রথম দুই মাস যা শিখেছি সবকিছু কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে। আর এখান থেকে প্রত্যেকটা নতুন নতুন প্রোগ্রামিং এর স্টুডেন্টরা ঝরে পড়ে।

ঝড়ে পড়ার সময় একটা অজুহাত তারা দিয়ে থাকে যে আমি তো সিএসসি এর ব্যাকগ্রাউন্ড এর ছাত্র নাও তাহলে আমি কিভাবে এই কোডিং এর কাজ শিখব বা আমি কিভাবে পারব।

আসলে এই ধারণাটা সম্পূর্ণ ভুল। বর্তমানের দুনিয়াতে যে যে ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে পড়াশোনা করুক না কেন সকলেই চাইলে প্রোগ্রামিং এর কাজ শিখতে পারে।

এটা যেমন দেশের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে এবং বিশ্বব্যাপী এর চাহিদা ইতিমধ্যে রয়েছে।

কোডিং শিখতে হলে সর্বপ্রথম যেটা দিয়ে শুরু করতে হয় সেটা হচ্ছে এইচটিএমএল এবং সিএসএস এই দুইটা ভালোভাবে শিখতে পারলে এবং একটা প্রোগ্রামিং যেমন জাভা স্ক্রিপ যদি ভালোভাবে শেখা যায় বা রপ্ত করা যায় তাহলে অন্যান্য আরো সকল language আস্তে আস্তে রক্ত করে ফেলা যায় কিন্তু এই তিনটা কাজ ভালোভাবে শেখার জন্য আমি অনুরোধ করব।

আপনি যেকোনো প্রোগ্রামিং শুরু করেন না কেন আপনাকে সর্বপ্রথম এইচটিএমএল এবং সিএসএস এর কাজ জানতেই হবে।

তারপর যে কোন একটা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শুরু করতে হয়।
প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ হিসাবে আমি জাভা স্ক্রিপ্ট কে এই কারণে সবার আগে রাখি তার কারণ হচ্ছে এটা বর্তমানে সবার উপরে অবস্থান করছে তার পাশাপাশি এটার আগামী পাঁচ বছরে চাহিদা বেড়েই চলবে। টাকা ইনকাম করার পাঁচটা সহজ উপায়

তাই তুমি যদি প্রোগ্রামিং শিখতে আগ্রহী থাকো অবশ্যই আজকে থেকে শেখা শুরু করে দাও। এর পাশাপাশি প্রতিদিন ছোট-বড় একটা করে কাজ সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করার চেষ্টা করো এতে করে তোমার পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং হবে এবং পরবর্তীতে এর কারণে অনেক কাজ আসতে শুরু করবে।

অবশেষ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট:
সাধারণত বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি ছাত্ররা করে থাকে। হতে পারে পহেলা বৈশাখের ইভেন্ট অর্গানাইজ করে দেয়। তুমি যদি কোন ক্লাবের কাজ করে থাকো এবং তুমি যদি মনে করো তোমার অরগানাইজ করার অভিজ্ঞতা আছে। তাই তুমি যদি কোন ক্লাবের হয়ে কাজ করো তাহলে এই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট স্কিল টা খুব দারুন ভাবে কাজ করবে।

টাকা ইনকাম করার পাঁচটা সহজ উপায়
টাকা ইনকাম করার পাঁচটা সহজ উপায়

এই ছিল পাঁচটি স্কিল ছাত্র বয়সে শুরু করতে পারো। আশা করি আমার এই পাঁচটা স্কিল এবং ছাত্র জীবনে এগুলো শেখার গুরুত্ব কতটুকু তা আমি বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই এই পোস্ট আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবা। আর এইরকম নিত্য নতুন ব্যবসার আইডিয়া ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে তথ্য পেতে হলে চোখ রাখতে হবে আমাদের এই ওয়েবসাইটটিতে। ধন্যবাদ টাকা ইনকাম করার পাঁচটা সহজ উপায়।

Leave a Comment