সূচিপত্র
ফিল্যান্সিং করে মাসিক গড়ে কত টাকা আয় করা যায় এই সম্পর্কে আরও জানুন
একটি প্রতিষ্ঠানে অথবা কোন সরকারি বেতনভুক্ত প্রতিষ্ঠানে যদি আপনি চাকরি করেন হতে পারে আপনি ব্যবসা করছেন এই ব্যবসায় শুরুর দিকে বেতন অথবা আয় কম থাকে।
দিন যত যায় আস্তে আস্তে আপনার অভিজ্ঞতা বাড়ে আপনার আয়ের পরিমাণটাও বাড়তে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং তাও ঠিক তেমন শুরুতে অনেক কষ্ট করতে হয় কাঠ খাও পোহাতে হয়। অভিজ্ঞতা হলে আপনার কাজের পরিমাণ বাড়ে সেই সাথে সাথে আয়ের পরিমাণটাও বেড়ে যায়। শুরুতে হয়তো প্রচুর পরিমাণে ধৈর্য থাকতে হবে এবং কষ্ট করতে হবে আস্তে আস্তে দেখবেন আপনার আয়ের পরিমাণটা বাড়তে থাকবে। আমি যতটুকু সময় দিবেন তারপর আপনার আয়ন ইনফর করবে সময় দিলে মাসের ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা অনায়াসে পাওয়া সম্ভব। অনেকে এমন আছে যারা অন্য পেশায় ছিলেন এবং আগে চাকরি দিয়েছিলেন তারা বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং পেশা চলে এসেছে।
অন্যান্য উচ্চ বেতনের ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য অনেক বড় বড় কোম্পানিতে তারা কন্টেন্ট রাইটার অথবা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার অন্তর্ভুক্ত করে থাকেন। সাধারণভাবে একজন ফ্রিল্যান্সারদের যত বেশি দক্ষতা থাকে তত বেশি ইনকাম হয়ে থাকে।
দুই থেকে চার বছরে যদি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন পেশাদার ফ্রিল্যান্সার সে প্রতি মাসে 30000 থেকে 50000 ডলার উপার্জন করেন। যেখানে কাজ থেকে দশ বছরের যাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে তারা প্রতি মাসে ৫০০০০ থেকে ৯০ হাজার ডলার পর্যন্ত বেতন পেয়ে থাকে।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একজন পেশাদার এবং প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সারদের প্রতিভাশয়ের ইনকাম চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা বা তার বেশি। অনেকেই নিজে এবং এটি একটি এজেন্সি বা একটি আইটি ফার্ম খুলে বিভিন্ন রকম ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে থাকেন। কয়েকটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসি গিয়ে তারা ফ্রিল্যান্সিং করে এবং একটা ভালো পরিমাণে আয় করে থাকেন।
ভালোভাবে বলতে গেলে এই ফ্রিল্যান্সিং জগতে আপনি যদি ভালো কিছু করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই যথেষ্ট পোর্টফলিও রাখতে হবে। যদি আলোচনা করি পোর্টফোলিও বিভিন্ন রকম ভাবে উপস্থাপন করা যায়।
পোর্টফোলিও ব্যবসায়ী ভাষায় এটা একরকম সেটা হচ্ছে আপনি একটি কোম্পানিতে ইনভেস্ট করে সেখান থেকে কতটুকু শেয়ার এর মাধ্যমে ইনকাম রাখছেন বা দশটা কোম্পানিতে ইনভেস্ট করে কতটুকু ইনকাম করছেন এটাকেও এক প্রকার পোর্টফোলিও বলা হয়।
আবার ফ্রিল্যান্সিং এর ভাষায় পোর্টফলি হচ্ছে আপনার পূর্ববর্তী সকল ক্লায়েন্টের কাজগুলো।
পূর্ববর্তী ক্লাইন্ট আপনাকে অনেক ধরনের কাজে দিবে সেই কাজগুলোকে আপনি সুন্দর করে প্রেজেন্টেশন আকারে পোর্টফোলিও হিসেবে সাজিয়ে রাখতে পারেন যাহা পরবর্তীতে কোন একটি ক্লায়েন্ট আসলে তাকে এই জিনিসটা প্রদর্শিতা করতে পারেন যে আপনি ইতিমধ্যে এই ধরনের কাজ করেছেন।
এগুলো দেখলে সেই ক্লাইন্ট আপনার প্রতি একটু ট্রাস্ট বা বিশ্বাস তৈরি হবে যার ফলশ্রুতিতে আপনি কাজ পাবেন। পোর্টফোলিও না থাকলে এই ফ্রিল্যান্সিং জগতে আপনি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারবেন না কেন তৈরি করতে পারবেন না এইটা আমি এখন আলোচনা করি। ধরুন আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণে পোর্টফোলিও আছে সেটা হতে পারে behance সে অথবা ইনস্টাগ্রামে সোশ্যাল মিডিয়ার যে কোন প্লাটফর্মে ।
সেখানে দেখবেন আপনি প্রতিনিয়ত যত পোর্টফলিও আপলোড করবেন বা ছবি আপলোড করবেন সেই প্ল্যাটফর্মে বা নেটওয়ার্কে অনেক অনেক ফ্রিল্যান্সার থাকবে যারা আপনার ওই কাজটি দেখে তারা উৎসাহিত হবে এবং আপনার সাথে যোগাযোগ করবে আপনার সাথে একটা ভালো কমিউনিকেশন রাখার চেষ্টা করবেন তার ফলশ্রুতিতে আপনি তাদের কাছ থেকেও অনেক ধরনের সাপোর্ট বা তাদের কাছ থেকে অনেক কাজও পেতে পারেন।
এমনও হতে পারে যেকোন একজন ফ্রিল্যান্সার আরেকজন ফ্রিল্যান্সারকে কাজ দিচ্ছে। এমনটি হয় যে আমরা মনে করতে পারি একটি ক্লায়েন্টি সব সময় একজন ফ্রিল্যান্সারকে কাছে দিয়ে থাকে কিন্তু ব্যাপারটা কিন্তু সঠিক নয় একজন ফ্রিল্যান্সার কো আরেকজন ফ্রিল্যান্সারকে কাজ দিতে পারে মূলত এই জিনিসটাই বেশি হবে।
প্রতিনিয়ত আপনার ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য একজন ফ্রিল্যান্সার কি আপনাকে কাজ দিবে।
একজন বড় এবং পেশাদার ফ্রিল্যান্সারদের প্রচুর পরিমাণে কাজ থাকে তারা কখনো একা কাজ করে উঠতে পারে না। তাকে অবশ্যই একজন দক্ষ ফ্রীলান্সারকে হায়ার করার প্রয়োজন পড়ে। এমত অবস্থায় আপনি যদি তার নেটওয়ার্কের থেকে থাকেন অবশ্যই সে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে এবং আপনাকে তার কাজের একটা অংশ ভাগ দেয়ার চেষ্টা করব।
ফ্রিল্যান্সিং এর জনক কে?
ফ্রিল্যান্সিং এর জনক হচ্ছে Walter Scott ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে ১৮১৯ সালে তার বই ছাপা করেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সহজ কাজ কোনটি??
————————————-
সবচেয়ে সহজ কাজ ফ্রিল্যান্সিংয়ের ডাটা এন্ট্রি এটা যতটা সহজ মনে করি ততটা সহজ না তবে একটু বুঝিয়ে দিতে পারলে এই কাজটা সবথেকে বেশি সহজ হয়ে যায় না। কিন্তু এই কাজটা প্রতিনিয়ত মানুষ করতে চাচ্ছে আর যার কারণে মার্কেট প্রাইস থেকে এই কাজটা আস্তে আস্তে কমতে শুরু করেছে আর এর প্রতিযোগিতা অনেক হওয়ার কারণে এই কাজটা সবাই পাচ্ছে না। তাই আমি বলব সহজ কাজের দিকে না গিয়ে একটু কঠিন কাজ শেখার চেষ্টা করুন এটাই আপনার ফিউচারের জন্য ভালো হবে।
ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি?
—————————————————————————————–
ফ্রিল্যান্সিং এ টাকা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে reliable পেমেন্ট মেথড হচ্ছে পাইনিয়ার যেখানে বর্তমানে কোন রকম অসুবিধা না ষ আপনি টাকা তুলতে পারবেন. আমরা অনেকেই পেপাল সম্পর্কে অবগত আছি এটা হলে আমাদের বাংলাদেশের সব থেকে বেশি মানুষ উপকৃত হতো যারা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কাজ করছে কিন্তু এটা বর্তমানে বাংলাদেশের বৈধ নয় যার কারণে আমরা এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার কখনো করার জন্য রেকমেন্ড করি না।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ প্রদান করেন তাকে কি বলা হয়?
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যারা গাছ দান আউটসোর্স করিয়ে নেন তাদেরকে আমরা ক্লায়েন্ট বলি আর ফ্রিল্যান্সার হল যারা স্বাধীন পেশাজীবী যারা বাসায় বসে যে কোন সময় তার প্ল্যান্টের কাজ করে ফেলতে পারে।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারী অংশগ্রহণের শতকরা হার কত?
সরকারি হিসাব মোতাবেক ২০১৩ সালের তথ্য নিয়ে শতাংশ নারী এ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করছে যদিও তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কর্মরত নারীদের শতকরা হার খুবই কম।
বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা কত??
বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার প্রায় ৫০ হাজারের উপরে কাজ করছে যার ভেতর ২০ থেকে ২৫ হাজার সক্রিয়ভাবে কাজ করছে যাহা ২০২১ সালের থেকে জানা গিয়েছে ।
বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং এর অবস্থান অষ্টম বা যা ইন্ডিয়ার তুলনায় আমাদের দেশের জনসংখ্যা মোতাবেক ইন্ডিয়া তুলনায় আমরা এগিয়ে আছি।
পরিশেষে কিছু কথা দিয়ে আমি শেষ করতে চাই। মানুষ এখন অনলাইনে আয় করার প্রবণতা বাড়ছে। আমরা বিভিন্ন ওয়েব পোর্টাল থেকে তথ্যগুলো সংগ্রহ করে যে দেখতে পাই অনেকেই চিন্তা করে ফ্রিল্যান্সিং থেকে ঘরে বসে যদি আয় করা সম্ভব হয় লক্ষ লক্ষ টাকা তাহলে তো আমার কষ্ট করে চাকরি করার কি দরকার।
এই জিনিসটা প্রথমে চিন্তা করতে হবে টাকা আয় করা অতটা সহজ নয় ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কাজ করে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়ার কোন সুযোগ নাই। অনলাইন প্লাটফর্মে কাজ পাওয়া এটা সব থেকে বেশি কঠিন কাজ যেটা আপনি যদি কোন একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকে সেখানে যে কাজের চাপ থাকে তার থেকে 10 গুণ বেশি চাপ এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে থাকে এই জিনিসটাকে চিন্তা করবেন। আপনি যদি একজন চাকরিজীবী হয়ে থাকেন তাহলে কখনোই নতুন করে ফ্রিল্যান্সিং কাজ শেখার জন্য উৎসাহিত করবেন না কারণ আপনার এই কাজ শেখার জন্য যতটুকু সময় দেওয়া প্রয়োজন পড়বে ততটুকু সময় এবং শ্রম আপনার থাকবে না।
আমরা প্রতিনিয়ত অনলাইনে জানতে পারি বা লিখতে পারি যে আমাদের যদি ছোটখাটো একটা skill থাকে তাহলে আমরা সেই স্কিলটাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন রকম মাল্টিপ্লেসে কাজ কে তারা করতে পারবে। কিন্তু এই জিনিসটা যতটা সহজে সেই মিডিয়া আপনাকে জানানোর চেষ্টা করছে খেয়ে যদি এতটাই সহজেই ইনকামটা করতে পারত তাহলে সে কষ্ট করে ভিডিও বানিয়ে তার সময়টাকে অপচয় করতো না।
এখানে আপনি বলতে পারেন যে সে হয়তো এখানে তার একটা পার্সোনাল ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য সে ভিডিও তৈরি করছে বা অন্য যেকোনো কারণে হোক কিন্তু দিনশেষে আপনি অনেক ইউটিউবার দেখবেন তাদের প্রথম এবং প্রধান ইনকাম হচ্ছে ইউটিউব থেকে।
এবং সে সেখানে বিভিন্ন রকম ইনকামের উৎস আপনাকে অনুপ্রাণিত করবে। কাজ শেখা বা করার আগে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত করা বা এই সম্পর্কে অনেক তথ্য সংগ্রহ করাটা হচ্ছে আপনার নিজের দায়িত্ব এই জিনিসটা আপনি যদি প্রথম দিকে না করে চোখ বন্ধ করে বিভিন্ন মানুষের কথা শুনে এই জগতে পদার্পণ করেন আপনি অনেক ধরনের বীরম্বনা করাতে হবে।
তাই আমি আমার প্রতিটা পোস্টে একটা কথাই বলি আপনি যে সেক্টরে কাজ করবেন সেই সেক্টর টা নিয়ে আগে অনেক রিসার্চ করবেন যে এর সুবিধা কি এবং অসুবিধা কি তারপরে সেই সেক্টরের তাতে আপনি কাজ শুরু করবেন
ধন্যবাদ আশা করি ভালো লেগেছে ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন তাহলে আরো মূল্যবান কিছু আপনাদের মাঝে শেয়ার করব