কখনোই হাল ছাড়বো না এ কথাটা ইলন মাস্ক কেন বলেন?

কখনোই হাল ছাড়বো না এ কথাটা ইলন মাস্ক কেন বলেন? আরও জানুন

আজকে তার জীবনী নিয়ে কিছু কথা বলব এবং সে কেন তার জিদটাকে সব সময় প্রাধান্য দিত এটি একটু আলোচনা করব।

ইলন মাস্ক যার সম্পূর্ণ নাম হচ্ছে: ইলন রিব মাস্ক। তার জন্ম ১৯৭১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় পরিতোরিয়া তে

যে ছোটবেলা থেকে ছিল একটু ইন্ট্রোভারড টাইপের। তার সহপাঠীদের সাথে ঠিকঠাকমতো মিশতে পারত না। সে সর্বদাই অন্যদের থেকে কিছুটা আলাদা ভাবেই থাকতো। তার ছোটবেলা থেকে বই পড়ার খুব নেশা ছিল। তার দশ বছর বয়স থেকে সে যে বড় বড় বই শেষ করেছে এগুলো দেখে রীতিমতো তার সহপাঠীরা তাকে পাগল বলতো। তার এমন অবস্থা হয়েছিল যে তার সহপাঠীরা তাকে বিভিন্ন রকম bulling এর শিকারের দ্বারা সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছিল। আর আজ সে পৃথিবীর ধনী ১০ জনের ভেতর একজন। সেই সাথে সাথে সে একজন সফল উদ্যোক্তা।

তার ছোটবেলা থেকে কম্পিউটারের উপর ছিল একটা নেশা। তার যখন দশ বছর বয়স তখন সে প্রোগ্রাম করতে শিখে ফেলে। প্রোগ্রামিং করতে করতে এক সময় সে একটি গেম তৈরি করে গেমটির নাম হচ্ছে ব্লাস্টার। এই ব্লাস্টার গেমটি সে ১২ বছর বয়সেই তৈরি করেছিল এবং মজার ব্যাপার হচ্ছে এই প্লাস্টার্ড গেমটি সে তৎকালীন সময় ৫০০ মার্কিন ডলারে বিক্রি করেছিল একটি ম্যাগাজিনের কাছে। এবং এটি ছিল তার জীবনের প্রথম আয়।

তার পরবর্তী প্রজেক্ট ছিল জিপ 2। এটি একটি সফটওয়্যার। তৎকালীন সময় যখন ইন্টারনেটের একটা বিপ্লব ঘটতেছে এবং চারিদিকে ইন্টারনেটের আনাগোনা শুরু হচ্ছে তখন ইলন মাস এই zip 2 সফটওয়্যারটি তৈরি করেন . এবার এখানেও মজার ব্যাপার হচ্ছে তৎকালীন সময় তার এই সফটওয়্যারটি বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং সেই কাল সময়ের টেক জয়েন্ট কম্প্যাক্টের নজরে পড়ে। এবং তারা চিন্তা করে ইলন মাস্ক কাছ থেকে এই সফটওয়্যারটি কিনে নিতে। আর এই সফটওয়্যারটি 1999 সালে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলারের কিনে নেয়। প্রথম পরিকল্পনা একজন উদ্যোক্তা হিসেবে তার এই পরিকল্পনাটা সফল বাস্তবায়ন করা।

তার তৃতীয় পরিকল্পনা ছিল সবার পরিচিত পেপাল। বর্তমান বাংলাদেশে আমরা বিকাশ সম্পর্কে অবগত আছি বিকাশ দিয়ে যেভাবে আমরা টাকা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিমিষের ভেতর স্থানান্তর করতে পারি। ঠিক এমনই একটা পরিকল্পনা নিয়ে সে তখন এই পেপাল এর মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেন। তৎকালীন সময়ে এই পেপালের নাম ছিল এক্স ডট কম।

এটি ছিল তার দ্বিতীয় পরিকল্পনা। এক্স ডট কম কে ঘিরে রয়েছে একটা বিশাল এক্টিভিটিস। বা আপনি এইটা নিয়ে যদি আরও বিস্তারিত জানতে চান সে ক্ষেত্রে আমি আপনাকে বলব খালিদ ফারহানের একটি ভিডিও রয়েছে সেখানে দেখতে পাবেন এক্স ডট কম অথবা পেপাল মাফিয়া।

সেখানে এই পেপাল টা কিভাবে গোটা দুনিয়াতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে তার অনেক আইডি আপনারা পেয়ে যাবেন এবং বেশ ইনফরমেটিভ তথ্য আপনারা পেয়ে যাবেন। আর এই পেপাল প্রোগ্রামটি তারা বিক্রি করে যত টাকা পায় তা দিয়ে সেখানে তিনজন শেয়ারহোল্ডার তিনটি বড় বড় টেক জায়ান্ট রূপান্তরিত হয়। তার ভিতর প্রথম হচ্ছে ইলনমাসকে মহাকাশ অভিযান। দ্বিতীয়টি হচ্ছে ইউটিউব। আর তৃতীয়টি

এখানে ইলন মাস্কের বেশ কিছু সফল উদ্যোগ যা আমি আপনাদেরকে কিছুটা উপস্থাপন করে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করেছি এবার আমি আলোচনা করব কেন সে সর্বদাই বলে হাল ছাড়বো না ‌। হাল ছাড়বো না এই কথাটি যদি একজন মানুষ হয়ে সে বলতে পারে তাহলে আপনি কেন নয়।

আর আপনিও যদি বলে থাকেন যে আমিও একটা শেষ দেখে ছাড়বো আমিও হাল ছাড়বো না কেন আপনি হাল ছেড়ে দেন এটি আপনাকে ফিগার আউট করতে হবে।

আপনি এখানে কয়েকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারেন আগে আপনাকে প্রস্তুত করাটাই হচ্ছে কাজ থাকবে। এখন আমাকে বলতে পারেন ভাইয়া কিভাবে নিজেকে প্রস্তুত রাখবো।

ওয়েল আমি এই ব্যাপারে একটা উদাহরণ দিচ্ছি। একটা প্রবাদ আছে না শুয়ে হয়ে ঢুকবো খাল হয়ে বের হব।
জিনিসটাই মাথায় রাখতে হবে। ধরুন আপনি কোন একটা কোম্পানিতে কাজ বা চাকরি করতে ছোটবেলা থেকে আগ্রহ ছিল অনেক। এবং আপনার সেই প্রতিষ্ঠানে বা সেই বড় কোম্পানিতে কাজ বা চাকরি পাওয়াটাই থাকবে আপনার প্রথম কাজ।

ধরুন আজকে থেকে আপনি চিন্তা করলেন আমি কোন একটা টেক কোম্পানি অথবা একটা প্রাইভেট ফার্ম যেখানে আমি যে কোন একটা পদে বা যে কোন একটা আসনে আমি চাকরি নিব।

এখানে শুরুর দিকে আপনার সেলারি আপনার কষ্ট সবকিছুই আপনার নিজের বিরুদ্ধে যাবে। তারপরেও আপনি সেই প্রতিষ্ঠানে লেগে থাকার চেষ্টা করবেন। এবং আপনার প্রতি দিনের টার্গেট থাকবে আমি যে বর্তমানে চেয়ার টিতে আছি এর উপরে চেয়ার ে কিভাবে যেতে পারি।

অর্থাৎ এখানে আপনি ছোট্ট একটা পদে নিযুক্ত হয়ে ছয় মাস এক বছর চাকরি করার পর সেই পদ আপনার কাছে এতটাই পানি ভাত হয়ে যাবে যে আপনি চিন্তা করবেন এর থেকে বেটার কোন একটা পদে আপনি ডিসারভ করেন।

আচ্ছা মানলাম আপনি ওই পদে অনেক এক্সপার্ট। এবার আপনাকে যে জিনিসটা করতে আপনি যে পদে আছেন তার উপরের পদে যাওয়ার জন্য কি ধরনের কোয়ালিফিকেশন নিজের ভেতর আত্মস্থ করতে হবে সেটি আপনি অন্তস্থ করে ফেলেন।

দেখবেন যখন আপনি আপনার পদে ভাল করছেন তখন অবশ্যই আপনি আপনার পথ থেকে প্রমোশন পাবেন। আস্তে আস্তে আপনি চিন্তা করবেন আমি যদি এই গোটা প্রতিষ্ঠানের মেইন কল কব্জা কিভাবে নাড়া যাচ্ছে এটি আমি জানি তাহলে এই গোটা প্রতিষ্ঠানের চিন্তা আমি নিজে করা শুরু করি তাহলে অনেক তথ্য পাব।

এই তথ্যগুলোকে সবসময়ই কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন জিনিস প্রতিষ্ঠানকে দেওয়ার চেষ্টা করব। এবং আপনারই পরিকল্পনা গুলো যখন সেখানে অনেকটা ভালো আউটপুট দিবে তারা কিন্তু আপনাকে সে প্রতিষ্ঠানের একটি বড় পদে নিযুক্ত করে রাখবেন।

তার মানে বুঝুন যে আপনি যে পদে সেখানে চারটিতে জয়েন করেছিলেন আর আপনি এখন কোন পদে বসে আছেন।
এমনকি চাইলেও আপনি সেই প্রতিষ্ঠানের সিইও এর পদে নিযুক্ত হতে পারেন।

এবার কিন্তু আপনি নিজেকে বলতে পারেন আমি কখনোই হাল ছাড়বো না। কারণ আমি জানি যে আমি যদি উপরের পদে যেতে চাই সে ক্ষেত্রে আমার কি প্রয়োজন কি শিখলে বা কি করলে উপরের পদে আমি বসতে পারবো তখনই আপনি বলবেন আমি হাল ছাড়া ব্যক্তি নই। আমি এর শেষ দেখে ছাড়বো।

কিন্তু আপনি যদি মনে করেন যে যেখানে আছি বড্ড ভালো আছি এর থেকে বড় আমি ডিজার্ব করিনা। কারন আমার এডুকেশনাল কোয়ালিফিকেশন তো সেই জিনিসটা আমাকে কখনো যেতেই দিবেনা। এটা সম্পূর্ণরূপে ভুল বন্ধু। সব সময় সব ক্ষেত্রে এডুকেশনাল কোয়ালিফিকেশন দিয়ে নিজেকে জাজ করাটাই হচ্ছে আপনার জন্য ভুল।

এখানে নিশ্চয়ই ইলন মাস্ক তার এমন একটা পথ সে বের করে নিয়েছিল এবং সে নিশ্চিত ছিল যে আমি যদি এখানে এইভাবে কাজটা করি তাহলে আমার এর একটা সফলতা আসবেই আসবে সেই জিনিসটাই মনে প্রাণে দিনরাত পরিশ্রম করে সেই জিনিসটা সহ অর্জনের তৃষ্ণায় কাতর ছিল।

এটা কোন মোটিভেশনাল কথাবার্তা নয় এখানে মূল বিষয়টা হচ্ছে একটা সঠিক ট্রাক আরেকটা সঠিক পরিকল্পনা এই পরিকল্পনা যদি আমার আগামী ছয় মাসের জন্য প্রস্তুত করা থাকে তাহলে আমি বাকি বছরের বাকি জীবনের সময় গুলো সহজেই সাজিয়ে গুছিয়ে চলতে পারব।

আমি যদি আমার প্রতিষ্ঠানের জন্য একটা ছক আঁকি যে আমার ছয় মাসের ভেতর এখান থেকে এইখানে যেতে হবে তার জন্য কি কি দক্ষতা অর্জন করতে হয় সেই দক্ষতা আমি ওভার নাইট কাজ করে অর্জন করব। চাকরির জয়েন করলাম আর ভাবলাম প্রতিভাশত স্যালারি পাচ্ছি তাহলে ওই চাকরির জিনিসটাই চাকরি থেকে যাবে আর আমার ইনকাম ওরকমই সারা জীবন রয়ে যাবে।

কিন্তু আমি যদি একটা সুন্দর পরিকল্পনা করে সেই প্রতিষ্ঠানের ভাল চেয়ে কিছু একটা করে একটা ছক থাকতে পারি সেটি হবে হচ্ছে আমার জন্য একটা পরীক্ষা। আর এই পরীক্ষা ছয় মাস পর যখন বা এক বছর পর এর একটা রেজাল্ট পাব আমি নিজেকে মোটিভেটেড করতে পারব নিজেকে আমি জাজ করতে পারব আমার এই কাজটা এভাবে নয় অন্যভাবে করলে আমি নিশ্চিতভাবে একটা সফল আউটপুট বের করতে পারবো।

আশা করি কথাগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল জানিনা কতটুকু আমি আপনাদেরকে দিতে পেরেছি। কিন্তু চেষ্টা করেছি যতটুকু সম্ভব গুছিয়ে বলার।

যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আমার এই ধরনের ব্লগ আপনারা বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন যদি আপনারা শেয়ার করেন তাহলে আমি নিজে উৎসাহিত হই এবং আপনাদেরকে এই ধরনের ব্যাপার স্যাপার নিয়ে কথা বলতে আগ্রহ বোধ করি ধন্যবাদ

এই বিষয় সম্পর্কে আরও জানুন

Leave a Comment