ফ্রিলান্সিং শিখতে কতটুকু ইংরেজী জানার প্রয়োজন হয়?
বেসিক টুকু যদি জানা থাকে তাহলে করতে পারবো। তবে ফ্রিল্যান্সিং করার সময় ক্লায়েন্টের সাথে কথোপকথন এর সময় একটা সমস্যা অবশ্যই সম্মুখীন হতে হবে আপনাকে তার একটি সলিউশন আমি এই লেখার শেষে আলোচনা করব।
ইংরেজি সব ক্ষেত্রে বা সব জায়গায় জরুরী আর ইন্টারনেটের কাজে ইংরেজি অবশ্যই প্রয়োজন। তাই ইংরেজি যত দ্রুত সম্ভব শিখে নিতে হবে। এর জন্য আপনি অনেক ইউটিউবে ভিডিও দেখতে পাবেন সেগুলো থেকে কোন একজনের ভিডিও মন দিয়ে টানা দুই মাস ধরে প্র্যাকটিস করলে আপনার ইংরেজিতে অনেক ধারণা চলে আসবে।
এছাড়া ইংরেজিতে কথোপকথন করতে হলে আপনাকে যে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করতে হয় সেটি হচ্ছে টেন্স এবং প্রিপজিশন জানাটা খুবই প্রয়োজন।
তাছাড়া ওটা দুনিয়াতে প্রত্যেকটি দেশে ইংরেজি তাদের মাতৃভাষা নয়। প্রত্যেকটি দেশে একটি নিজস্ব ভাষা রয়েছে এবং গোটা দুনিয়াতে এইরকম বহুৎ পাশাপাশি মানুষ রয়েছে কিন্তু এই মার্কেটপ্লেসের এই গোটা দুনিয়ার মানুষ একত্রিত হয় এবং তারাও তাদের ভাঙ্গা ইংলিশ ব্যবহার করে একজন আরেকজনের সাথে কথোপকথন করে।
বর্তমানে এই ইংলিশের জড়তা কাটানোর জন্য বিভিন্ন রকম সফটওয়্যার অথবা টুল রয়েছে।
এগুলো ব্যবহার করে খুব সহজেই ইংরেজিতে একজন আরেকজনের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।
ইংরেজি শিখতে হলে বেশ কয়েকটি কারণ আমি উল্লেখ করছি যেগুলা অবশ্যই থাকতে হবে।
ইংরেজি শিখতে প্রথমত প্রচুর সময় এবং ধৈর্যের প্রয়োজন হয়
২. কাজ শেখার পর প্রবল ইচ্ছা থাকতে হয়
৩. সব সময় এই ব্যাপার নিয়ে ঘাটাঘাটি করার ইচ্ছাও থাকতে হবে
৪. প্র্যাকটিস করার জন্য আরেকজন পার্টনারের প্রয়োজন হবে সে ক্ষেত্রে আপনার শেখার গতিটা বেড়ে যাবে।
উদাহরণস্বরূপ কয়েকটি টুলের সাথে আলোচনা করি :: ফ্রিলান্সিং শিখতে কতটুকু ইংরেজী জানার প্রয়োজন
বাজারে প্রচলিত বেশ কয়েকটি টুল রয়েছে সেগুলোর ভিতরে গুগল ট্রান্সলেট এটি দ্বারা যে কোন ইংলিশ কে ট্রান্সলেট করে বাংলাতে অথবা স্প্যানিশ একটি ভাষাকে বাংলাতে খুব সহজেই কনভার্ট করতে পারি এবং ক্লাইন্টকে সেই স্প্যানিশ ভাষায় উত্তর দিতে পারি।
এই ধরনের লেখা অথবা কনভারসেশন কে বলা হয় ফ্লুয়েন্ট ভাষা। আর এর আরেকটি রয়েছে সেটি হচ্ছে নেটিভ। নেটিভ বলতে বোঝায় উক্ত দেশের প্রচলিত ভাষাকে।
তো আমরা এখানে গুগল ট্রান্সলেট ব্যবহার করে যে কোন দেশের ভাষাকে কনভার্ট করে কথোপকথন চালিয়ে যেতে পারি।
বাজারে থাকা আরও একটি এক্সপেন্সিভ এবং অসাধারণ টুল রয়েছে। যেটি সাহায্যে আপনি একটি ক্লায়েন্টের সাথে সরাসরি ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলতে পারবেন ইংলিশে অভিজ্ঞতা ছাড়া।
ব্যাপারটা খুবই ইন্টারেস্টিং রাইট? আমি ব্যাপারটা পরিষ্কার করছি। এই সাহায্যে আপনার সাথে ভিডিও কলে কথা হবে। সেটা হতেও পারে গুগল মিট অথবা জুম। আর পাশাপাশি উক্ত সফটওয়্যার টি আপনার এই জুমের সাথে কানেক্ট করা থাকবে।
এখানে আপনার যে লাভটা হচ্ছে, ধরুন কথা বলতে বলতে কোন একটি জায়গায় ভীষণভাবে আটকে গেছেন এবং আপনি আপনার মনের ভাষা প্রকাশ করতে পারছেন না এমন অবস্থায় এই সফটওয়্যারটি সেই জায়গায় রুম মিটিংটি স্টপ করে দেবে অর্থাৎ মনে হবে যে আপনার ইন্টারনেট কানেকশনটা হয়তো বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এই সময় আপনি দ্রুততার সহিত আপনার কাঙ্খিত শব্দটি ট্রান্সলেটের মাধ্যমে বের করে আবার পুনরায় তার সাথে কথোপকথন চালিয়ে যেতে পারেন।
তো আমাদের এক দেশ থেকে অন্য দেশে কথা বলার জন্য যেটি বড় বাধা থেকে যায় সেটা বর্তমানে যুগে সেটা সহজ হয়ে গিয়েছে।
পরিশেষে যে বিষয়টি আপনাদের সাথে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম সেটা হচ্ছে যে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের উপর পড়ে থাকে তাহলে একটা কাজ করতে পারেন সেটা হচ্ছে আপনি গুগলে প্রতিনিয়ত ডিজিটাল মার্কেটিং এর জার্গান শব্দ ব্যবহার করবেন।
এখানে জয়গান শব্দ বলতে কি বুঝায় , জাগান শব্দ হচ্ছে উক্ত ইন্ডাস্ট্রি কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দ যেগুলা আপনার মুখস্ত থাকলে সেই ডিজিটাল মার্কেটিং সংক্রান্ত যে কোন প্রশ্ন সহজেই উত্তর দিতে পারবেন।
আমি ব্যাপারটা আবার বুঝিয়ে বলছি আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করেন তাহলে ওয়েব ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট নিয়ে গুগলে সার্চ করবেন এর জারগান ওয়ার্ড গুলা কি কি। তখন সেখানে বেশ কিছু শব্দ আপনাকে দেখাবে এগুলো আপনি চেষ্টা করবেন প্রতিদিন মুখস্ত করে রাখার।
এই শব্দগুলো যখন আপনি আপনার conversation এর ব্যবহার করবেন তখন দেখবেন আপনার কনভার্সেশন টা অনেক লেন্থি হচ্ছে এবং আপনারা অনেক অনেক ভাব প্রকাশ করতে পারবেন। ফ্রিলান্সিং শিখতে কতটুকু ইংরেজী জানার প্রয়োজন
দিনশেষে আপনি যখন আপনার ক্লায়েন্টকে আপনার মনের ভাবটি প্রকাশ করতে পারবেন আপনার কাজ সেখানে নিশ্চিত হয়ে যাবে যে আপনি সেই কাজটি পেয়ে যাচ্ছেন।
আমি আরো কয়েকটা সমাধান দিতে পারি এটা হচ্ছে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান তিন চার মাস ধরে এই ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে বিভিন্ন সময় ব্লক এর আর্টিকেল পড়তে হবে এই সময় আপনার ইংরেজি জানতে হবে সবকিছু ইউটিউবে থাকে না যে জিনিসগুলো আপনার সমাধান হবে না আপনি সেই জিনিসগুলো কিন্তু সহজেই আপনি ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন বা গুগল করলে সেটা পেয়ে যাবেন। এই প্রশিক্ষণ চলাকালীন সময়ে যখন আপনার এই ব্লক করার অভ্যাসটা হয়ে যাবে আপনি দেখবেন যে আপনার প্রশিক্ষণ শেষ হতে না হতে আপনার এই ইংরেজির উপরে একটা দক্ষতা চলে এসেছে কারণ আপনি উক্ত বিষয়ের উপর প্রতিনিয়ত করে আর্টিকেল পড়েছেন এবং আর্টিকেল এর বিভিন্নভাবে ট্রান্সলেট করেছেন।
আপনি ইংরেজি নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ব্যাপারটা অতটা চিন্তা করবেন না কোন না কোন ভাবে আপনি যদি এই সমস্ত ইংরেজি ব্যাপার নিয়ে লিপ্ত থাকেন তাহলে আপনার ইংরেজি শেখা তা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। আসলে ইংরেজি শেখা ব্যাপারটা সম্পূর্ণ নিজের উপর আপনি চাইলে খুব সহজেই ইংরেজি শিখতে পারবেন আবার মন যদি না চায় তাহলে আপনার ইংরেজি শেখাটা কিন্তু অনেক জটিল হয়ে পড়বে অনেকে রয়েছে বছর পর বছর ইংরেজি নিয়ে স্টাডি করেই যাচ্ছে কিন্তু তাদের কাঙ্খিত যে ইংরেজির উপর দক্ষতা সেটা আসছে না।
শেষে একটা কথা এখানে উল্লেখ করতে চাই যে আপনি যে ইংরেজিতে কথা বলবেন তাহলে আপনার সেই বিষয়টার উপরে প্রচুর পরিমাণে vocabulary করতে হবে তাহলে দেখবেন আপনার ইংরেজিতে অনেকটা সহজ হয়ে গিয়েছে।
এখানে একটা কাজ করতে পারেন প্রতিদিন দশটা করে মুখস্ত করতে পারেন এবং পরের দিন সে গিয়ে সেই দশটাকে আপনি নিজের কাছে পরীক্ষা দিবেন যে আপনার দশটার ভিতরে কয়টা মনে আছে।
ঠিক সেই দিনই আরো দশটা করে বিষ্ঠা জমা করবেন তারপরের দিন গিয়ে ২০ টা আবার দেখবেন কয়টা মনে আছে এইভাবে যদি প্রতিদিন প্র্যাকটিস করেন তাহলে মাস শেষে দেখবেন আপনার ব্রেইনে প্রচুর পরিমাণে শব্দ ভান্ডার হয়ে গিয়েছে যেগুলো সব সময় সারা জীবন মনে থাকবে আপনি যেকোনো সময় যে কোন কাজে এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করে যাত্রা সহজ করতে পারেন।
আরো জানুন এই বিষয়েঃ