অল্প টাকায় ব্যবসা করার উপায় | ৩ টি কম পুঁজির লাভজনক ব্যবসা 2023

অল্প টাকায় ব্যবসা করার উপায় | ৩ টি কম পুঁজির লাভজনক ব্যবসা 2023,আরও জানুন

বর্তমান প্রজন্মের তরুণরা স্বল্প পুঁজিতে ব্যবসা করার প্রবণতা কাজ করছে। আজকে আমি শেয়ার করব তিনটি ব্যবসায়ের কথা। যে ব্যবসা নিশ্চিত লাভজনক ব্যবসায় হিসেবে বলা যেতে পারে। যে ব্যাপার স্যাপার নিয়ে কথা বলছি সেটা একটু মনোযোগ সহকারে পড়বেন আর আপনার প্রয়োজনীয় বা ভালোলাগার কিছু জায়গা অবশ্যই খাতা কলমে নোট করে রাখবেন আশা করি এই কথাগুলো বা এই লেখাগুলো আপনার ব্যবসা করার জন্য খুবই উপকার হবে।

কম পুঁজিতে ব্যবসা করা বলতে বুঝায় স্বল্প টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসা পরিচালনা করা। এমনকি পৃথিবীর অনেক বড় বড় ধনী ব্যবসায়ী রয়েছে যারা শুরুতে অল্প টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে আস্তে আস্তে তারা পৃথিবীর ধনী ব্যবসায়ী হিসেবে গণ্য হয়েছে। যেমন ইলিয়ান মাস্ক তার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ২১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ও বেশি, বিল গেটস ১২৯ মাটির ডলারের ও বেশি, অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা Jeff bezos তোমার সম্পদের পরিমাণ ১৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ও বেশি।

এখানে আপনার ব্যবসা করার আগ্রহ টা থাকতে হবে যদি আগ্রহ থাকে তাহলে সম্পর্কটা কম খুশিতে ব্যবসা শুরু করে দিতে পারবেন

1. এক নম্বর হচ্ছে ব্যবসা :
————————-
এলইডি লাইটের ব্যবসা ‌। বর্তমানে সব লাইটের তুলনায় এলইডি লাইটের চাহিদাটা বেশি এবং লাভজনক। কারণ এই এলইডি লাইট বিদ্যুৎ সাশ্রয় আর এই লাইটগুলো প্লাস্টিকে হওয়ার কারণে ভেঙে যাওয়া প্রবণতা কম থাকে। আপনি যদি আগের লাইট গুলা লক্ষ্য করেন সেগুলো কাচের হওয়ার কারণে শুধুমাত্র যাতায়াত cost বেশি হয়ে যেত।

এই লাইটের বর্তমানের চাহিদা অনেক বেশি কারণ এই লাইফটা প্রচুর আলো দেয় এবং আমাদের দেশের লোডশেডিং এর সমস্যা দূর করে এ রিচার্জেবল এলইডি লাইট অভাব পূরণ করেছে।

এখন কিভাবে ব্যবসা শুরু করবেন??
যদি আপনি নিজেই এই লাইটগুলো তৈরি করেন সে ক্ষেত্রে যে উপকরণ গুলো লাগবে তা হচ্ছে। তাতাল, রঙ, রজন, লাইটের প্রাথমিক কাঁচামাল এবং মোড়কি করার জন্য প্যাকেট।

আর যদি পাইকারি কিনে বিক্রয় করেন সে ক্ষেত্রে আপনাদের কোন রকম ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না শুধুমাত্র কিনে এনেই বিক্রি করতে পারছেন।

তৈরি করার নিয়ম হচ্ছে। তাতাল, রঙ, রজন, লাইটের প্রাথমিক কাঁচামাল এগুলো একবার কিনে নিলে ই হয়ে যায়। লাইটের বডি লেন্স টক্সিক প্লেট , লিড ড্রাইভ ক্যাপ বা কন্ট্রোল সার্ভিস।

লাইট তৈরি করা বা বাজারজাতকরণ করার নির্ভর করবে আপনার উৎপাদনের উপর আপনার উৎপাদন যদি বেশি হয় তাহলে আপনার কাঁচামালও বেশি প্রয়োজন পড়বে। এই যত সামগ্রী আপনি কাপ্তানবাজারে সহজেই পেয়ে যাবেন।

এই এলইডি লাইটে যদি ব্যবসা করেন তাহলে কেমন আয় করতে পারবেন??
৫ ওয়াট যদি আপনি লাইক ট্রাই করেন সেটা কেনার জন্য আপনার খরচ পড়বে ২২ টাকা। আর বিক্রয় করবেন ৪০ টাকায়।
যদি ১৫ ওয়াট কেনেন কিনবেন ৩৩ টাকায় বিক্রি করবেন ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়।
১৮ থেকে ২০ ওয়াটের লাইট যদি কেনেন তাহলে আপনি বিক্রয় করতে পারবেন ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
৩০ ওয়াট এর লাইট কিনতে পারবেন ৮০ টাকায় যা বিক্রি করতে পারবেন ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত
৫০ ওয়াট লাইট কিনতে আপনার খরচ পড়বে ১৬৫ টাকা যা আপনি বিক্রি করতে পারবেন ২৫০ টাকা থেকে 400 টাকা পর্যন্ত সুতরাং আপনি অর্ধেকেরও বেশি লাভ করতে পারবেন।

২. স্টেশনারি ব্যবসা
——————
এটি আমার তালিকায় দুই নাম্বার ব্যবসা। এখানে যে ধরনের পূর্ণ আপনি বিক্রি করতে পারেন সেটা হচ্ছে খাতা কলম পেন্সিল শাপনার, ফাইল, অফসেট পেপার, পেন্সিল বক্স, জ্যামিতি বক্স, এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের নানা রকম জিনিসপত্র পাওয়া যায় সেগুলো বিক্রি করতে পারবেন।

অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় এই স্টেশনারি ব্যবসাটা চাহিদা বা লাভজনক কেন কারণ এই ব্যবসায়ের বিক্রি টা সারা বছর সমান থাকে। সারা বছরে শিক্ষার্থীদের স্টেশনারি অন্যগুলো প্রয়োজন পড়ে। তবে বছরের শেষের দিকে এর চাহিদা একটু বেড়ে যায়। এই ব্যবসাটি করে আপনি আশা করি লাভবান হতে পারবেন।

একটি ছোট্ট আকারের ব্যবসা যদি শুরু করেন সেক্ষেত্রে আপনি আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকার বেশি নিয়ে শুরু করতে পারেন। যে সমস্ত স্থানের সমাগম বা লোকসংখ্যা বেশি থাকে সে সকল স্থানে যদি আপনার দোকানটা দিতে পারেন তাহলে আপনার আয়ের পরিমাণ ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকবে।
তারমানে চিন্তা করেন আপনার মূলধনের টেন টু ফিফটি পার্সেন্ট।

আপনি এটা চিন্তা করেন যে আপনার ভুল ধরণের পরিমাণ এক লাখ টাকা এর ১০% প্রতি মাসে আসতেছে। সেখানে যদি ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে ১০% কোন ১ লাখ টাকার মত এখান থেকে আয় থাকবে।

এবার হচ্ছে স্টেশনারি ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন তা বলব:-

-স্টেশনারি পণ্য বিক্রি করার জন্য আপনাকে বেশ কিছু ব্যাপার-স্যাপার মাথায় রাখতে হবে কারণ এর কিছু নির্দিষ্ট গ্রাহক আছে। এর বড় অংশ হচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা। তাহলে আপনি যদি স্কুল-কলেজ বা কমার্শিয়াল প্লেস গুলা অফিস এরিয়াতে যদি এর দোকান দিতে পারেন তাহলে আপনার বিক্রয় বেশি হবে।

আর এটা আমরা জানি যে আমাদের ব্যবসা শুরু করার পূর্বে স্থান কতটা গুরুত্বপূর্ণ আপনার স্থান যদি সঠিকভাবে নির্বাচন না করতে পারেন তাহলে ব্যবসা সহজে করতে পারবেন না এবং সে ব্যবসাটা যতই লাভজনক ব্যবসা হোক না কেন সেটা আপনি কখনোই করতে পারবেন না কারণ সেই স্থানটা উপযুক্ত নয় সে ব্যবসা করার জন্য।

যারা আপনার মূল ক্রেতা তাদের ওখানে যদি দোকানটি দেওয়া যায় তাহলে আপনি বেশি বিক্রয় পাবেন।

এর আরেকটি উদাহরণ যদি দেই সেটা হচ্ছে মসজিদে এরিয়াতে দেখবেন সব সময় আতর বা আতর প্রসাধন এগুলো বিক্রি হয়ে থাকে। তাই আপনি প্রাথমিকভাবে যেহেতু আপনার পুঁজি কম সেক্ষেত্রে ছোট দোকান দিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন। বিক্রি বেশি হলে পরবর্তীতে দোকান বড় করতে পারেন।

এখন কথা হচ্ছে দোকান যত ছোট হোক বা বড় হোক এটা কোন বিষয় না কিন্তু উক্ত দোকানের সকল ধরনের পণ্য রাখতে হবে কম হোক আর বেশি হোক কিন্তু সকল পণ্য রাখতে হবে।

এই ধরনের দোকানগুলোতে বাচ্চাদের আগমন হয়ে থাকে এজন্য বাচ্চাদেরও খেলনা বা এ ধরনের জিনিসপত্র দোকানে রাখতে পারেন। দোকানটি কাঁচের গ্লাস সেলস দিয়ে তৈরি করতে হবে যেন ভেতরে থাকা প্রত্যেকটি পণ্য বা ছোটদের খেলনা সহজে তারা দেখতে পারে এবং তার বাহানার জন্য তার পিতা-মাতা তার জন্য সে পণ্যটি কিনে দিবে।

তারপর জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে আপনি দেখবেন প্রাতস্থানিক যে বইগুলো রয়েছে সেগুলোর চাহিদা বেশি থাকে সে সকল বইগুলা সেই দোকানে রাখবেন। এর জন্য বেশি মূলধনের প্রয়োজন হলেও চেষ্টা করতে হবে যে সকল ধরনের বই গুলা কালেকশনে রাখা।

তবে এখানে আরও একটু যদি আমি সংযোজন করি মূলধন যদি বেশি থাকে তাহলে অবসর সময় আপনি ফ্লাক্সিলোডের ব্যবস্থা রাখতে পারেন এবং একটি ফটোকপি মেশিন যার বর্তমান মূল্য ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার ভিতর হয়ে থাকে এটাও রাখতে পারেন। এতে করে হচ্ছে কি আপনার কোন কাস্টমারই আপনার কাছ থেকে হাতছাড়া হচ্ছে না।

একটা দোকান থেকে যখন কাস্টমার একই সার্ভিস নেওয়ার জন্য আমার কম্পিটি কাছে যায় এটা মোটেও ভালো লক্ষণ না।

আপনার দোকানটি ব্যানার এবং সাইনবোর্ড নিয়ে পরিবেশিত করবেন। জল বাহির থেকে যে কেউ আকৃষ্ট হতে পারে এবং দেখার জন্য মনে হয় এটা একটি স্টেশনারি দোকান।

৩. ফাস্টফুড এর ব্যবসা:
———————-

ফ্রেন্স ফ্রাই চিকেন পিজ্জা এগুলোর নাম শুনলেই কেমন জিরো পানি চলে আসে তাই না।

জি হ্যাঁ যদি এই ধরনের ব্যবসা দেয়া যেতে পারে তাহলে লাভজনক এই কারণে যে পশ্চিমা দেশগুলোতে এই ফাস্ট ফুডের আইটেমগুলো খুবই জনপ্রিয় ছিল যা আমাদের দেশেও ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এখনো অতটা পাইনি কারণ আপনি যদি প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিকে লক্ষ্য করেন সেখানে যে রেস্টুরেন্ট বাহিরে তৈরি হয়েছে যে খাবার তারা সরবরাহ করছে একদম মনে হবে পাঁচ তারকা হোটেলের খাবারের মতো টেস্ট তারা দিচ্ছে।

এই ফাস্টফুড এর খাবারটি সব ধরনের বা সব বয়সের মানুষ পছন্দ করে। তারমানে আপনি ধরেই নিতে পারেন যে আপনার কাস্টমার হবে সবাই।

নির্দিষ্ট কিছু সময় যেমন সকালবেলায় বাচ্চাদের স্কুল ছুটি হওয়ার পর সন্ধ্যার সময়‌ এই ফাস্টফুডের আইটেম প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হয়।

খাবার তৈরি করার জন্য মূলধন। আপনি যদি খাবার প্রস্তুত কারও প্রতিষ্ঠান থেকে খাবার এনে বিক্রি করতে যান সে ক্ষেত্রে যদি অগ্রিম চুক্তি করে নিয়ে আসেন। তাহলে খাবার ব্যবসায় আপনার তেমন একটা মূলধনের প্রয়োজন পড়বে না। মোটামুটি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা হলে আপনি ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন।

এলাকায় এই রেস্টুরেন্টের দোকানটি দিয়ে দিবেন এর জন্য ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাগবে। তারপর সেখানে খাবার বিক্রি করবেন।

ফাস্টফুডের এই ব্যবসাটা দুইভাবে করা যায় এক হচ্ছে আপনি নিজে তৈরি করে বিক্রি করবেন আরেকটি হচ্ছে তৈরি করা খাবার কিনে এনে বিক্রি করবেন।

যদি আপনি নিজে খাবার তৈরি করে বিক্রি করার পরিকল্পনা করেন তাহলে এটা কম পুজিতে অতটা সহজ হবে বলে মনে করি না। কারণ প্রথমত আপনার খাবার তৈরি করার জন্য প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রম করতে। এখানে যেহেতু নিজে তৈরি করছে সে ক্ষেত্রে আপনার কাঁচামাল প্রয়োজন পড়ছে এটা অনেক পড়বে। আর যদি নিজে তৈরি না করেন খাবার প্রস্তুতকারক এনে যদি তৈরি করে সে ক্ষেত্রে তার খরচ বা তার বেতন দিতে হবে আপনাকে, দোকানটাকে বড় করতে হবে।

তাছাড়া আপনি ঘরের খাবারও বিক্রি করার উপায় আছে এজন্য food panda
Foodpeon
Cookups
Foodtong
ওয়েবসাইট দেখতে পারেন এখানে আপনার তৈরি কিন্তু খাবার বিক্রি করতে পারেন।

আর আপনি যদি প্রস্তুতকারীদের কাছ থেকে কিনে বিক্রি করেন সে ক্ষেত্রে। এখানে সুবিধাটা হচ্ছে আপনি যদি প্রস্তুতকারকের কাছ থেকে চুক্তিবদ্ধ হয়ে খাবার নিয়ে আসেন তাহলে তাদের এজেন্টকে তারা আপনার দোকানে খাবার প্রতিনিয়ত পৌঁছে দিবে, আর যদি আপনার সেদিন সব খাবার বিক্রি না হয় অবশিষ্ট খাবার গুলো তারা আবার নিয়ে যাবে।

সন্ধ্যার সময় প্রচুর পরিমাণে আমি ফাসপোর্ট এর খাবার চলে এখানে স্কুল-কলেজ টেনে যারা অথবা ভোজন প্রিয় মানুষ তারা তো অবশ্যই অবশ্যই খাবে। এখন আপনি যদি বসুন্ধরা উত্তরা গুলশান এ সমস্ত জায়গায় যদি বিক্রি করতে পারেন তাহলে আপনার ভালো বিক্রয় হবে। আর রাজধানী শহরের বাইরে যদি হয় তাহলে আপনি খেয়াল রাখবেন স্কুল কলেজের ওই এরিয়া গুলোতে বিক্রি করতে।

আজকে আমি শেয়ার করলাম তিনটি কম পুজিতে লাভজনক ব্যবসা। কারণ তরুণরা চায় যে কম পুঁজিতে ব্যবসা করতে এবং সেখান থেকে একটা দ্রুত রিটার্ন নিয়ে আসতে। তো আমি মনে করি আপনি যদি এভাবে ব্যবসা করতে পারেন বা যে ধরনের এরিয়া কথা আমি উল্লেখ করেছি সেই সমস্ত এরিয়াতে যদি ব্যক্তি করতে পারেন তাহলে আপনার বিক্রয় হবে।

এখন আপনি যদি মনে করেন যে আমি ব্যবসা আছে কোন স্থানে দিয়ে দিব এটা হলে হবে না।

আপনি যদি স্থানটা ঠিকঠাক মত রাখতে পারেন সেটা যে কোন ব্যবসার জন্য মঙ্গলজনক হয়ে থাকে ধন্যবাদ আশা করি ভালো লেগেছে যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনাকে শেয়ার করবেন এরকম আরো কনটেন্ট পেতে হলে এই ওয়েবসাইটটি সেভ করে রাখবেন ধন্যবাদ

more links:
বিজনেস কম্পিটিশন কি? বা বিজনেস হবে কম্পিটিশন ছাড়া।
ফিল্যান্সিং করে মাসিক গড়ে কত টাকা আয় করা যায়?

Leave a Comment