বিজনেস কম্পিটিশন কি

বিজনেস কম্পিটিশন কি? বা বিজনেস হবে কম্পিটিশন ছাড়া।

এমনভাবে ব্যবসা করে যেখানে কোনরকম কম্পিটিশন থাকবে না। যেমনটা মার্বেল স্টুডিও যেটা আমরা আয়রন ম্যান, ক্যাপ্টেন আমেরিকা নামে জানি। ১৯৯৬ সালে জানুয়ারি মাসে মার্বেলের কর্মচারী ছিল 276 জন। তাদের ঋণ ছিল প্রায় ২৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেইখান থেকে বর্তমানে মার্বেলের প্রফিট ফিফটি ওয়ান বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এইরকম আরো আরো অনেক কোম্পানি আছে যারা কোনো রকম কম্পিটিশন ছাড়াই এখন বর্তমান মার্কেট বাজিমাত করছে। যেমন হচ্ছে উবার পিক্সেল অ্যাপেল। এরা যখন শুরু করে সেই সময় এমনভাবে মার্কেটিং করে তা করেছিল তখন আশেপাশে তাদের যত কম্পিটিটার ছিল তারা টিকতে পারেনি।

এমন কৌশল ব্যবহার করেছে সেটা হচ্ছে blue Ocean strategy. কম্পিটিশন ছাড়া যেভাবে ব্যবসা করা যায় তার একটা উদাহরণ দিচ্ছি সেটা হচ্ছে যখন ২০০০ সাল এর দিকে যত মিউজিক তৈরি হচ্ছিল সেই মিউজিক গুলা প্রতিনিয়ত পাইরেটেড হয়ে যাচ্ছে এবং সিঙ্গার তার অথরিটির উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছিল।

তো তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন ধরনের স্টেপ গ্রহণ করা হয় তার ভেতর হচ্ছে যদি কেউ পছন্দের গান কিনতে চাইতো কিনতে হলে সেই অ্যালবামের সমস্ত গানের সিডি কিনতে হতো আর তার জন্য কাস্টমারের দেয় বেড়ে যাচ্ছে। আর সেই মুহূর্তে অ্যাপেল একটি স্ট্র্যাটেজি বের করে সেটা হচ্ছে blue Ocean strategy. তারা চিন্তা করলো এটা তাদের জন্য একটা অপরচুনিটি এটা কাজে লাগাতে পারলে ব্রান্ড ইমেজ ক্রিয়েট হবে অ্যাপেলের জন্য তো সেটা তারা কাজে লাগে। কি সেই কৌশল ।

তারা তখন চিন্তা করলো যে এই সাপের গান গুলো যদি তাদের সার্ভারে আপলোড করে শুধুমাত্র শুধুমাত্র ব্যবস্থা নিতে পারে এখানে একটা বড় সুযোগ থাকবে। এই জিনিসটাই প্রথমে আপনাকে ভাবতে হবে যে সুযোগ আমি কাজে লাগাতে পারি। তারপর আপনাকে একটা টার্গেট নির্ধারণ করতে হবে যে আমার এর সর্বশেষ গন্তব্য হচ্ছে এই প্রজেক্টটা সাকসেসফুল করা।

দ্বিতীয় ধাপটা তো গেল তৃতীয় ধাপ অবলম্বন করা। যেহেতু এই কৌশলটা খুবই কঠিন এজন্য আশেপাশে সবাইকে এ ধরনের কৌশল অবলম্বন করতে দেখা যায় না। আপনি যদি এই কৌশলটা অবলম্বন করা শুরু করেন তাহলে কিন্তু আপনি নতুন একটা মার্কেটে এন্ট্রি করবেন।

আর তখনই এই মার্কেটে আপনি একাই মার্কেটিং টা করবেন আর এখানে আপনি ব্যতীত অন্য কেউ থাকবে না। কারণ এইটা তো অন্য কেউ জানতে না যে আপনি কি মার্কেটিং করছেন । কি ধরনের কৌশল অবলম্বন করে এই মার্কেটিং প্রচারণা চালাচ্ছেন তাই উদ্যোগটা গ্রহণ করেছেন। এখানে ব্যাপারটা খুবই মজার যে আমি একটা মার্কেটিং করছি যেটা ব্যাপারে কেউ জানেও না বুঝেও না বাটা খুবই ইনসেন্ট তাই না।

চতুর্থ ধাপটা হচ্ছে আপনি যে পরিকল্পনাগুলো করেছেন সেগুলো বাস্তবায়ন করা। এখানে অ্যাপেল যে কাজটা করেছিল তখন পুরাতন নতুন সকল গান এবং সেই সাথে সাথে যত সিডি কোম্পানি তাদের সাথে সম্পর্ক করে এবং তখন আইটিউন নামে একটা সফটওয়্যার তারা তৈরি করে যেটা ঔ যেটা ২০২২ সালে ২৫ বিলিয়ন গান বিক্রয় করেছি। তারা যে মার্কেটটা ফাঁকা পেয়ে পূরণ করে দিল এটি হচ্ছে কম্পিটিশনের ছাড়া বিজনেস করা।

আর এর অপর পাশে যে ব্যবসাটা সাধারণত করা হয়ে থাকে সেটা হচ্ছে রেড ওষেন স্ট্রাইডিজি যেটা হয়ে থাকে এমন যে একজন আরেকজনের কম্পিটিটার নিয়ে টানা হ্যাসেরা করা তার কম্পিউটরকে এর অডিওস গুলোকে কিভাবে নিজের করা যায় এই জিনিসগুলো নিয়ে কাজ করা হয় এই red Ocean strategy.

ধরুন আরেকটা উদাহরণ যদি দেই সেটা হচ্ছে আপনি কলা বিক্রি করছেন আপনার বন্ধু কলা বিক্রি করছে এবং আপনার সহপাঠীও সেও কলা বিক্রি করছে এখন হতে পারে যে আপনি যে অডিয়েন্স বা আপনার যে কাস্টমার আপনার কাছ থেকে কলা কিনবে অন্য কাস্টমার ও আপনার বন্ধুর কাছ থেকেও কলা কিনবে বা অন্য আরেকটা কাস্টমার আপনার সহপাঠের কাছ থেকে কলা কিনবেন। তাহলে একজন আরেকজনের মধ্যে এমন মতামত তৈরি হতে পারে যে আমি যদি তার কাস্টমার কোন নিতে পারতাম তাহলে হয়তো বিক্রয়টা আমার একটু বেশি হতো এইটাকে বলা হয় মূলত red Ocean strategy.

Blue Ocean strategy টা হচ্ছে একটা মাত্র কোম্পানি থাকবে

তারপর আমাদের পরিচিত ব্র্যান্ড কেন নিয়ে কথা যদি বলি তারা এমনভাবে মার্কেটিং টা করেছিল যে তৎকালীন সময়ে বড় বড় প্রিন্টিং এর কাজগুলা বড় প্রিন্টারের কোম্পানিগুলোতে গিয়ে প্রিন্ট করাতে হতো ।

কিন্তু তখন কেন চিন্তা করল যে এত বড় ভাবে চিন্তা না করে তারা যদি একটা ছোট প্রিন্টারের রূপ দিতে পারে তাহলে কিন্তু মানুষ ছোট ছোট কাজ করার জন্য ওই বড় কোম্পানিতে গিয়ে প্রিন্টা করাতে হতো না তো তারা তৎকালীন সময় একটা প্রিন্টার তৈরি করে সেটা খুবই জনপ্রিয়তা পায় সাংবাদিক বা পত্রিকা নিয়ে যারা কাজ করে। এরপরে অনেক প্রিন্টার প্রস্তুত কারো কোম্পানি এসেছে যদিও আসে এখানে কিন্তু যে লিডার কেননি থেকে যাবে সর্বসময়।

এইখানে যদি আপনি এপ্লাই করতে চান এই কৌশলটা তাহলে আপনাকে তিনটা উপায় অবলম্বন করতে হবে প্রথমটা হচ্ছে যারা সারাদিন কোন একটা বিষয় নিয়ে পড়ে থাকে হতে পারে ক্রিকেট তো যারা সারাদিন ক্রিকেট নিয়ে পড়ে থাকে। সকল ধরনের খবর রাখে প্রত্যেকটা ক্রিকেটার কখন কি করছে মানে এক কথায় যদি বলা যায় সে হচ্ছে ক্রিকেটের পাগলা ফ্যান। এটা হচ্ছে প্রথম এবং ছোট কাস্টমার বেইজ আপনার জন্য হতে পারে ‌

দ্বিতীয় টা হচ্ছে যারা ক্রিকেট নিয়ে মোটামুটি খবর রাখে কিন্তু অতটা রাখেনা তারা হতে পারে আপনার দ্বিতীয় আর তৃতীয় ধাপ হচ্ছে যারা মাঝেমাঝে খেলা হলে দেখে অন্য সময়ের খেলা নিয়ে কোন খোঁজ খবর রাখে না।

এই স্টোরিটা আইপিএল করে থাকে যারা আইপিএল দেখেন তারা এই ক্রিকেটটা সম্পর্কে অবগত আছেন আইপিএল হচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ তারা তৃতীয় যে ধাপটার কথা বলেছি তাদের কথা চিন্তা করে আইপিএল টা শুরু করেছিল।

তারা মনে করলো যে যারা এমন কম বা অনেক বেশি ক্রিকেট ফ্যান আছে তাদেরকে টার্গেট করে নয় তাদেরকেই টার্গেট করতে যারা শুধুমাত্র ইন্ডিয়ার কোন খেলা হলে তারা দেখে অন্য কোন তাই দেখেনা তো তাদেরকে আনন্দ দেওয়ার জন্য এই আইপিএল টা উন্মোচন করেন।

গান বাজনা বলিউড স্টার ডেটিং ইত্যাদি এই জিনিসগুলো কে উদ্দেশ্য করে নয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই যে ট্রিক্স বা বিশ্বের অন্য কোন ফ্রাঞ্চাইজি টিমরা চিন্তা করিনি। তাহলে এখানে যদি যারা শুধুমাত্র ইন্ডিয়ান খেলা দেখে তাদেরকে যদি টার্গেট করতে পারে আর যারা অবশ্য খেলা দেখে তারা তো অবশ্যই অবশ্যই আইপিএল দেখতে আসবে তাহলে গোটা অডিয়েন্সটাই তারা পেয়ে যাচ্ছে।

আপনি যদি আরও একটা ব্যবসায় কথা দেখে যে আমরা সাধারণত শার্টে কলার দেখতে পাই কিন্তু সেই সময় শার্টের কলার এটা বুঝলাম কিন্তু গেঞ্জিতে কেন গলার হয় না সেটা পোলো প্রথম ইনোভেশন করে যে গেঞ্জিতে কলার ব্যবহার করা। এখানে তাদের টার্গেট ছিল যারা হাই রেঞ্জ কাস্টমার তারাও কিনতে পারে আবার রিজনেবল ক্লাসের যারা কিনতে চায় তারা যেন একটা এলিকেট গেঞ্জি কিনতে পারে।

বাংলাদেশেও কিন্তু এসএমসি যে পানিটা আছে এটাও কিন্তু ভেতরে চলে আসে কিন্তু তারা যদি এটা প্রপারলি utilise করতে পারে তাহলে এখানে হলেও কিন্তু কম্পিটিটার ছাড়াই তারা মার্কেটে মার্কেটিং করতে পারবেন। তবে blue Ocean strategy একটা কাজ করতে হলে অবশ্যই সম্পূর্ণ পিপেয়ার হয়ে আপনাকে মার্কেটে নামতে হবে। তারপর হচ্ছে প্লানিং করতে হবে সঠিক পরিকল্পনা গুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। যদি আপনার মনে হয় আর আপনি সঙ্গে সঙ্গে মার্কেটে নেমে যান এটা কখনো কাজ করবে না।

আসলে এই কৌশলটা কাজে লাগাতে হলে আপনাকে স্বপ্ন দেখতে হবে যে স্বপ্নের যারা দেখেছে তারা এখন মোটামুটি ভালো একটা পর্যায়ে আছে। তো এর জন্য আপনাকে প্রচুর পরিমাণে মার্কেটিং রিসার্চ করতে হবে এবং মার্কেটে যদি আপনি ইতিমধ্যে থাকেন তাহলে আপনার এই ধরনের ইনুভেটিভ চিন্তা মাথায় আসবে কিন্তু আপনি যদি ঘরে বসে থাকেন তাহলে খুব সহজে এই কাজটা করতে পারবেন না তবে আমার উদ্দেশ্য ছিল আপনাকে এই ব্যাপারগুলোর জানিয়ে দেওয়া যেন আপনারা এই ধরনের সম্পর্কে অবগত হতে পারে যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আমার এই কন্টাক্টটি আপনাদের বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন ‌ ধন্যবাদ আবার আসবো নতুন কোন একটি পোস্ট নিয়ে সে পর্যন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন

এই বিষয় সম্পর্কে আরও জানুন

Leave a Comment