Bangla Sad Love Story | Love Story Bangla | ভালোবাসার মেসেজ

We collected these Bangla love story for our visitor, who like to read a love story, we hope you like this story. you can also read here Bangla Love SMS, English love SMS and Status. Bangla sad love story is one the best story for our lazy time to reading,, so pass your lazy time to read our story.

মেঘলা আকাশ

দিনটি ছিল বর্ষাকাল।

ঘুম থেকে উঠতে দেরী হয়ে গেল।আসলেই বৃষ্টি আর লোডসেডিং মানুষকে বহু কষ্ট দেয়।কিভাবে যে এ জালা সহ্য করি।আজ ১১ টায় পরীক্ষা।

এমনিতে দেরী করে ঘুম থেকে উঠলাম তার মধ্যে বাহিরে তুমুল বৃষ্টি পড়ছে।কাল রাতেও সালার লোড সেডিং এর কারণে ভালোভাবে পড়া হয়নি।

আল্লাহ জানে আজ কপালে কি আছে।তবুও আল্লাহর নাম নিয়ে বের হয়ে গেলাম। রিক্সা পাচ্ছিনা।বের হয়ে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজেই কোনোমত পরিক্ষা হলে ঢুকলাম।

প্রশ্ন পত্র দেখে মাথা বেথা শুরু হয়ে গেল। কোনোমত পরিক্ষা দিয়ে বাসায় পৌঁছলাম।বাসায় ঢুকতে না ঢুকতেই আম্মু FM শুরু হয়ে গেলো “‘বই পত্র গুছিয়ে রাখতে পারিসনা??এত বড় হয়ে গেছিস তবুও নিজে ছেলেমানুষি করে বেড়াস।।

আমাকে কেন এত জালাস? “‘ ইত্যাদি ।।..কোনোমত গলা দিয়া দুটো ভাত ঢুকিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলাম …বন্ধুগুলাও সব নিজের কাজে বিজি ..পরীক্ষাটাও তেমন ভালো হয়নি ।

মনটাও খারাপ তাই মোবাইল টা নিয়ে ছাদে চলে গেলাম…সময় তখন বিকাল ৫টা..সাভাবিকভাবে ছাদের চাবি আমাদের কাছে থাকে..

কারণ আমরা সেই বিল্ডিঙ্গের ৬ তালায় থাকতাম ..আর আমি ছাদে যেতে বেশি পছন্দ করতাম..ছাদে দাড়িয়ে কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতেছিলাম ..তখন পিছন থেকে একটা ছেলে বলল

আসসালামু আলাইকুম ভাই কেমন আছেন?

আমি পিছন ঘুরে দেখলাম প্রায় ৫.৬ ইঞ্চি লম্বা একটা ছেলে। বলাম-জি ভাই ভালো..সরি আপনাকে ঠিক চিনতে পারলামনা..

ভাই আমরা এই বাসায় নতুন ভাড়াটিয়া ..তিন তলায় থাকি..ভাই শুনলাম ছাদের চাবিটা নাকি আপনার কাছে থাকে?’.

জি ভাই আমার কাছেই থাকে’..

তা ভাই আপনার নামটা জানতে পারি?

জি আমার নাম মোঃ আকাশ.আপনার?

‘ভায়া আমার নাম সজল.

কি করেন আপনি?

আমি স্টাডি করি এবার অনার্স থার্ডইয়ার।আপনি?

জি ভায়া আমি আপনার থেকে জুনিয়র।মাত্র অনার্স ফার্স্টইয়ার।

ওকে নো প্রবলেম । একই ছাদের নিচে যেহেতু থাকি তাহলেতো আমরা ভাইবন্ধু কি বলেন? ( হাসতে হাসতে আমাকে বলতেছে )

জি ভাই ঠিক বলেছেন ( আমিও হাসতে হাসতে উত্তরটা দিলাম )

ভাই পড়ালেখা কেমন চলতেছে?

ভাই সেই টেনসনই করতেছি।পরিক্ষাতো দিয়ে আসলাম আল্লাহ যানে কি হবে।

আল্লাহর রহমতে ভালোই হবে,আপনি চিন্তা করবেননা 🙂

জি ভাই দোয়া করবেন 🙂

আচ্ছা ভাই আপনার কাছে কি আরেকটি ছাদের চাবি হবে?

জি ভাই আমার কাছে দুটা আছে

একটা কি দেয়া যাবে?

জি ভাই সিউর..নিন

থেন্ক্স ব্রাদার

জি ওয়েলকাম.

আবার মনেহয় বৃষ্টি আসবে।

জি ভাই তাই মনে হচ্ছে।আবারো আকাশটা মেঘলা হয়ে গেলো।

আমাদের কথার মাঝে কে যেন পিছন থেকে হঠাৎ খুব মিষ্টি করে বলছে ‘ভাইয়া তোমাকে আম্মু ডাকতেছে।তাড়াতাড়ি ঘরে চলো।

সজল ভাই বলল ‘এইতো আসছিরে পাগলি তুই ঘরে যা।

তখন আমি পিছন ঘুরে তাকালাম।দেখলাম বাতাসে তার চুলগুলো দিয়ে মুখটা ঢেকে আছে । মুখটা আবছা দেখা যাচ্ছে।

তখন সে টেরিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে চলে গেলো।

আমিও আর তাকালাম না।কিন্তু তার তাকানোর ভঙ্গিটা আমার কাছে খারাপ লাগলনা 😀 😀

আচ্ছা আকাশ ভাই আমি তাহলে এখন যাই।ঘরে একটু কাজ আছে।

জি ভাই আমিও নেমে যাবো চলেন।

(ছাদ থেকে নামছি আর কথা বলছি)

আকাশ ভাই আপনারা কয় তালায় থাকেন?

ভাই আমরা ৬ তলায় থাকি

ও আচ্ছা।আপনার ফোন নাম্বারটা দিন ছাদে গেলে ফোন দিয়েন

ওকে ভায়া ।ভায়া আপনি আমাকে তুমি করে বলতে পারেন

ওকে ভাই ।

আচ্ছা ভাই যাই ‘ আল্লাহ হাফেজ ‘

আল্লাহ হাফেজ

পরের দিন ঘুম থেকে উঠলাম খুব তাড়াতাড়ি।ব্রাশ করতে করতে ছাদে যাবার জন্য সিরি দিয়ে উঠে দেখি ছাদের গেটটা খোলা।আমি একটু অবাক। মনে মনে ভাবছি ‘এত সকালে ছাদে কে আসলো ?’ছাদের দরজা দিয়ে ঢুকে দেখি সেই মেয়েকে দেখা যাচ্ছে।যে মেয়েটি গতকাল সজল ভাই কে ডাক দিতে আসছিল । মেয়েটি গোলাপফুল গাছটায় পানি দিচ্ছে।আমি একটু জোরে সরেই বললাম ‘ এইযে শুনুন আপনি।এখানে কি করছেন?’

কি করছি মানে?দেখছেননা কি করছি?চোখে পানি দিয়ে এসে ভালো দেখেন আমি কি করছি।

জি ওইটা আমার গোলাপ গাছ।আমি লাগিয়েছি ।

বাহ বাহ।লাগিয়েছেন ভালো কথা কিন্তু যত্ন নেবারতো কোনো খবরই নাই।দেখেনতো গাছের পাতাগুলা কেমন শুকিয়ে গিয়েছিল।আমি এখন গাছে পানি দেওয়াতে গাছ কেমন সুন্দর লাগছে

আমি হেসে হেসে বললাম – মেডাম এই বর্ষায় যে বৃষ্টি আসে এতে আবার গাছে পানি দেয়া লাগে?

না মানে

ওকে ইটস ওকে

গোলাপ আপনার কাছে ভালো লাগে?

ভালো লাগে মানে?অনেক ভালো লাগে।

আচ্ছা আপনি সজল ভাইয়ের কি হন?

সজল আমার বড় ভাইয়া।

ও আচ্ছা।

আমি এখন যাই। দেরি হলে আম্মু বকা দিবে।

ওকে যান তাহলে।

আজ পরিক্ষা নেই।আবার ৩দিন পর।বহু সময় হাতে আছে।তাই একটু নিশ্চিন্তএ সময় কাটাচ্ছি।সত্যি কথা বলতে আমি একটু পড়া চোর । সময় পেলেই গান শুনি আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেই।আর পরীক্ষার আগেরদিন সারাদিন সারারাত বই নিয়ে ঘুমায়।তখন ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট হয়ে যাই।বই খাতা ছাড়া কিচ্ছু বুঝিনা।তখন ব্রিলিয়ান্ট ছাত্ররা আমার কাছে হার মানে যায় 😀

বিকালে ছাদের আবার গেলাম..একা একা ছাদে অনেকটা সময় দাড়িয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম…তখনও আকাশটা অনেকটা মেঘলা ছিল..দমকা বাতাস মনটাকে ছুয়ে যাচ্ছে …জোরে একটা নিশ্বাস নিলাম…অসম্ভব সুন্দর বাতাসের গন্ধ …দু এক ফোটা বৃষ্টির জল শীতল করে দিচ্ছে মনটাকে …মন চায় হারিয়ে যাই কোনো এক অজানা দেশে …জানিনা কেন প্রকৃতিটাকে এত ভালবাসতে ইচ্ছে করে…এক একটা সময় মনে হয় এই মেঘ এই আকাশ,বৃষ্টি,শীতল ঠান্ডা দমকা হাওয়া সবই আমার আপনজন….মন চায় তাকে নিয়ে চলে যাই সেই মেঘগুলোর ওপরে আরো ওপরে যেখানে থাকব শুধু আমরা দুজন..আর অনুভব করব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ..

কিন্তু কাকে নিয়ে ? কার কথা ভাবছি আমি নিজেও জানিনা

এইযে শুনুন

পিছন থেকে কে যেন ডেকে উঠলো..পিছন ঘুরে তাকিয়ে দেখি সেই মেয়েটি..

Bangla sad Love Story 2

হায়রে ভালবাসা

বর্ষাকাল, অনেক বৃষ্টি হছে, নীলক্ষেত থেকে পান্থপথ যাবো। বৃষ্টিতে প্রায় অনেকটা ভিজে গিয়েছি, মেজাজ তখন চরম বিগরে আছে; কি করব একটিও রিকশা পাচ্ছিনা।

“এই মামা; পান্থপথ যাবেন?”

অবশেষে একটি পেলাম তাও ১২০টাকা ছাড়া যেতে রাজি নয়। যেতে তো হবে, কারন ওপাশে আমার অশিন আমার জন্য অপেক্ষা করছে।

তাকে আমি আজ আমার হৃদয়ের কথা বলবো, তাই অনেকটা নার্ভাস ফিল করছিলাম।

অশিন আমার অনেক ভাল বন্ধু, সে এনএসইউ তে পড়ে। সে জানে না আমি তাকে তার অজান্তে অনেক ভালবেসে ফেলেছি।

ও আমার প্রতি অনেক কেয়ারিং ছিল, সব সময় আমার খেয়াল রাখতো, খোজ-খবর নিতো। আমার প্রতি তার এমন কেয়ারনেস আমাকে দুর্বল করে তাকে ভালবাসতে।

যাই হোক; অবশেষে আমি হাফ-এন-আওয়ার লেট করে তার সামনে হাজির হলাম। সে তো রেগে-মেগে অস্থির।

একগাদা ঝারি শুনতে শুনতে শপিং কমপ্লেক্স এর ভেতরে গেলাম। ওকে থামানোর জন্য দুটি প্রস্তাব রাখলাম;

“অশিন, তোমাকে আমি আজ অনেক ইম্পরট্যান্ট কথা বলবো, তার পূর্বে চলো আইসক্রিম খাই!”

ফুডকোর্টে বসে ওকে আমি আমার মনের অব্যক্ত ভালবাসার কথা জানিয়ে দিলাম। ক্ষণিকের জন্য সে নিস্তব্ধ হয়ে গেল।

কিছু বুঝতে পারছিলাম না কি হবে। আমি তাকে বললাম, অশিন আমি কি অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি তোমাকে ভালবেসে?

সে কোন উত্তর দিলোনা, শুধু বললো; ফিজান আমি বাসায় যেতে চাই, তুমি কি আমাকে রেখে আসবে?

আমি বুঝতে পারলাম যে তাকে আমি আন-এক্সপেকটেড কিছু বলে ফেলেছি। আমি আর কিছু না বলে তার হাতটা ধরে হাটতে শুরু করলাম।

বাহিরে এসে সিএনজি ডেকে বললাম, মামা মিরপুর যাবেন? হটাৎ সে পেছন থেকে বলে ওঠে, মিরপুর না মামা, উত্তরা যাবো; যাবেন?

এই কথা বলে সে উঠে পড়লো। আমি ঠিক কিছু বুঝে উঠতে পারলাম না। তার পাশে বসে পরলাম।

একটু হেজিটেশন নিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলাম; অশিন আমরা উত্তরা কেন? ইয়ে-মানে তুমি তো মিরপুরে…

সে চোখ বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে বললো; উত্তরা পুলিশ অফিসে যাবো, তুমি আমাকে এতো লেট করে প্রপোজ কেন করলে, এতো দিন বলনি কেন? এই বলে সে হাসতে লাগলো।

আমি এতটা ভয় পেয়েছিলাম যে তখনো বুঝতে পারিনি যে সে আমাকে অ্যাপ্প্রুভ করেছে, সেও আমাকে অনেক ভালবাসে যতটা আমি তাকে।

ইছে করছিল তাকে জরিয়ে ধরে চিৎকার করে বলি, “আই লাভ ইউ” কিন্তু আমার নিয়তি আমাকে থামিয়ে দেয়।

এরপর থেকে শুরু হয়ে যায় আমার এক নতুন জীবন। প্রতিদিন দেখা করা, প্রতিরাতে জেগে জেগে ফোনে কথাবলা, আর প্রতি শুক্রবারে স্টার সিনেপ্লেক্সে মুভি দেখা।

প্রায় ৮ মাস পার হয়ে যায়, এক সময় অশিন আমার জীবনের মুল লক্ষ্য হয়ে পড়ে, তাকে ছাড়া আমি আর যেন কিছু বুঝতাম না। ভালোই কাটছিল দিনগুলো।

২০১১, নভেম্বরের শেষের দিকে একদিন অশিন আমাকে বলে লন্ডন থেকে তার খালা-খালু ফ্যামিলিসহ আসছে, প্রায় মাসখানেক থাকবে,

তাই আমার সাথে সে প্রায় সময় কন্টাক্ট করতে পারবে না। বলতে গেলে এই একমাস কন্টাক্ট নাও হতে পারে। তার পরো আমরা মাঝে মাঝে মেসেজ এর মাধ্যমে একে অপরের খোজ নিতাম।

২১-১২-২০১১, সকালে আমার সেলফোনের রিং বেজে উঠলে আমার ঘুম ভাঙ্গে। কল রিসিভ করতে ওপাশ থেকে বলে উঠে; “হ্যালো” ফিজান!

আমি আফ্রিনা বলছি (আফ্রিনা; অশিনের ও আমার অনেক ভাল ফ্রেন্ড)। তুমি কি আমার সাথে দেখা করতে পারবে? অনেক বড় সমস্য হয়ে গেছে, তোমাকে জানানো অনেক জরুরি।

তুমি আজ দুপুর ২টার পর ক্লাস শেষে বনানী বাজারে থেকো। আমি কিছু না বুঝে তাকে বললাম, ঠিক আছে; আমি থাকবো।

আফ্রিনার সাথে দেখা করলাম, সে বললো; তোমাকে কিছু কথা বলার আছে ফিজান। আমি সম্মতি দিলাম।

আফ্রিনা বললো; “ফিজান তুমি অশিন কে অনেক ভালোবাসো তাই না? কিন্তু তুমি কি জানো, তোমাকে ছাড়া সে আরো একটি ছেলের সাথে কমিটেড!! সে তোমাকে ধোঁকা দিচ্ছে ফিজান”

আফ্রিনার এই কথা যেন আমার বুকে সুঁচের মতো বিধলো। এর আগে আফ্রিনা আর কিছু বলে আমি তাকে বললাম;

‘দেখ আফ্রিনা; তুমি অশিনের অনেক ক্লোজ ফ্রেন্ড তাই আমি তোমাকে কিছু বলছি না, ভাল হবে তুমি এই মুহূর্তে এখান থেকে চলে যাও।

চলে যাওয়ার আগে সে বললো, ফিজান তোমাকে আমি একটা ই-মেইল করেছি যাতে কিছু ছবি আছে। আশা করি ওগুলি দেখে তোমার চোখ খুলবে” এই বলে সে চলে যায়।

আফ্রিনার কথা আমি ভাবলাম অশিন কে জানানো দরকার, তাই সেলফোন টা বের করে অশিন কে কল করলাম।

বেশ অনেকবার ট্রাই করি কিন্তু সে কেন জানি আমার কল রিসিভ করলো না। সে দিন বাসায় ফিরে আমি ঘুমিয়ে পড়ি; রাত ১০টার সময় আম্মু ডিনার করতে ডাকলে আমার ঘুম ভাঙ্গে।

সেলফোনটা হাতে নিয়ে দেখি ১টি মেসেজ, আমি ভাবলাম অশিন পাঠিয়েছে কারন সে দুপুরে আমার কল ধরতে পারেনি সে জন্য।

কিন্তু ওপেন করে দেখলাম মেসেজটি আফ্রিনা পাঠিয়েছে। তাতে লেখা ছিল “সরি ফিজান, কিন্তু আমি তোমাকে যা বলেছি সব সত্যি, অশিন তোমাকে ধোঁকা দিচ্ছে।

আমি এ কথা তোমাকে না বললেও পারতাম কিন্তু আমি চাইনা তুমি কষ্ট পাও, তুমি অশিন কে যতটা ভালবাসো তার থেকে অনেক বেশি আমি তোমাকে ভালবাসি।

দুঃখ শুধু এই যে আমি আমার মনের কথা তোমাকে সঠিক সময় বলতে পারিনি।“ আমার মাথা যেন ঘুরে গেলো আফ্রিনার মেসেজ পড়ে।

সে সময় আমার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছে, আগামিকাল অপারেশন ম্যানেজমেন্ট পরীক্ষা; প্রিপারেসন কিছুই নেবার মত মন-মানসিকতা ছিল না।

পরদিন;২২ ডিসেম্বর, অনেক সকালে ঘুম থেকে উঠে রেডি হয়ে ভারসিটির জন্য বের হই আমি, যাতে লাইব্রেরীতে গিয়ে প্রিপারেশন নিতেপারি।

সকালে মোটামুটি ফাকা রাস্তা, তারপরও জাহাঙ্গীর গেটে ছোট্ট একটা সিগনাল পরে যায়। আমি হটাৎ বাম দিকে তাকালাম,

দেখি এক ছেলে আর এক মেয়ে সিএনজিতে রোমান্স করছে, আমি খুব ইন্টারেস্ট নিয়ে দেখতে লাগলাম। এক সময় মেয়েটা সোজা হয়ে বসলো, আমি যখন মেয়েটার চেহারা দেখি;

আমার সমস্ত পৃথিবী যেন আঁধারে আচ্ছন্ন হয়ে পরে। সে কি সত্যি আমার অশিন না আমি ভুল দেখছি!! কি করব কিছু বুঝতে পারছিলাম না।

সিগনাল ছাড়লে তারা আমার সামনে থেকে চলে গেলো আর আমি সেখানেই বাইকে চুপচাপ বসে থাকলাম, ধিরে ধিরে সব কিছু যেন ঝাপসা হয়ে আসছিল আমার চোখে।

কোন রকম পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ফিরে আফ্রিনার পাঠানো ইমেইল চেক করি, দেখতে পাই কিছু ছবি। বিশ্বাস হছিলনা অশিন আমার সাথে এমন কাজ করতে পারে।

আফ্রিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি মেসেজ দিয়েছিলাম সে রাতে। অশিনের সাথে আর কথা হয়নি, সে অনেক বার আমাকে ফোন

দিয়েছিল কিন্তু আমার নিয়তি আমাকে বাধা দিয়েছে তার সাথে কথা বলতে ও কোন প্রকার সমাধানে আসতে। অশিন কে কিছু বলতেও পারিনি,

কারন মানুষ যাকে অনেক ভালবাসে তাকে কষ্ট দিতে পারেনা, কিভাবে কষ্ট দেয়া যায় তাও আমার জানা নেই।

এই ঘটনার প্রায় একমাস হতে চললো, জীবন টা যেন আমার বিমর্ষ হয়ে গেছে। শুধুমাত্র বাবা-মার মুখের দিকে তাকিয়ে বেঁচে আছি।

আমাকে নিয়ে তাদের অনেক স্বপ্ন, অনেক আদরের ছেলে তো আমি তাদের এই জন্য। কিন্তু তারা তো জানে না, তাদের লক্ষ্মী ছেলে আজ কতটা কষ্টে আছে।

“আমার ভাগ্য আমার সাথে অনেক মজা নিচ্ছে …!! “যে আমাকে অনেক ভালবাসে আমি তার ভালবাসার কোন মূল্যায়ন করলাম না,

আর আমি যাকে অনেক ভালবাসি, নিজের জীবনের থেকেও বেসি ভালবাসি সে আমার ভালবাসাকে মূল্যায়ন করলো না।

Leave a Comment