সূচিপত্র
পোস্টের বিস্তারিত লেখার আগে আলোচনা করি এসইও কি what is SEO in Bangla
আপনি যদি একটা ওয়েবসাইট করার কথা চিন্তা করেন এবং সে ওয়েবসাইটটি হয় ব্লগ আর নিউজ পেপার তাহলে এসইও কি এসইও কিভাবে কাজ করে সেটা আপনাকে শিখতে হবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ আপনি যে ওয়েবসাইটে তৈরি করছেন সেই ওয়েবসাইটের অথরিটি বিল্ড আপ করা প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর আনা এই সবকিছু এসিও দ্বারা করানো হয়।।
এসিও কত প্রকার
—————–
এসইও মূলত দুই প্রকার হয় একটা হচ্ছে onpage এসইও আরেকটি হচ্ছে অফ পেয়েছে SEO..
অন পেজ বলতে সাধারণত আমরা বুঝি যে আমাদের ওয়েবসাইটের ভেতরে থাকা অনেক টেকনিক্যাল কাজগুলা সেগুলো কিছু স্টেপ বাই স্টেপ করলে হয়ে যায় যেমন এসিও ফ্রেন্ডলি থিম অথবা ইমেজেসিও টাইটেল ডেসক্রিপশন । যদি এই কাজগুলো সঠিকভাবে করা থাকে তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আসবে না হলে আপনি যতই অন্য কাজগুলো করেন হবে না এখানে একটা সাথে আরেকটা খুব অতপ্রতভাবে জড়িত।
আর আরেকটি হচ্ছে অফ পেজ এসিও :
— স্পেস এসিও সাধারণত হয়ে থাকে ব্যাকলিংক ডাইরেক্টর এর submission সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট ব্যবহার করা ব্লগ কমেন্টিং করা গেস্ট পোস্টিং করা এগুলো যদি আলাদা আলাদা ভাবে জানতে হয় অবশ্যই আমাকে জানাবেন আমি আলাদা আলাদাভাবে নিয়ে একটা পোস্ট করব।
ইতিমধ্যে বুঝে গেছেন যে এসইও বলতে কি বুঝানো হচ্ছে যে আপনার একটি ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর অথবা ওয়েবসাইটের অথরিটি বিল্ড আপ করার জন্য seo কাজ করানো হয়। Seo কাজ করে লং টার্ম ক্লায়েন্টের সাথেও কাজ করা যায়. কিভাবে করা যায় তা আমি একটু ধারণা দেই। তরুণ আপনি একটা ক্লায়েন্টের কাজ পেয়েছেন আপনি সেই ক্লাইন্টের ওয়েবসাইটের রেংকিং নিয়ে কাজ করছেন। আপনি এই জিনিসটা চিন্তা করেই নেন যে আপনার ক্লায়েন্টের ইন্ডাস্ট্রিতে কম্পিটিটর আছে থাকবে। উক্ত ক্লায়েন্ট আপনাকে বাসের পর মাস প্রয়োজনে কাজ করাবে সে বলবে তার কম্পিটিটর যা করছে তা থেকে বেশি করতে যত বেশি বেশি করবে সে তত তার কম্পিউটারের কাছ থেকে এগিয়ে থাকবে তার সেল থাকবে তার ইনকাম হবে ইনকাম হলে আপনাকেও রেখে দিবে।
আপনি যদি ভালো করে SEO এর সাধারণ জ্ঞানগুলো নিতে পারেন তাহলে আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার টা শুরু করতে পারেন কিন্তু অবশ্যই অবশ্যই আপনার জ্ঞানের পরিধি প্রতিনিয়ত বাড়াতে হবে।
আপনাকে বিভিন্ন প্রকার টেকনিক শিখতে হবে কোন টেকনিক অবলম্বন করলে গুগলের চোখে ভালো দেখানো যায় বা প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর আনা যায় খুব সহজে র্যাঙ্ক করা যায় এই জিনিসগুলো হচ্ছে টেকনিক এগুলো জানতে হবে না হলে এসিওতে আপনি বছরের পর বছর কাজ করে গেলেও কিন্তু আপনি কাজ শেষ করতে পারবেন না।
একটা জিনিস কিন্তু মনে রাখতে হবে আপনাকে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার ওয়েবসাইটে নিয়মিত পোস্ট পাবলিশ হচ্ছে তাদের সাথে আপনার কাজ করতে হবে সেই হিসাবে তাদের অভিজ্ঞতা থেকে আপনার অভিজ্ঞতাটাকেও টু ইমপ্রুভ করতে হবে না হলে ব্লগিং ক্যারিয়ারের সফল হতে পারবেন না।
আমি বা আপনি ব্লগ আরম্ভ করতে চাই কেন চাই। ব্লগিং হচ্ছে একটা মজার প্ল্যাটফর্ম যেখানে আমি একটা সার্টেন টাইম সময় দিব তারপর আমার একটা ইনকাম বসে বসে চলে আসবে। যেটা আমরা উদাহরণ দিয়ে বলতে পারি আমাদের চিরাচরিত পুরাতন একটা ইনকাম সেটা হচ্ছে বাসা ভাড়া দিয়ে আয় রোজগার করা। এই আয় রোজগার কে বলা হয় প্যাসিভ ইনকাম।
এসি ইনকাম সাধারণত এমন হয় একটা নির্দিষ্ট সময় বাড়িতে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সেখানে খরচ করে ভবিষ্যতে বসে থেকে আর রোজগার করতে পারি। এখানে ব্লগিং বা ইউটিউবিং ব্যাপারটা একই আমরা একটা সার্ট এন্ড টাইম অর্থ শ্রম সবকিছুই ট্যাগ করে ভবিষ্যতের জন্য একটা ভালো প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে রাখি।
এখন যেহেতু আপনার ওয়েবসাইট যদি তৈরি করা হয়ে যায় তাহলে আপনার এটা জেনে নিতে হবে আপনার ওয়েবসাইট টা কে অনেক হালকা ভাবে তৈরি করতে হবে। আমি ব্যাপারটা একটু আলোচনা করি হালকা ভাবে বলতে কি বুঝানো হচ্ছে।
হালকা বলতে ওয়েবসাইটটাতে অতিরিক্ত কোন প্লাগইন অথবা আধুনিক এনিমেশন কিছু ডিজাইন দিয়ে ওয়েবসাইট টাকে ভারী করাটা হচ্ছে একটা বড় সমস্যা। এডসেন্সের নিয়ম বা রুল অনুযায়ী এটা আপনাকে মাথায় রাখতে হবে ওয়েবসাইটের যত কম সময়ে লোড নিতে পারে ততটাই আপনার ওয়েবসাইট থেকে আয় রোজগার করা সহজ। তাহলে আমাকে বলতে পারেন ভাইয়া কতটুকু সময় মিনিমাম থাকলে ভালো হবে এবং এটা কিভাবে চেক করে।
এর উত্তর হচ্ছে সর্বনিম্ন তিন সেকেন্ডের কম ওয়েবসাইটের স্পিড রাখতে হবে। আর এই স্পিড টেস্ট করার জন্য আপনি বিভিন্ন রকম টুল এর ব্যবহার করতে পারেন তার ভেতর জনপ্রিয় টুলটি হচ্ছে। Gtmatrix, Googlepageinsight
এখানে গিয়ে আমাদের ওয়েবসাইট টা ইন্টার করলে কিছুক্ষণ সময় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আপনাকে একটা রেজাল্ট দিবে আপনার ওয়েবসাইটের স্পিড বর্তমানে কোন জায়গায় আছে এবং কোথায় কোথায় ইমপ্রুভ করতে হবে। এখানে আপনি যদি নিজে ওয়েবসাইটটি তৈরি করে থাকেন তাহলে তো আপনি ডেফিনেটলি সেই ইমপ্রুভমেন্ট নিজেই করতে পারবেন আর যদি ওয়েবসাইটটা কোন ডেভলপার দ্বারা করিয়ে থাকেন তাহলে আপনি তাকে বলবেন আমার এই জায়গায় তুমি ইমপ্রুভমেন্ট করে দাও বা ওয়েবসাইট তৈরি করার সময় তাকে অবশ্যই মেনশন করে দিবেন যে আমার ওয়েবসাইট টা যেন অবশ্যই অবশ্যই তিন সেকেন্ডের কমে লোড হয়।
আর এই ব্যাপারটা যদি আমি আরো সহজ করে বলি আপনার ওয়েবসাইটটা যদি কোন রকম হ্যাচার ছাড়াই তৈরি করতে চান তাহলে এরকম অনেক থিম আছে যেগুলো শুধুমাত্র আপলোড করে দিয়েই কিন্তু আপনি ওয়েবসাইটে বানাতে পারেন। সেটা কি ধরনের থিম তা আমি যদি একটা দুটো উদাহরণ দেই kadence, generatepress
সাধারণত আমি এই দুইটা থিম ব্যবহার করে থাকি এইগুলাতে খুব সহজেই এডসেন্স পাওয়া সম্ভব হয় আর তাছাড়া এই ওয়েবসাইট বা এই থিম ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করলে যার লোডিং স্পিড প্রায় থেকে ২ সেকেন্ড থাকে।
আচ্ছা এবার চলে আসি এসইও এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে।
টেকনিক্যাল এসিও
———————-
আপনি যদি আসিও এর বেসিক ব্যাপার স্যাপার না বুঝেন তাহলে আপনাকে একটু বেসিক ব্যাপার স্যাপার বুঝতে হবে সেটা হচ্ছে এখানে seo ভেতর KD, search volume এই দুইটার অর্থ জানতে হবে।
Kd (keyword difficulty ): কেডি এখানে আপনার ওয়েবসাইটের কিওয়ার্ড যেগুলো থাকবে কিওয়ার্ড কি এটা নিয়ে যদি আরেকটু আলোচনা করি কিওয়ার্ড হচ্ছে একটা টার্ম যে লিখে আমরা সাধারণত গুগলে সার্চ করি। এই সার্চ করার বিষয়টা সবসময় ম্যাটার করা হয় আপনার সংখ্যা যদি বেশি হয় তাহলে ডিফিকাল্টি বেড়ে যাবে। আপনার ব্লগিং এর ক্যারিয়ারের শুরুটা হবে সহজ এর জন্য চিন্তা করতে হবে আমার এই কিওয়ার্ড ডিফিকাল্টি যত কম রাখা যায়। আপনি চেষ্টা করবেন আপনার কিবোর্ডে ডিফিকাল্ট ১৫ এর নিচে রাখার তাহলে আপনি এটা ভালো কিছু করতে পারবেন।
SV(search volume) যেহেতু আমরা কিওয়ার্ড সার্চ করতেছি গুগলে তাহলে এই সার্চ ভলিউমটা আসতেছে গুগল থেকে সেই কিওয়ার্ড টা লিখে মানুষ কত সার্চ করতেছে সেটা মান্থলি একটা হিসাব এই কীওয়ার্ড এই সার্চ ভলিউম মেজার করা হয়।
সার্চ ভলিউম ও চেষ্টা করব কম রাখার হতে পারে সেটা একশোর নিচে।
আমি এখানে বেশ কিছু টেকনিক্যাল ব্যাপার স্যাপার নিয়ে কথা বলছি এই জিনিসগুলো খুব একটা মানুষ হয়তো google এ কথাবার্তা বলিনি।
এসিওর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পার্টি হচ্ছে কিওয়ার্ড রিসার্চ এ কিওয়ার্ড রিসার্চ টাকে আপনাকে ইউটিউব থেকে হোক বা কোন কোর্স থেকে হোক শিখে নিতে হবে।
যখনই আপনার কিবোর্ড রিসার্চ করা হয়ে যাবে তারপর হচ্ছে আপনি আর্টিকেল পুশ করবেন।
সেটা হতে পারে নিজে আর্টিকেল লেখা আবার হতে পারে আপনি অন্য কাউকে দিয়ে আর্টিকেল লিখবেন। ধরুন আপনি আর্টিকেল অন্য কাউকে দিয়ে লেখাচ্ছেন তাহলে তাকে অবশ্যই এসইওর অনেক টার্ম জানতে হবে না হলে আপনার দেওয়া কিওয়ার্ডগুলো সে ভালোভাবে কাজ করিয়ে নিতে পারবে না।
মনে রাখবেন এসিও থেকে আনলিমিটেড ভিজিটর বা ট্রাফিক পাওয়ার জন্য আপনার ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটা যেন অবশ্যই এসইও অপটিমাইজ যেটাকে বলা হয় আপনি যে কিওয়ার্ডগুলো রিসার্চ করে তাকে দিচ্ছেন সে যেন সে কিওয়ার্ডগুলো ভালোভাবে পুশ করতে পারে সে কনটেন্ট এর ভেতর এটা মাথায় রাখতে হবে তাহলে দেখবেন আপনার সার্চ ইঞ্জিন থেকে বা আপনি আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর পাবেন।
এসইও শিখতে কতদিন লাগে ?
এসিও কোন শেখার সময় পরিধি এমনভাবে বলে দেওয়া যায় না তবে আপনার যদি বেসিক স্ট্রং থাকে ছয় মাসের ভেতর secore একটা ভালো কিছু করতে পারবেন। আর যদি প্রতিনিয়ত এইটা নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করতে থাকেন আপনি এক বছরের ভেতর ভালো মাপের একটা এসিও এক্সপার্ট হয়ে যাবেন।
এসইওতে এক্সপার্ট হওয়াটা কখন বুঝব যে আমি এসইওতে এক্সপার্ট হয়েছি। আপনি তখনই চিন্তা করতে পারেন যখন আপনি আপনার কীওয়ার্ড গুলো ভালোভাবে ফিল্টার করতে পারবেন সেই কিবোর্ডগুলো ভালোভাবে কনটেন্ট এর ভেতর পুশ করতে পারবেন এতোটুকুও করতে পারলে আপনি ধরে নিবেন এক্সপার্ট হয়ে এসেছেন কারণ এসিওর অনেক টেকনিক্যাল টার্ম আছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অথবা ভিত্তি বলা যায় হচ্ছে এই কিওয়ার্ড আর কনটেন্ট। কনটেন্ট হচ্ছে একটা ওয়েবসাইট এর জন্য কিং। যদি কনটেন্টের অস্তিত্ব না থাকে তাহলে গোটা ওয়েবসাইট টাই মূল্যহীন।
মোবাইল দিয়ে এসিও করা যায়
——————————–
আমি বরাবরই বা যে কোন ব্লগে ইউটিউবে একটা কথাই বলি যে মোবাইল দিয়ে প্রফেশনাল কাজগুলা করা খুবই কষ্টসাধ্য এতে করে আমার শ্রম যতোটুকু খরচ হয় তার থেকে বেশি কষ্ট হয় এই কষ্টটা প্রকৃতপক্ষে ওই জায়গায় যদি দেওয়া যায় দিন শেষে একটা ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব। সেটা হতে পারে আমি এই শোরুমটা ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার এর ব্যবস্থা করে যদি দিতে পারি তাহলে থেকে একটা ভালো আউটপুট বের করা সম্ভব। আমি মোবাইল দিয়ে কি করা যায় কি করা যায় না এটা আমি স্পেসিফিক ভাবে বলতে পারব না কারণ বর্তমানে প্রতিনিয়ত এন্ড্রয়েড এর অনেক ফাঙ্কশনালিটি অনেক অ্যাপ এর ডেভেলপ হচ্ছে এই জিনিসগুলো দ্বারা হয়তো একটা কম্পিউটারের বড় জিনিস অপটিমাইজ করে রেসপন্সিপ করে মোবাইলে করা সম্ভব হলেও ব্রড আকারে কিন্তু কখনো মোবাইলে সেটা করতে দিবে না।
তাই আমি সবসময় বলি আপনি চেষ্টা করবেন মোবাইল ব্যবহার না করে কম্পিউটার ব্যবহার করে প্রত্যেকটা প্রফেশনাল কাজগুলো করা।
কিন্তু আপনি এইটা করতে পারেন মোবাইল দিয়ে কন্টেন্ট রাইটিং করতে পারেন। তারপর সেই পোস্টটা আপনি আপনার কম্পিউটারের অথবা যে কোন এক রিলেটিভের কম্পিউটারে গিয়ে আপলোড করে দিবেন অপটিমাইজেশন বা বিভিন্ন টেকনিক্যাল কাজগুলা করে এটা কিন্তু আপনি মোবাইল দিয়ে সিওর কাজ করতে পারবেন।
এই বিষয় সম্পর্কে আরও জানুন
আশা করি বিষয়টি ভালো লেগেছে যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন যেন তারাও এই এসইও ব্যাপারে এই সাধারণ ধারণাগুলো জানতে পারে আর এই সাধারণ ধারণাগুলো আপনাদের মাঝে প্রদান করা আমার দায়িত্ব এই জিনিসগুলো হয়তো আপনি ইউটিউবে অনেক অগোছালোভাবে পেতে পারেন আমি চেষ্টা করেছি কিছুটা সাজিয়ে আপনাকে বলা এবং বেসিক ধারণা যেহেতু দিয়ে দিলে আপনি সহজে ইউটিউব থেকে বা যে কোন কোর্সে ভর্তি হলেও আপনার এ ধরনের আইডিয়া অনেক কাজে লাগবে।