অ্যাডিডাস কেন এত জনপ্রিয় | বাংলাদেশের জুতার ব্র্যান্ড

অ্যাডিডাস কেন এত জনপ্রিয় | বাংলাদেশের জুতার ব্র্যান্ড এই বিষয় সম্পর্কে আরও জানুন

বাংলাদেশের জুতার ব্রান্ড এডিডাস। অনেক সময় খুব এক্সপেন্সিভ হওয়ার কারণে সকলের জন্য হয়তো এই জুতাটি ব্যবহার উপযুক্ত হয় না তারপরও এটা প্রচলিত গোটা দুনিয়াতে রয়েছে। তাছাড়া এর বিভিন্ন ডুপ্লিকেট বর্তমানে বেরিয়েছে একই ধরনের ফিল, আরাম আপনাকে দিবে।

এডিডাস হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো একটি জুতার ব্রান্ড।

তিনটি স্টাইপের লোগো ট্যাগলাইন হিসেবে ব্যবহার করা হয় impossible is nothing. এই ব্র্যান্ড টি বর্তমানে একটি অনুপ্রেরণাদায়ক ব্যান্ড হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

এই কোম্পানিটি গোটা ইউরোপ সহ পুরো পৃথিবীতে নাইকি এর পরে দ্বিতীয়তে অবস্থান করছে।

Forbes একটি তথ্য থেকে জানা যায় ২০১৫ থেকে ১৮ সালের ভেতর এডিডাস এর গ্রোথ ছিল প্রায় 18 শতাংশ অন্যদিকে নাইটির ছিল মাত্র সাত শতাংশ। যেখানে 2018 সালে পুমা, নিউ ব্যালেন্স, কলম্বিয়া, ফিলা, rebook সেই এই সকল কোম্পানি বেশ মার্কেটিং করছিল তারপরেও এডিডাস এর গ্রোথ রেট প্রায় বিশ শতাংশের উপরে ছিল।

কিন্তু এটা কি ভাবে এটিটাস তাদের ৭২ বছরের এই রিপোর্টের সমান ভাবে ধরে রেখেছে????????

১৯২৪ সালের Adolf Dassler ও Rudolf Dassler এরা দুই ভাই তখন ডেসলার নামে একটি ছোট একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করে।

এখানে অ্যাডাল্ট শুরু থেকেই জুতার নান্দনিক ব্যাপার স্যাপার নিয়ে কাজ করতেন। তখন তিনি রানিং জুতার উপর একটি বৈপ্লবিক চিন্তা করেছিলেন আর তখন সকল ধরনের স্পোর্টস বা অ্যাথলেট এর জুত ার ডিজাইন গুলো করতেন। তার ডিজাইন করা জুতা পড়ে 1928 সালে অলিম্পিকে একজন খেলোয়াড় বিজয়ী হয়েছিলেন।

তারপর ১৯৪৮ সালে দুই ভাইয়ের মাঝে অসামোচিত হওয়ার কারণে তার ভাই Rudolf Dassler নতুন আরেকটি জুতার প্রতিষ্ঠান দেয় সেটা হচ্ছে সকলে পরিচিত brand PUMA.

তারপরও কি বছর অর্থাৎ ১৯৪৯ সালে Adolf এডিডাস তৈরি করেন.

একটি সার্ভের তথ্য সূত্রে জানা গেছে ২০১৭ সালে মিলিনিয়ার্স ব্যক্তিবর্গদের কাছে এডিডাস ছিল সবথেকে পছন্দের জুতা। ২০১৭ সালে ইয়াহু ফাইন্যান্স এর সূত্র মতে আগের বছরে অর্থাৎ ২০১৬ সালে ছিল মাত্র 6% যেটা ২৭ হলে গিয়ে দাঁড়ায় 12 শতাংশের কথা আছে।
২০২০ সালে কোম্পানিটির রেভিনিউ ছিল প্রায় ২০ বিলিয়ন euro কাছাকাছি। যদিও ২০২০ পেনডমিক এর কারণে রেভিনিউ ১৬ শতাংশ নিচে নেমে গিয়েছিল।

একটা কাজ সময় করত সেটা হচ্ছে তারা একটা টার্গেট করত তাদের জুতা অধিকাংশ সময় অ্যাথলেটিকের জন্য প্রস্তুত করা হবে। আর যার কারণে তারা বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যেকোন ব্যবসায় কোন একটা নির্দিষ্ট অডিএসকে টার্গেট করে ব্যবসা করলে খুব দ্রুত সফলতা অর্জন করা যায়।

কারণ তাদের মার্কেটিং এর বিজ্ঞাপন দেখবেন সবসময় মেসি রোনাল্ডো এদের দিয়ে করানো হতো। যদিও এডিডাস এর সব থেকে সাকসেসফুল খেলোয়াড়দের সাথে বিজ্ঞাপন করেছিল টেনিস খেলোয়াড়। এই অ্যাডিডাস ৭০ মিলিয়ন এর উপর বিক্রয় হয়। এবং আরেকটি সাকসেসফুল ক্লাবেশন ছিল জনপ্রিয় বক্সার মোহাম্মদ আলী সাথে। এখানে এডিডাস এর nothing is impossible এই উক্তিটি মোঃ আলী এর quote থেকে নেওয়া হয়েছিল। তারপর ইংলিশ ফুটবল তারকা এরপর ২০১৭ সালে আর্জেন্টাইন ফুটবল ার মেসি লাইফ টাইম ডিল সাকসেসফুল করেন। এছাড়া টেনিস বাস্কেটবল এই ধরনের অ্যাথলেট এর সাথে তারা ডিল সাকসেসফুল করেন। অ্যাডিডাস কেন এত জনপ্রিয় | বাংলাদেশের জুতার ব্র্যান্ড

বর্তমানে অ্যাথলেট ছাড়াও পপ স্টার, ফ্যাশন আইকন এবং অন্যান্য জনপ্রিয় তারকাদের সাথে ইন্ডোর্সমেন্ট ফোন করেন ডিল সাকসেসফুল করেন। আচ্ছা বিভিন্ন সিঙ্গারদের সাথে কোলবেশন করেন যেমন Run DMC, Kanye West, Kylie Jenner, Katy Perry, Justin Bieber, Selena Gomez এর মত অনেক জনপ্রিয় তারকাদের সাথে কাজ করেছেন।

সাধারণত বিভিন্ন স্পোর্টিং ইভেন্ট গুলাতে পার্টনারশিপ করে থাকে। ১৯৭২ সালের বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট অলিম্পিকে তাদের আইকনিক লোগোটি সেখানে উপস্থাপন করে। জার্মানি সহ জাপান এ ধরনের দেশগুলো এডিডাস এর লোগো পড়ে অলিম্পিকে পার্টিসিপেট করেন।

২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকে প্রায় ১১ টি দেশের সাথে তারা স্পন্সর করেন। তাছাড়া এডিডাস বিশ্বের সবথেকে বড় ফুটবল খেলায় তারা নিয়মিত পার্টনার। তাছাড়া তারা বিভিন্ন যে ফুটবল ইভেন্ট যেমন ফিফা, উফিফা, ক্যাফ এরকম জনপ্রিয় কিছু জনপ্রিয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাথে তারা নিয়মিত পার্টনার।

অ্যাডিডাস ১৯৭০ সাল থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ফিফা অ্যাসোসিয়েশন এর চুক্তিবদ্ধ পার্টনার। ফুটবল সাপ্লায়ার হিসেবে চুক্তিবদ্ধ। ফ্রান্স আর্জেন্টিনা, স্পেন, বেলজিয়াম জাতীয় দলের স্পন্সর আছেন এই এডিডাস ।

এছাড়া জনপ্রিয় পাঁচটি ফুটবল লিগ এর সাথে আছে যেমন রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, জুভেন্টাস

Promotion & Collaboration
—————

২০১৫ সালে এডিডাস এর ব্র্যান্ড কমিউনিটি বাড়ানোর জন্য তারা ডিজিটাল প্লাটফর্মে শিফট করে। আর ব্যান্ডিং এর জন্য এডিটর সবসময় হাইপ্রোফাইল সেলিব্রেটিদের সাথে কাজ করলেও টার্গেটেড জায়গায় তারা প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করে। সেই সাথে সাথে তাদের টার্গেটেড জায়গায় প্রচার করার জন্য মাইক্রো ইনফ্লুয়েঞ্জারদের কেউ টার্গেট করেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে তারা একটিভ থাকার জন্য যুবকদের নিয়ে কাজ করেন এবং ইতিহাস ট্রাক ইউজ করেন। #MYNEOSHOOT এই হাঁসটা কি ব্যবহার করে তারা ৭১ হাজার মেনশন এবং ৪১ হাজার ফলোয়ার এর মাইল প্রবেশ স্পর্শ করে। অ্যাডিডাস কেন এত জনপ্রিয় | বাংলাদেশের জুতার ব্র্যান্ড

ডিজিটাল এজেন্সি নেটওয়ার্ক এর ২০২০ সালের তত্ত্বাবাতে অ্যাডিডাস ৯০% মার্কেটিং এর বাজেট ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের উপর ব্যয় করেন।

Product Variety

adidas এর আলাদা আলাদা তিনটি ওয়েবসাইট রয়েছে সেটা হচ্ছে পুরুষ মহিলা এবং বাচ্চাদের জন্য প্রোডাক্ট।
Football, tennis, rugby, workout, basketball, golf এই ইন্ডাস্ট্রির জন্য আলাদা আলাদা ফুট অ্যাফেয়ারেন্স হয়েছে। এবং এই ভ্যারাইটির কারণে একটি মাল্টি মার্কেটিং স্পোর্টস হিসেবে পরিচিত। অ্যাডিডাস কেন এত জনপ্রিয় | বাংলাদেশের জুতার ব্র্যান্ড

adidas পাশাপাশি অ্যাথলেট এর এপ্রিল রয়েছে। প্রোডাক্ট প্রোডাক্টটা লাইনে রয়েছে Adidas originals. এখানে আরও দুটি ভাগ রয়েছে
a. Lifestyle
b. Vintage

তাছাড়া সিলিকার সাথে অন্যতম একটি ফুড লাইন হয়েছে এই এডিডাস এর । এডিডাস vintage কানেকশনে লেজেন্ডারি আডিডাস জুতোগুলো ক্যাজুয়ালি হিসাবে রি লঞ্চ করা হয়। অ্যাডিডাস কেন এত জনপ্রিয় | বাংলাদেশের জুতার ব্র্যান্ড

adidas এর কিছু জনপ্রিয় vintage shows এগুলো হচ্ছে।
Stan Smith, superstar, samba.

Brand image
————
গত ৭২ বছর ধরে তাদের সুন াম অক্ষুন্ন রেখেছে এবং বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশন এবং প্লেয়ারদের সাথে বিভিন্নভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। আর এর মাধ্যমে তার দেড় ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি করেছে ‌ বর্তমানে অ্যাডিডাস তাদের স্পোর্টস ব্র্যান্ডিং এর পাশাপাশি ফিটনেস ব্র্যান্ডিংয়ের উপর নজর দিচ্ছে। তাদের ব্র্যান্ডিংটা আরো বেশি সচ্ছল হওয়ার জন্য তারা অনুপ্রেরণাদায়ক বিভিন্ন কথা এবং বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।

Adaptive to trend
———-
মার্কেটিং এর যে ট্রেন্ড গুলার ভেতর অ্যাডিডাস খুব ভালোভাবেই মানিয়ে নিতে পারে। যা কোম্পানিটির জনপ্রিয়তার আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।

২০১৫ সালে সমুদ্র থেকে সকল বোতল সংগ্রহ করে তা রিসাইকেলের মাধ্যমে যথা তৈরি করার একটা ইনিভেশন করেন
যার নাম দেওয়া হয় a mission for our oceans

এডিডাস এর সূত্রের মধ্যে ২০২০ সালের কোম্পানিটি রিসাইকেল থেকে ১৫ মিলিয়ন জুতা প্রডিউস করেন।

এছাড়া টেকনোলজি ট্রি প্রডাক্ট এর কারণে স্নিকার বেশ জনপ্রিয়তা আছে এবং এই ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ ইনোভেশন করেছেন। সর্বপ্রথম adidas সর্বপ্রথম মাইক্রোচিভ ব্যবহার করেন। এর পাশাপাশি ইউজারদের কমফোর্ট যাওয়ার জন্য ফোম যুক্ত করেন।

এভাবেই ধীরে ধীরে এডিডাস তাদের জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে এবং এই এডিডাসি হচ্ছে জনপ্রিয় একটি জুতা সারা বিশ্বে এখন প্রচারিত। আশা করি ভালো লেগেছে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন আর অবশ্যই পরবর্তী আপডেটের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি মাঝে মাঝে ভিজিট করবেন.

আমি সাধারণত চেষ্টা করি প্রতিদিন বিজনেস আইডিয়া অথবা একটি বিজনেসে উত্থান পতন এর পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কথাবার্তা বলতে আপনি চাইলে আমার অন্যান্য ক্যাটাগরিতে তথ্য হয়েছে সেগুলো থেকে আপনারা জানতে পারেন কিভাবে করতে হয় ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে আরো বেশ কিছু ক্যাটাগরি রয়েছে যেমন content মার্কেটিং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মত কাজ কিভাবে করতে হয়। তাছাড়া এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের টেক নিউজ ও প্রচার করা হয় ওয়েবসাইট নতুন এবং চাই ওয়েবসাইটে আপনারা নিয়মিত হন এবং আপনাদের ভালোবাসা থাকে। ধন্যবাদ। অ্যাডিডাস কেন এত জনপ্রিয় | বাংলাদেশের জুতার ব্র্যান্ড

Leave a Comment