জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং স্কিল কোনটি শিখব ও কীভাবে শিখব

জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং স্কিল কোনটি শিখব ও কীভাবে শিখব বিস্তারিত

আপনি যদি ২০৩০ সালে অনলাইন থেকে হালাল ভাবে আয় রোজগার করতে চান তবে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে শুরু করা সবচেয়ে মূল্যবান। আপনি যখন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ শুরু করেন তখন আপনার ক্লাইন্ট এর কাছে আপনার দক্ষতা অফার করতে পারেন এবং ব্যবসা চালানোর সকল প্রকার কষ্টদায়ক কাজ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আপনার দক্ষতা অফার করতে পারেন। এই পর্বে আলোচনা করা হচ্ছে একটি ব্যবসা কিভাবে নির্মাণ করতে হয় এবং উক্ত ব্যবসার সকল পণ্য এবং পরিষেবা বাজারজাতকরণ করার চেষ্টা করা।

নিম্নে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বা মূল্যবান দক্ষতা যা একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে উন্নয়ন করতে পারেন যা আপনাকে আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করতে সাহায্য করবে।

আপনি যদি নতুন দর্শক হন তাহলে আমাদের এই পোস্ট টি আপনাদের বন্ধুদের মাঝে ছড়িয়ে দিন। যেন তারা এই ধরনের পোস্ট করে উপকৃত হতে পারে। আজকে আপনার সাথে শেয়ার করব যে পাঁচটি চাহিদা সম্পূর্ণ দক্ষতা যা আপনাকে একজন ফ্রিল্যান্সার হতে সাহায্য করবে এবং সর্বোচ্চ স্তরের আয় বা উপার্জন করতে সাহায্য করবে এটি একটি তথ্যমূলক পোস্ট।
বিভিন্ন প্লাটফর্মের উপর ভিত্তি করে তথ্যগুলো সংগ্রহ করা।

ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট:

মার্কেটপ্লেস এর তালিকা গুলো ভেতর সবচেয়ে ওপর রয়েছে Upwork এখানে যারা সর্বোচ্চ ইনকাম এর লিস্টে রয়েছে ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট এই স্কিলটি। একদম প্রথম দিকে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং স্কিল এর দিক থেকে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করার সবচেয়ে সহজলভ্য তিলটি হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট এর কাজ।

দেশে এবং বিদেশের প্রতিটি কোম্পানিতে এক বা একাধিক ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপার এর প্রয়োজন দেখা দেয়। যেখানে উক্ত প্রতিষ্ঠান তাদের সকল পণ্য বা সেবাগুলি উক্ত ওয়েবসাইটের প্রেসেন্টেশন আকারে প্রকাশ করে থাকে।

ওয়েবসাইট তৈরি করার বেশ কয়েকটি মাধ্যম রয়েছে একটি প্রথম এবং পুরাতন নিয়ম হচ্ছে কোডিং দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করা। যা অনেক ব্যয় বহূল।

আবার wordpress দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করলে কম খরচে করতে পারবেন। আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেসের কাজ ভালোভাবে শিখতে পারেন তাহলে কাজের অনেক চাহিদা আছে প্রায় 450 মিলিয়ন ওয়েবসাইট রয়েছে যা ওয়ার্ডপ্রেস দিয়েই তৈরি করা হয়েছে।

তাই আপনি চাইলে ওয়ার্ডপ্রেস এর কাজ শিখে আয় করতে পারেন ‌ তারা রয়েছে শফিফাই স্কয়ার স্পেস এবং আরো কয়েকটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম যেখান থেকে ড্রাগ ড্রপ করে খুব দ্রুতই ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়।

আবার যারা নিজেদের কেউ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বা ডেভলপার হিসেবে পরিচিত করতে চান তাহলে লারাভেল পিএইচপি যাবার স্ক্রিপ্ট নোট জে এস এর কাজও লম্বা সময় নিয়ে করতে পারেন। তবে নির্ধারণ করতে হবে যে আপনি আগে কোন কাজটা শিখবেন। সাধারণত ওয়েব ডিজাইন শিখতে ছয় থেকে আট মাস এবং ডেভেলপমেন্ট শিখতে এক থেকে দেড় বছরের প্রয়োজন হয়।

২. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন

ঘরে বসে কাজ শিখতে চাইলে এটি অন্যতম একটি স্কিল বা কাজ হতে পারে। একটি ওয়েবসাইটকে গুগলে অথবা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন যেমন bing ask, এই সকল সার্চ ইঞ্জিনিয়ার ইনডেক্সিং করে ওয়েবসাইটেংকিং এর মাধ্যমে আয় রোজগার করতে হয়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্লাইন্ট রা তাদের নিজেদের কাজের জন্য বাহির থেকে অনেক ফ্রিল্যান্সার কে কাজ দিয়ে থাকেন তাদের ওয়েবসাইট রেংকিং এর জন্য।

সিওর একটি তথ্য মতে প্রতিদিন মানুষ ৫.৬ বিলিয়ন সময় বিভিন্ন জায়গায় সার্চ করে থাকে। পৃথিবীর সকল মানুষ তাদের সমস্যার সমাধান থেকে তথ্য খুঁজে বের করে। এই বের করার মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে মানুষ তথ্য ও ক্লিক এর মাধ্যমে একটু ওয়েবসাইটে ইম্প্রেশন হয়ে থাকে।

গুগলের রেংক করানোর জন্য ক্লাইন্টরা এসইও এক্সপার্টদেরকে বিভিন্ন দামে hire করে থাকেন। তাই এসইও এক্সপার্টদের ভালো চাহিদা রয়েছে। এসইও এক্সপার্ট হিসেবে দক্ষতা অর্জন করতে চাইলে উল্লেখিত স্কিল গুলাপ রপ্ত করতে হবে তা হচ্ছে কন্টেন্ট রাইটিং অন পেজ এসিও, অফ পেজ এসিও, ফোরাম পোস্টিং, গেস্ট পোস্টিং, ব্রোকেন লিংক বিল্ড, ইমেইল সিগনেচার লিঙ্ক, পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের ভালো ধরনের ট্রাফিক এবং র‍্যাংকিং করা সম্ভব। একজন এসইও এক্সপার্ট এর ঘণ্টায় 20 থেকে 30 ডলার উপার্জন করে থাকেন।

৩. টি শার্ট ডিজাইন :

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর সাব ক্যাটাগরি ভেতর রয়েছে টি-শার্ট ডিজাইন। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর অনেক ধরনের কাজ রয়েছে তার ভেতর টি শার্ট ডিজাইন এর কাজ আলাদাভাবে রপ্ত করতে পারলে ঘরে বসে টি-শার্ট ডিজাইন করে ভালো ইনকাম করা সম্ভব। আপনি চাইলে টি-শার্ট ডিজাইনের উপর কাজ করতে পারেন এবং পেশা হিসেবেও নিতে পারেন। আমরা অনেক মার্কেটে যে সকল বিভিন্ন ধরনের চিত্র অংকন দেখে থাকি সেগুলো করো না কোন টি শার্ট ডিজাইন করেছেন। আপনি যদি টি-শার্ট ডিজাইন এর কাজ শিখেন তাহলে এই টি-শার্ট ডিজাইন ইন্ডাস্ট্রিতে বিভিন্ন কাজ সাবমিট করে আয় করতে পারবেন।

এই কাজগুলো সাধারণত ফাইবার আপ ওয়ার্ক এবং amazon এর কাজ অ্যাভেলেবেল থাকে। অনেক ব্যক্তিবর্গগণ রয়েছেন যারা সবে ব্যবসা শুরু করার চিন্তাভাবনা করছে যদি হয় তাদের সেই ইন্ডাস্ট্রিটি শার্ট নিয়ে তাহলে অবশ্যই সেই ইন্ডাস্ট্রিতে একজন টি শার্ট ডিজাইন প্রয়োজন পড়বে। সেই ক্ষেত্রে আপনার টি শার্ট ডিজাইন করার দক্ষতা যদি ভালোভাবে রপ্ত করতে পারেন উক্ত ইন্ডাস্ট্রি আপনাকে মান্থলি বেসিস হায়ার করার চুক্তি করবে।

এই ব্যাপারে আরও বেশি ধারণা পাওয়ার জন্য ফাইবার মার্কেটপ্লেসে গিয়ে টি-শার্ট ডিজাইন লিখে সার্চ করলে অনেক স্যাম্পল অথবা তাদের কাজের পোর্টফোলিও দেখতে পারবেন। তাদের ক্রিয়েটিভিটি গুলো কাজে লাগিয়ে আপনি অন্য লেভেলে একটি ডিজাইন করতে পারবেন তার জন্য অবশ্যই আপনার এডোবি ইনস্টিচার সফটওয়্যারটি লাগবে এবং সেই সফটওয়্যারটি কিভাবে কাজ করে তা ভালোভাবে শিখে নিতে হবে।

৪.লোগো ডিজাইন

উপরের যে স্কেলটি নিয়ে আলোচনা করেছি সেটি একটি গ্রাফিক্স ডিজাইনের অংশ এবং লোগো ডিজাইনও গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাছে একটি অংশ। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগে গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যতীত পুরা মার্কেট বা এই ইন্ডাস্ট্রিতেই অচল। গ্রাফিক্স অথবা ভিডিও এডিটিং ব্যতীত বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যাপারটাই চিন্তা করা যায় না। একটি ব্যবসা যখন প্রথম চালু হয় ব্যবসার উদ্যোক্তার প্রথম চিন্তা থাকে একটি লোগো তৈরি করা। যা একজন লোগো ডিজাইনারই করে থাকেন। আর যিনি সাধারণত লোগো ডিজাইন করেন বা ফটোশপ নিয়ে কাজ করেন তাদের লোগো ডিজাইনের পাশাপাশি পোস্টার বিলবোর্ড সোশ্যাল মিডিয়া কাভার ফটো ইত্যাদি ডিজাইন করার উপর আলাদাভাবে দক্ষতা হয়ে যায়।

বর্তমানে প্রেক্ষাপটে গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর গুরুত্ব দিন দিন বেড়ে চলেছে তাই আপনি যদি সিদ্ধান্ত নেন যে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কাজ করবেন তাহলে অবশ্যই এটি হবে একটি ফলশ্রুত সিদ্ধান্ত।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের দুইটি গুরুত্বপূর্ণ শব্দ। UI/UX
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর ইউ আই হল ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা অর্থাৎ কোন একটি ওয়েবসাইটের অ্যাপ কার জন্য কোথায় কি কি থাকবে সেগুলো অপশন তৈরি করে দেওয়া ইত্যাদি ডিজাইন করা। কোন পণ্যকে টার্গেট করা ,

UX ডিজাইন হচ্ছে কেন আপনার ওয়েবসাইট থেকে পন্য কিনবে আর কেনার পর উক্ত কাস্টমার এর কতটুকু অভিজ্ঞতা হচ্ছে সেটাই হচ্ছে ইউ আই ডিজাইন ।

যাইহোক যে টপিকে ছিলাম তা হচ্ছে লোগো ডিজাইন লোগো ডিজাইন করতে হলে শুধু এডোবি ফটোশপ এবং ইনস্টিটিউট এর কাজ ভালোভাবে রপ্ত করতে পারলেই লোগো ডিজাইন করা সম্ভব। যারা লোগো ডিজাইন করে থাকেন তারা মার্কেট প্রাইস এর বাইরে অর্থাৎ অনলাইন অফলাইন সব ক্ষেত্রেই তাদের ডিমান্ড রয়েছে।

৫. ডিজিটাল মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং অর্থাৎ ডিজিটাল যে সকল পণ্য বা সেবা বিতরণ করা হয় সেটি হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। মার্কেটিং নিয়ে আমি কোন একাডেমিকাল পড়াশোনা নিয়ে আলোচনা করছিনা। ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে এর ভেতর সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশন এসইও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিদ্যমান রয়েছে।

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের এটি একটি অংশ নিয়েই হচ্ছে আপনাকে কাজ শুরু করতে হবে সেটা হতে পারে এসইও অথবা এস এম এম।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ স্কিল হচ্ছে লিড জেনারেশন অথবা ডাটা এন্ট্রি ।

জেনারেশন ডিজিটাল মার্কেটিং এর আওতায় না থাকলেও এই সকল লিড গোলা নিয়ে মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় বলে এই স্টিলের ভেতরে আলোচনা করছি।

জেনারেশন হলো তথ্য সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া। লিড গুলো জেনারেশন করে সাধারণত ক্লাইন্ট গণ্ডরা ইমেইল মার্কেটিং করে থাকেন।
সংক্ষেপে ইমেইল মার্কেটিং এর বিষয়বস্তু কিছুটা তুলে ধরার চেষ্টা করছি। ইমেইল মার্কেটিং এটা একটা দীর্ঘতম প্রক্রিয়া, যা সূত্রপাতের মাধ্যমে হয়ে থাকে একজন লিড জেনারেটর অথবা লিড জেনারেশন করে যারা ফ্রিল্যান্সার গণ রয়েছেন তারা গুগল অথবা বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে কোন একটি নির্দিষ্ট কিলের উপর শত শত ইমেইল অথবা লিড বের করে দেন।

উক্ত লিস্ট ে বিভিন্ন মাধ্যমে ইমেইল করা। ইমেইল মার্কেটিং করতে হলে সর্বপ্রথম একটি ইমেইলকে সঠিকভাবে ওয়ার্ম আপ করতে হয় ওয়ারমার দ্বারা বোঝানো হচ্ছে ইমেইলকে হিউম্যান লি বিহেভিয়ার দেখানো।

অর্থাৎ একটি ইমেইল যখন একজন মানুষ যেভাবে পরিচালনা করে যেমন প্রতিদিন কাউকে ইমেইল পাঠানো অথবা সেই ইমেইল রিপ্লাই আসা এভাবে যত প্রক্রিয়া হবে সেই মেইলটি ওয়ার মাপ হতে থাকবে একটি নতুন ইমেইল সাধারণ অবস্থায় থাকে না।

আর এমতাবস্থায় যদি আমরা শত শত ইমেইল একটি নতুন ইমেইল দিয়ে মার্কেটিং করা শুরু করি সকল ইমেইল গুলো স্প্যামিং এর আন্ডারে চলে যায়।

সঠিকভাবে ইমেইল সেন্ড করার বেশ কয়েকটি নিয়ম রয়েছে আর ইমেইল মার্কেটিং হচ্ছে আরেকটি স্কিল বলা যেতে পারে যেখানে বিভিন্ন রকম স্টেপ ফলো করে এই মার্কেটিং এর কাজগুলো পরিচালনা করা হয়ে থাকে। আপনাদের যদি এই ইমেইল মার্কেটিং সম্পর্কে জ্ঞান আরো পেতে চান তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন এই সম্পর্কে বিস্তারিত লিখে এই ওয়েবসাইটটি তে প্রকাশিত করব।

আজকের এই আলোচনায় টপ ফাইভ ফ্রিল্যান্সিং স্কিল নিয়ে আলোচনা করেছি। জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং স্কিল কোনটি শিখব ও কীভাবে শিখব

Leave a Comment