নতুনদের জন্য affiliate মার্কেটিং

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? নতুনদের জন্য affiliate মার্কেটিং

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে বড় বড় যে সকল ই-কমার্স বা পণ্য বিক্রি করার ওয়েবসাইট তাদের প্রচার বৃদ্ধি করা তার বিনিময়ে কিছু অর্থ উপার্জন করা।

সহজ কথায় আমি যদি এমাজনের প্রোডাক্ট নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চাই সে ক্ষেত্রে আমাকে সেই amazon একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে তাদের প্রোডাক্ট এর লিংক এনে আমি বিভিন্ন জায়গায় শেয়ার করার মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে একটি কমিশন নেওয়া হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং।

এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে বহুল প্রচলিত এবং পুরাতন একটি মার্কেটিং। এই মার্কেটিং টি বর্তমানে চাহিদা কম থাকলেও এই মার্কেটিং এর কিন্তু একটি ফিউচার আছে এবং এটা একটা এস্টাবলিশ ব্যবসা অথবা মার্কেটিং।

একটা সময় এই অ্যাপিলিয়েট মার্কেটিং করে মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা আয় রোজগার করেছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য প্রথমে আমাদের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয় ওয়েবসাইটের ভেতর আমাদের প্রচুর পরিমাণে কনটেন্ট লিখতে হয় এই কনটেন্ট লেখার জন্য কিভাবে লিখতে হয় কিভাবে লিখলে আমাদের কনটেন্ট এ আকর্ষণীয় হয় তা নিয়ে আমার একটা পোস্ট আছে সেটা দেখে আসতে পারেন 

তারপর ওয়েবসাইটটি সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখতে হবে ছবির কোয়ালিটি ভালো রাখতে হবে যেন ক্রেতারা দৃষ্টি আকর্ষিত হয়। ওয়েবসাইটে এমনভাবে কনটেন্ট দিতে হয় যাতে করে আপনার ক্রেতারা আপনার ওয়েবসাইট থেকে পণ্য কিনতে আগ্রহ বোধ করেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং টা হচ্ছে একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এই কাজটা আমরা চাইলে ডিজিটালীয় করতে পারি ভার্চুয়ালি বাহিরের দেশের অনেক ক্লাইন্ট আপনাকে এই এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য মোটা অংকের টাকা প্রদান করবে। এখানে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে বেশ কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে তার ভেতর facebook twitter Instagram marketing, social media marketing।

সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে আমরা যতই সেল করার চেষ্টা করি শুধুমাত্র ওয়েবসাইট থেকে সেটা দিন শেষে সেল হবে না সেল করানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচুর পরিমাণে একটিভ থাকতে হবে এবং প্রতিনিয়ত আপনি যে পোস্টটি করছেন বা যে প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করছেন সেই প্রোডাক্ট নিয়ে প্রচুর পরিমাণে কথাবার্তা লিখতে হবে যা আমি আমার কন্টেন রাইটিং এই পোস্টটি লিখে রেখেছি

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন কোন প্রোগ্রাম রয়েছে যেখানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারব??

বর্তমানে অনেক অ্যাফিলিয়ার প্রোগ্রাম রয়েছে যেখানে আমরা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারি । নতুনদের জন্য affiliate মার্কেটিং

প্রথম যেটি রয়েছে সেটি হচ্ছে amazon। অ্যামাজন থেকে আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেন তাহলে আপনাকে একটি আমাজন সেলার অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। তারপর সেখান থেকে আপনার নির্বাচন করতে হবে কোন প্রোডাক্ট নিয়ে আপনি কাজ করবেন আপনি চিন্তা করবেন যে সব সময় একটু কম মূল্যের পণ্য বাছাই করা এবং যে পণ্যটি প্রচুর পরিমাণে বিক্রয় হচ্ছে সেই পণ্যটি নিয়েই কাজ করা।

তাছাড়া আরো কিছু অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম রয়েছে তার ভিতরে দ্বিতীয় হচ্ছে ক্লিক ব্যাংক
ক্লিকব্যাক একটি এফিলিয়েট অথবা ডিজিটাল সার্ভিস প্রোগ্রাম এখানে amazon এর মতো অনেক ডিজিটাল সার্ভিস রয়েছে আপনি এই সার্ভিসগুলো নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং করে অ্যাফিলিয়েট এর ইনকাম করতে পারেন।

তারপর রয়েছে ইবে। মূলত হচ্ছে ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট এই ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট বিক্রি করে ছেলের জন্য হয়তো একটা কমিশন আপনাকে দেয়া হবে সেটি মাধ্যমে আপনি এপেলিয়ার প্রোগ্রামের ইনকাম করতে পারেন

আমাদের তালিকার সর্বশেষ আরেকটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের নাম হচ্ছে সি জে এফিলিয়েট
সিজে এফিলি একটি মূলত ডিজিটাল পণ্য নিয়ে কাজ করে আপনি যদি ডিজিটাল পণ্য নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার সবথেকে বেস্ট অপশন হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং এ করা। কারণ ডিজিটাল প্রোডাক্ট সেল করতে চাইলে ডিজিটালই আপনাকে কাজ করতে হবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ করা বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন রকম সুবিধা অসুবিধা কথা বর্ণনা করেছেন। আজ এই পর্বে আমি আমার মতো করে এর সুবিধাটা আলোচনা করছি অসুবিধাটাও আলোচনা নিচে করব অবশ্যই

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে আমাকে কোনরকম কোন পণ্য কি নিয়ে বিক্রয় করতে হচ্ছে না। পণ্যটি কিনতে হলে আমাকে একটা ক্যাপিটাল রাখতে হয়।
অনেকের কাছে এই পর্যাপ্ত মূলধন না থাকার কারণে তারা ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে পারে না তো এখানে এফিলেট মার্কেটিং এর একটা বড় সুযোগ কাজ করার

এখানে কোন ডেলিভারি কাজ করতে হচ্ছে না। আমি যদি কোন ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতাম । তাহলে আমাকে পণ্য কাস্টমারের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কাজটাও করতে হতো কিন্তু এই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ভেতরে সেই কাজটা করতে হচ্ছে না এই পণ্যটি amazon তারা তাদের নিজস্ব ডেলিভারি মাধ্যমে সেই কাস্টমারের বাসাতে পৌঁছে দিয়ে আসবে

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হচ্ছে আমরা যে লিংকটি প্রমোট করছি সেই লিংক থেকে সেই কম্পিউটারে যদি ২৪ ঘন্টা ভেতরে অন্য কোন অর্ডার করে বা সেই লিংক থেকে না করলেও 24 ঘন্টার ভেতরে এমাজনে গিয়ে যদি পণ্য অর্ডার করে তারপরেও কিন্তু আপনার একটা কমিশন চলে আসবে এটার জন্য কিন্তু আপনি কোন মার্কেটিং বা প্রচারণা চালান নাই কিন্তু তারপরেও আপনার একটা কমিশন চলে এসেছে।

এবার চলুন কিছু অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করি



অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট এর কাজ করার জন্য অনেক বাধা সামনে আসবে আপনাকে ঝরে পড়া যাবে না বা ধৈর্য ধরে রাখতে হবে আপনি শুরুতেই একটা প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করলে সাতদিন পরে গিয়ে কিন্তু প্রোডাক্টের সেল নাও করতে পারেন। এখানে সম্পূর্ণটুকু নির্ভর করে আপনার রেংকিং অথবা আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে কতটুকু সময় দিয়েছেন সেল করানোর জন্য। সেল এমন এমন জায়গায় গিয়ে পড়তে হয় বা পণ্যের প্রচার করতে হয় যেখানে সেই পণ্যের চাহিদা রয়েছে সেখানে গিয়ে যদি আপনি করতে না পারেন প্রচার তাহলে কিন্তু আপনার পণ্য সেল হবেনা এবং দিন শেষ ে এখান থেকে আপনি নিরাশ হয়ে ফিরবেন

দ্বিতীয় হচ্ছে আপনি যদি amazon বা যে কোন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর সাথে কাজ করতে চান তাহলে সেই প্রোগ্রামের প্রত্যেকটি খুঁটিনাটি টার্ম কন্ডিশন সম্পর্কে অবগত হবেন না হলে আপনি একটু দূর এগিয়ে গেলে অনেক ধরনের বাধা আসবে যেগুলো আপনি সহজে মোকাবেলা করতে পারবেন না আপনি ছেড়ে দিবেন।

আর এই জিনিসটাই প্রতিনিয়ত সবার সাথে হয়ে থাকে আমরা কাজ করার আগে সেই প্ল্যাটফর্ম টা সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত হই না আর বলেই আমরা কিছুদূর যাওয়ার পর তার সকল প্রকার সমস্যাগুলো মোকাবেলা করতে পারি না। সমস্যা প্রতিটা প্লাটফর্মে প্রতিটা জায়গায় থাকবে এটা আপনার নয় গোটা দুনিয়ার মানুষ জানে তবে আপনি এই বিষয়ে সম্পর্কে আগে অবগত হবেন তারপর সেই বিষয়টা নিয়ে কাজ করতে শুরু করবেন।

তিন নাম্বার হচ্ছে আপনি এই প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে হলে একটি ট্রাক অথবা পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে যে পরিকল্পনা থাকবে আপনার আগামী ছয় মাস অথবা আগামী এক মাসের পরিকল্পনা এই পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ করলে আপনি যখন এর একটি আউটপুট অথবা রেজাল্ট না পাবেন তখন আপনি পরিকল্পনা পরিবর্তন করার শক্তি বা সাহস পাবেন কিন্তু যদি পরিকল্পনা না করা থাকে তাহলে নিজের কাছে মনে হবে যে আমি এই একমাস অথবা এই ছয় মাস যেটা করেছি তার কোন ডকুমেন্ট না থাকায় আপনি কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন না।

দিনশেষে এই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর অসুবিধা ভেতর আরেকটি জিনিস উল্লেখ করতে চাই আপনার কাছে যদি ডেটা থাকে তাহলে ডাটা কে আপনি বিভিন্নভাবে উঠানামা করে হোক কাজ করতে পারবেন। নতুনদের জন্য affiliate মার্কেটিং

আর যেই জিনিসটাই বড় বড় প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি করে থাকে তারা দেখবেন যে প্রচুর পরিমাণ ডেটা এন্ট্রি বা রিসার্চ এর কাজগুলা করায় এগুলা করিয়ে রাখে শুধুমাত্র তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা কি হবে কি ধরনের সমস্যা আসতে পারে তার একটি গ্রাফ তারা সহজে থাকতে পারে

মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং

মোবাইল দিও এফিলিয়েট মার্কেটিং করা সম্ভব আমি প্রতিটা সেক্টরেই বলি যে প্রফেশনালি যদি কাজ করতে হয় তাহলে অবশ্যই একটি কম্পিউটার ব্যবহার করবেন। কিন্তু এখানে আপনি একটা কাজ করতে পারেন আপনার যদি সম্পূর্ণ কাজ একটি কম্পিউটার অথবা আপনার বন্ধুর কাছ থেকে সম্পূর্ণ প্রোগ্রাম বা আপনি যে প্ল্যানটি করেছেন এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে সম্পূর্ন কাজটা যদি আপনার বাসায় কম্পিউটার না থাকে আপনার বন্ধুর কম্পিউটার দিয়ে করতে পারেন। পরবর্তীতে আপনি যখন বাসায় আসবেন এসে আপনার মোবাইল দিয়ে প্রচুর পরিমাণে ওই লিংকটি প্রচার করতে পারেন এই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর এই ধাপটা আপনি মোবাইল দিয়ে সহজে করতে পারবেন ।

সর্বশেষ আমাদের পরামর্শটা হচ্ছে আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে অনেক অনেক আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে কাজ শুরু করার পূর্বে প্রথমে আগে একটি সুন্দর পরিকল্পনা করবেন কোথায় গিয়ে আপনাদের সমস্যা হতে পারে সেই জিনিসটাও পরিকল্পনা করবেন যদি সবকিছু জেনে বুঝে কাজটা করেন তাহলে আপনি খুব সহজে সফলতা অর্জন করতে পারবেন অন্যথায় কাজ শুরু করার পরে দেখবেন ব্যর্থতা আপনার ঘিরে ধরেছে।

আমরা চাই আপনি অবশ্যই অনলাইনে ইনকাম করে সফলতা অর্জন করেন আর এই পরামর্শটাই আমি আপনাদের এই পরিশেষে জানিয়ে দিতে চাচ্ছি আশা করি আমার এই লেখাটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না আর আপনার যদি এই ধরনের কন্ঠে আপনাদের বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করেন তাহলে আমরাও এই ধরনের কনটেন্ট তৈরি করতে খুব আগ্রহ বোধ করি তাহলে আজকের লেখাটি এই পর্যন্ত পরবর্তীতে থাকবে মার্কেটিং এর অন্য কোন একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করব সে পর্যন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ

Leave a Comment