ফ্রিলান্সিং করার জন্য ইংরেজী

ফ্রিলান্সিং করার জন্য ইংরেজী কেন জরুরী?

প্রথমত একটি বিষয় নিয়ে শুরু করি ফ্রিল্যান্সিং এই সেক্টরে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে তার ভিতরে অন্যতম হচ্ছে লেখালেখির কাজ ডাটা এন্ট্রির কাজ প্রোগ্রামিং এর কাজ ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ ভিডিও এডিটিং এর কাজ ইমেজ এডিটিং এর কাজ প্রেজেন্টেশনের কাজ ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর মত অনেক কাজ রয়েছে সেগুলো ভেতর থেকে একটিকে আপনার সিলেক্ট করতে হবে তারপর যথার্থ কাজ শিখতে হবে তাহলে আপনি কাজ শুরু করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করার জন্য আপনাকে প্রথমে চিন্তা করতে হবে যে আপনি কোন বিষয়ের উপর আগ্রহ আছে। একটা জিনিস সর্বদাই মনে রাখবেন আপনার আগ্রহকে সব সময় প্রাধান্য দিবেন। একটা জিনিস আমি উদাহরণ দিয়ে যদি বলি সেটা হচ্ছে।

ধরুন আপনি আপনার কোন একটি বড় ভাই অথবা আপনার প্রতিবেশী কোন একজন ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করেন। আপনি সেটা দেখে অনেকটা উদ্ভূত হলেন এবং আপনিও মনে মনে চিন্তা করতে শুরু করলেন আমিও যদি ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট এর কাজ শিখি তাহলে হয়তো আমি খুব সহজে ইনকাম সহজে এই কাজটাও শিখতে।

কিন্তু ভাই এটা সহজেই সম্ভব হয়ে ওঠে না কারণ এই ওয়েব ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট কাজ করার জন্য হয়তো সেই ব্যক্তি অনেকদিন যাবত কাজ করছে তার এই ব্যাপারটা নিয়ে একটা স্কেচ তৈরি করার রয়েছে এবং সে সেই স্কেচ অনুযায়ী সামনের দিকে আগানোর চেষ্টা করছে।

কিন্তু আপনি যদি মনে করেন যে তাহলে আমিও শুরু করি সে ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট তাহলে কিন্তু সহজে আপনি আগাতে পারবেন না।

যদি দেই আপনার প্রতিবেশী অথবা আপনার সেই বড় ভাই যদি আপনাকে সাজেস্ট করেন যে তুমিও ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট এর কাজ শিখতে পারেন কিন্তু এখানে আপনি যদি তার কথা মতো সেই কাজটা শেখার জন্য আগ্রহ পোষণ করেন তাহলে একটা ভুল সিদ্ধান্ত হতে পারে আবার ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে যদি ভুল সিদ্ধান্তের কথা বলি তাহলে, হয়তো প্রোগ্রামিং এর প্রতি তার একটা ভালোবাসা ছিল ছোটবেলা থেকে ।

সে প্রোগ্রামিংকে ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখেছি যে বড় হয়ে এসে প্রোগ্রামার দিক কিছু একটা করার চেষ্টা করবে কিন্তু আপনি হয়তো এমনটা কখনো চিন্তা করেননি। তাই যখন আপনি এই জগৎটাকে নতুন করে কাজ করার চেষ্টা করবেন আপনার এই জগৎটা অনেকটা নতুন লাগবে এবং পরবর্তীতে সামনে আসা অনেক বাধা আপনার কাছে অনেক জটিল হয়ে পড়বে তখন আপনি সেই প্রতিবেশী বা আপনার সেই বড় ভাইয়ের কাছ থেকে সব সমাধান না পেলে আপনি অনেকটা ভেঙে পড়বেন।

আপনি কোনটার উপর বেশি আগ্রহ সেটিকে প্রাধান্য দিবেন।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য যে দ্বিতীয় যে বিষয়টি পরিলক্ষিত হয় সেটা হচ্ছে একটু কম্পিউটার অথবা একটি ল্যাপটপ।

অনেকেই মনে করেন অথবা ইউটিউবে ভিডিও দেখেন যে মোবাইল থেকে প্রতি মাসে এত টাকা আয় রোজগার করুন আসলে এই ব্যাপারটা সম্পূর্ণটাই হয়তো ভাওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়।
কারণ প্রফেশনাল কাজ কখনো মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব নয়।

হ্যাঁ আপনি হয়তো এই ব্যাপারে আমার সাথে যৌক্তিক তর্কে আসতে পারেন সেটা হচ্ছে আপনি হয়তো বলতে পারেন যে মোবাইল দিয়ে কিন্তু প্রোগ্রামিং ম্যানেজ করছে হ্যাঁ অবশ্যই মোবাইল দিয়ে কিন্তু প্রোগ্রামিং এর কাজ করা যায় আপনার দুটি একটি কিবোর্ড থাকে আপনি সেটা দিয়ে খুব সহজে মোবাইলের ভিতরে টাইপিং করতে পারবেন এবং কোড লিখতে পারবেন।

কিন্তু এখানে আপনার বেশি জটিল ভাবে কাজটি করতে হচ্ছে এতে হয়তো আপনার কাজের প্রোডাক্টিভিটি কিছুদিনের ভিতর কমে যাবে এবং আপনি আর কন্টিনিউ করতে পারবেন না। ধরুন আপনি যদি এই জিনিসটা ব্যবহার করে কোড লেখা শুরু করেন তাহলে দেখা যাবে যে আপনি মোবাইলের এই ছোট্ট স্ক্রিনে একটি সাইটে খুব কষ্ট করে লিখছেন আবার সেই জিনিসটা মিনিমাইজ করে আবার আপনি সিএসএস লিখছেন এতে করে আপনার প্রচুর পরিমাণে সময় হচ্ছে এতে করে প্রোডাক্টিভিটি আরো কমে যাচ্ছে।

আচ্ছা ঠিক আছে এরপর একটু কম্পিউটার অথবা একটি ল্যাপটপের সাহায্যে আপনি আপনার যে কোন কাজ খুব সহজে শেষ করতে পারবেন এর জন্য ফ্রিল্যান্সিং এই জগৎটাই প্রবেশ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই একটি কম্পিউটারের প্রয়োজন পড়বে।

তৃতীয় ধাপটি যদিও এটা দ্বিতীয় ধাপের আরেকটি অংশ। এই ধাপে আপনি হয়তো আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন যে কি ধরনের কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ আমি কিনতে পারি বা আমার কাজের জন্য আমি কনফিগার করতে পারি। এই ব্যাপারে আমি কিছু গাইডলাইন আপনাকে বলতে পারি কিন্তু কম্পিউটারে কনফিগার করা সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার আপনার কাছে যদি প্রচুর পরিমাণে অর্থ থাকে তাহলে আপনি একটি হাইফাই কম্পিউটার তৈরি করতে পারেন তা দিয়েও সে ধরনের আউটপুট বের করা যায় আপনি কিন্তু মিডিয়াম লেভেল এর কম্পিউটার আউটপুট বের করতে পারবেন।

এখন আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করেন এবং ভিডিও এডিটিং এর কাজ করেন তাহলে আপনার জন্য গ্রাফিক্স কার্ড এর প্রয়োজন অনুভব করবেন আর তৎক্ষণাৎ আপনার একটি কম্পিউটার কিনতে হলে প্রায় ১ লক্ষ টাকার কাছাকাছি চলে যেতে পারে আর আপনি যদি প্রোগ্রামিং অথবা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজ করেন সেই কম্পিউটার আপনার ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করতে পারবেন।

এই টাকার ভিতরে আপনি আপনার মন মতো করে কনফিগার করে নিতে পারলে আপনার কাজের গতিটা বেড়ে যাবে।

এবার তিন নাম্বার :
সেটা হচ্ছে ধৈর্য ধৈর্য যদি না থাকে তাহলে ফ্রিল্যান্সিং এর কোন কাজ করা সম্ভব নয় । আপনি বিভিন্ন স্টাটা প্রতিষ্ঠান দেখবেন তারা অনেকদিন যাবত কাজ শুরু করে কিন্তু কিছুদিন পর কাজটা কন্টিনিউ করতে পারে না তাদের ধৈর্যের সাথে পেরে ওঠে না বলে সামনের দিকে আগাতে পারে না।তখন তাদের সকল কাজ বাজ সেই সময় স্থগিত হয়ে যায়।

এমনকি কিছু লোক রয়েছে যারা মার্কেট পেয়েছে প্রথম দিকে অনেকের কাজ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেরা কাজ করার চেষ্টা করে কিন্তু দুই থেকে তিন মাস যাওয়ার পর কাজে লেগে থাকতে পা না পারার কারণে তারা আর তার কাজ কন্টিনিউ করতে পারে না।

এই ধরনের কাজ করতে হলে প্রচুর পরিমাণে ধরছে পরিচয় দিতে হবে। কাজ শুরু করার পূর্বে অনেক ফ্রিল্যান্সার আছে যারা ইউটিউবে ভিডিও দেখে অনেক অনুপ্রাণিত হয় এবং তারা মনে করেন যে আমি যদি এই ভাবে কাজটি করি তাহলে হয়তো খুব সহজে ইনকাম করতে পারব কিন্তু ইনকাম করতে পারে না কারণ হচ্ছে তারা সঠিক সময় পর্যন্ত ধরে রাখতে পারে না

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য এবার প্রয়োজন টাকা। টাকা কেন প্রয়োজন আপনি বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন জায়গায় আইটি সেক্টরে দেখবেন তারা অনেক কাজ শিখাচ্ছে কিন্তু তাদেরকে আপনি যাচাই-বাছাই করে তাদের প্রতিষ্ঠানে টাকা দিয়ে ভর্তি হবেন তারা যদি ঠিকঠাক মতো শেখায় তাহলে আপনি সঠিকভাবে কাজ শিখতে পারবেন।

কাজ শেখার জন্য আপনাকে প্রথমে চিন্তা করতে হবে যে আমরা যেখান থেকে কাজটা শিখছি সেখানে কি ভালোভাবে কাজটা শেখাচ্ছে কিনা বা সেখানে কাজগুলো আপনাকে কোন প্রজেক্ট করাচ্ছে কিনা আসলে কি একটা ইনস্টিটিউটে এ টু জেড আসলে অনেক কাজ শেখায় কিন্তু তারা কাজ যথার্থ শেখায় না‌ এখানে যারা ফ্রিল্যান্সাররা রয়েছে তারা পর্যাপ্ত কাজ শিখতে পারেনা।

এখন সেই ইনস্টিটিউট টি কিভাবে শেখাচ্ছে এটি আপনাকে দেখতে হবে আপনি দেখবেন সেখানে কি কোন প্রজেক্ট ওয়াচ কাজ করাচ্ছে কিনা একটা প্রজেক্ট যদি আপনার কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি আপনার ক্লায়েন্টের সাথে খুব সহজেই তার প্রজেক্ট এই সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে কাজ করে টাকা রোজগার করতে পারবেন।

আরো জানুনঃ

Leave a Comment